শূন্য বর্ষ

একটি বছর যার অস্তিত্ব খ্রিস্টাব্দ বা কমন এরা পঞ্জিকা সালে নেই

শূন্য বর্ষ-এর কোন অস্তিত্ব গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জিতে ব্যবহৃত খ্রিস্টাব্দ পঞ্জিকা সালে নেই (এমনকি এর পূর্বসূরী জুলীয় বর্ষপঞ্জিতেও নেই); এই ব্যবস্থায়, ১ খ্রিস্টপূর্ব সালের পরে ১ খ্রিস্টাব্দ আসে। যদিও জ্যোতির্বিজ্ঞানীয় বর্ষ সংখ্যা পদ্ধতি (যেখানে এটি জুলীয় ১ খ্রিস্টপূর্বাব্দের সমতুল্য) ও আইএসও ৮৬০১:২০০৪ দুটোতে এবং সমস্ত পঞ্জিকা সালের জন্য একটি বিনিময় মান (যেখানে শূন্য বর্ষ গ্রেগরীয় ১ খ্রিস্টপূর্বের সমতুল্য; দেখুন রূপান্তর সারণী) হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও অধিকাংশ বৌদ্ধ বর্ষপঞ্জি এবং হিন্দু পঞ্জিকাগুলোতে শূন্য বর্ষ ব্যবহার করা হয়।

ঐতিহাসিক, জ্যোতির্বিজ্ঞানীয় এবং আইএসও বছর সংখ্যায়ন পদ্ধতি

সম্পাদনা

ঐতিহাসিকগণ

সম্পাদনা

খ্রিস্টাব্দ পঞ্জিকা সালটি ৫২৫ খ্রিস্টাব্দে সিথীয় যাজক ডায়োনিসিয়াস এক্সিগুয়াস (আনু. ৪৭০ – আনু. ৫৪৪) পরিচয় করিয়ে দেন যিনি এটি নিজের পুনরুত্থান পার্বণ সারণীর বছরগুলো চিহ্নিত করতে ব্যবহার করেছিলেন। তিনি রোমান সম্রাট ডিওক্লেটিয়ানের সিংহাসন গ্রহণের তারিখ নির্ভর ডিওক্লেটীয় সাল এড়ানোর জন্য এই পঞ্জিকা সালটি পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন কেননা তিনি কোন খ্রিস্টান নিপিড়নকারীর স্মৃতি রাখতে চাননি। নিজের সারণীর সূচনা পাতায় ডায়োনিসিয়াস লেখেন যে "বর্তমান বছর" ছিল "প্রবাস জুনিয়র (ফ্লাভিয়াস অ্যানিসিয়াস প্রবাস ইউনিওর) এর অধিনায়কীয়কাল" যা একইসাথে "আমাদের প্রভু যিশু খ্রিস্টের মনুষ্যদেহে আবির্ভাবের ৫২৫ বছর"।[] কীভাবে তিনি এই সংখ্যা নির্ধারণ করেছেন তা অজানা৷

ডায়োনিসিয়াস এক্সিগুয়াস কোন ঐতিহাসিক ঘটনার তারিখ তুলে ধরতে খ্রিস্টাব্দ ব্যবহার করেননি। তারিখের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার শুরু করেন ইংরেজ ধর্মগুরু বিড (আনু. ৬৭২-৭৩৫), যিনি এডি বছরগুলোকে তার হিস্টোরিয়া এক্লিজিঅ্যাস্টিকা জেন্টিস অ্যানগ্লোরাম (৭৩১) বইতে ব্যবহার করেন যা খ্রিস্টাব্দের ব্যবহার জনপ্রিয় করে। এছাড়াও বিড শুধু একবার খ্রিস্টাব্দের ইংরেজি সমার্থক 'বিফোর ক্রাইস্ট' ব্যবহার করেছিলেন, কিন্তু সেটি প্রায় হাজার বছর পরে সবার চোখে পড়ে — যখন ডায়োনিসিয়াস পেটাভিয়াস এর পঞ্জিকা বিজ্ঞান বিষয়ক বইগুলো জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। বিড ক্রমানুসারে মাসের দিনগুলো, বছরের সপ্তাহগুলো বা বছরের মাসগুলো সাজাননি। যদিও তিনি ধর্মীয় লাতিন ভাষায় এক হতে গণনা করে অনেক সপ্তাহের দিনের সংখ্যা সাজিয়েছেন।

পূর্ববর্তী খ্রিস্টীয় ইতিহাসবিদেরা ঘটনার তারিখ নির্দিষ্টকরণের জন্য অনেকগুলো পদ্ধতি ব্যবহার করতেন: অ্যানো মুন্ডি (সৃষ্টাব্দ) যা শুরু হয় সৃষ্টির প্রথম দিনে; অথবা আফ্রিকানুসের ব্যবহৃত অ্যানো অ্যাডামি (আদমাব্দ; "আদমের বছরে") যা শুরু হয় সৃষ্টির পাঁচ দিন পরে (অথবা আদিপুস্তক অনুসারে সৃষ্টির ষষ্ঠ দিনে), আবার যেমন সিজারিয়ার ইউসেবিয়াসের ব্যবহৃত অ্যানো আব্রাহামি (আব্রাহামাব্দ; "আব্রাহামের বছরটিতে") যা শুরু হয় সপ্ততি অনুসারে সৃষ্টির ৩,৪১২ বছর পরে; এগুলো সবই বাইবেলীয় সৃষ্টি নির্ভর পঞ্জিকা সাল। বিড তার লেখায় খ্রিস্টাব্দের সাথে সেগুলোর সম্পর্ক দেখিয়ে এগুলোর যাত্রা অব্যাহত রাখেন।

এক্লিজিঅ্যাস্টিক্যাল হিস্ট্রি অব দি ইংলিশ পিপল এর প্রথম পুস্তকের দ্বিতীয় অধ্যায়ে বিড লিখেছেন যে "জুলিয়াস সিজার রোম নির্মাণের ৬৯৩ বছরে, যা আমাদের প্রভুর মনুষ্য দেহে আবির্ভাবের ষাটতম বছর পূর্বে, ব্রিটেন আক্রমণ করেন", অন্যদিকে তিনি তৃতীয় অধ্যায়ে লিখেছেন, "৭৯৮ রোমাব্দে, ক্লডিয়াসও ব্রিটেন আক্রমণ করেন" এবং "কিছু দিনের মধ্যে [...] যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে [...] আমাদের প্রভুর মনুষ্য দেহে আবির্ভাব হতে ছেচল্লিশে [বছরে]।"[] দুটি তারিখ ভুল হলেও, এগুলো প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট যে বিড খ্রিস্টপূর্ব ও খ্রিস্টাব্দের মাঝে শূন্য বর্ষ যোগ করেননি: ৭৯৮ − ৬৯৩ + ১ (কারণ বছরগুলো হিসাবে অন্তর্ভুক্ত) = ১০৬, কিন্তু ৬০ + ৪৬ = ১০৬, যার অর্থ এখানে শূন্য বর্ষের কোন স্থান নেই। আধুনিক ইংরেজি বাক্যাংশ "বিফোর ক্রাইস্ট" (বিসি; খ্রিস্টপূর্ব) বিডের লাতিন বাক্যাংশ আন্তে ইনকানেশনিস ডোমিনিকায় টেম্পুস (প্রভুর মনুষ্য দেহে আবির্ভাবের সময়ের পূর্বে) এর অমার্জিত সমার্থক, আক্ষরিক অনুবাদ নয়, যা নিজে কখনো সংক্ষিপ্তকরণ হয়নি। বিডের 'বিসি' এর একক ব্যবহার মধ্যযুগে বিক্ষিপ্তভাবে ব্যবহার হয়েছে।

সংখ্যা হিসেবে শূন্যের ধারণা রোমান সংখ্যাতেও ছিলো না। খ্রিস্টপূর্ব যুগের ব্যাবিলনীয় পদ্ধতি শূন্যতার ধারণা এর সংখ্যা ছাড়া গ্রহণ করেছিল, এবং রোমানরা এটি একইভাবে গ্রহণ করে। যেখানেই আধুনিক শূন্য ব্যবহার হোক না কেন, বিড ও ডায়োনিসিয়াস এক্সিগুয়াস রোমান সংখ্যার পাশাপাশি লাতিন সংখ্যা শব্দ বা লাতিন নাল্যা (খালি) ব্যবহার করেছিলেন।[][][] শূন্য ষষ্ঠ শতাব্দীতে ভারতে আবিষ্কৃত হয় এবং আরবদের দ্বারা অষ্টম শতাব্দীতে স্থানান্তরিত বা পুনরায় আবিষ্কৃত হয়েছিল। আরবি সংখ্যার ত্রয়োদশ শতাব্দীর আগে ইউরোপে প্রবেশ করেনি। তবে তারপরেও এটি সম্পর্কে খুব কম মানুষের ধারণা ছিল এবং শুধুমাত্র সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যে ইউরোপে ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হতে থাকে।

খ্রিস্টাব্দ পঞ্জিকা সাল নবম শতাব্দীর আগ পর্যন্ত পশ্চিম ইউরোপে বহুল ব্যবহৃত ছিলো না, এবং ১ জানুয়ারি হতে ৩১ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বছর ১৭৫২ সালের আগ পর্যন্ত ইউরোপে সর্বজনীন ছিলো না। সৃষ্টাব্দের পাশাপাশি খ্রিস্টপূর্বাব্দের প্রথম ব্যাপক ব্যবহার (শতবারের বেশি) ১৪৭৪ সালে ভার্নার রোলেভিঙ্ক এর ফ্যাসিকুলাস টেম্পোরাম বইটিতে পাওয়া যায়।[] অ্যানো ডোমিনি, ডায়োনিসীয় সাল, খ্রিস্টীয় সাল, ভালগার সাল এবং সাধারণ সাল (কমন এরা) বাক্যাংশগুলো রেনেসাঁ ও উনবিংশ শতাব্দীতে অন্তত লাতিনে ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু বিংশ শতাব্দীর পরে ভালগারের অর্থ হিসেবে আপত্তিকরভাবে অভদ্র গৃহীত হওয়ার পর থেকে ভালগার এরা বাক্যাংশের ব্যবহার ইংরেজি ভাষায় বিলুপ্ত হতে থাকে। ফলত, ঐতিহাসিকদের কাছে এসকল সাল একই।

ঐতিহাসিকগণ কখনো শূন্য বর্ষ ব্যবহার করতেন না। এর অর্থ হল উদাহরণস্বরূপ, ১ জানুয়ারি ৫০০ খ্রিস্টপূর্ব১ জানুয়ারি ৫০০ খ্রিস্টাব্দ দুটি তারিখের মাঝে ৯৯৯ বছরের পার্থক্য বিদ্যমান: ৫০০ খ্রিস্টপূর্ব বছর এবং এরপর ৪৯৯ খ্রিস্টাব্দ বছর। সাধারণভাবে ১ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে শূন্য বর্ষ ব্যতীত ১ খ্রিস্টপূর্ব রয়েছে।[] কোন বর্ষপঞ্জি পদ্ধতি (হোক জুলীয় বা গ্রেগরীয়) বা পঞ্জিকা সাল (খ্রিস্টাব্দ কিংবা কমন এরা) শূন্য বর্ষ ব্যবহারের বিষয়ে কিছু বলেনা। যদি লেখকেরা তাদের দলের (ঐতিহাসিক বা জ্যোতির্বিজ্ঞানী) নিয়ম মেনে না চলে, সেক্ষেত্রে তাদের স্পষ্টভাবে লেখায় তুলে ধরতে হবে যে ০ বর্ষ যুক্ত করা হয়েছে কিনা, নয়তো তাদের ঐতিহাসিক তারিখ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হবে।[]

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা

সম্পাদনা

জ্যোতির্বিজ্ঞানে ১ খ্রিস্টাব্দ ও এর পরের বছরগুলোর জন্য একই সংখ্যা গ্রহণ করা সাধারণ ব্যাপার ছিল যা ঘটনাক্রমে কমন এরার বর্ষ সংখ্যা পদ্ধতিতেও গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ১ খ্রিস্টপূর্ব এবং ১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যকার বিরতি থাকার ফলে প্রাচীন ও আধুনিক তারিখগুলো তুলনা করা কষ্টকর হয়ে উঠে। যার ফলে ১ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে ০ বসানো হয়, ০ এর পূর্বের বছরটিকে -১ ধরা হয় এবং এভাবে বছরগুলো চলতে থাকে।

ইংরেজি ভাষার "এডি" (খ্রিস্টাব্দ), "বিসি" (খ্রিস্টপূর্ব), "সিই" (সাধারণ সাল) বা "বিসিই" (সাধারণ সাল পূর্ব) আদ্যাক্ষরগুলো এখানে বাদ দেওয়া হয়। আর তাই ১ খ্রিস্টপূর্ব জ্যোতির্বিজ্ঞানীয় হিসাবে ০ হয়ে থাকে, ২ খ্রিস্টপূর্বকে -১ ইত্যাদি। মাঝেমধ্যে ধনাত্মক বছরগুলোর আগে + চিহ্ন বসানো হয়ে থাকে। বর্ষ সংখ্যায়নের এই পদ্ধতিটি ১৭৪০ সালে জ্যাক ক্যাসিনি পরিচয় করিয়ে দেন।[]

জ্যোতির্বিজ্ঞানীয় ব্যবহারের ইতিহাস

সম্পাদনা

১৬২৭ সালে জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী জোহানেস কেপলার তার রুডলফাইন সারণীতে শূন্য বর্ষকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীয় বছর হিসেবে ব্যবহার করেন। তিনি এর নাম দেন ক্রিস্টি। সূর্য, চন্দ্র ও গ্রহ সম্বলিত "মিন মোশন" পাতায় তিনি এই বছরটি আন্তে ক্রিস্টাম (খ্রিস্টপূর্ব) এবং পোস্ট ক্রিস্টাম (খ্রিস্টাব্দ) এর মধ্যবর্তী স্থানে বসান।[] ১৭০২ সালে ফরাসি জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফিলিপ দে লা হায়ার তার জ্যোতির্বিজ্ঞানীয় সারণীর মিন মোশন পাতায় একটি বছরকে ক্রিস্টাম ০ হিসেবে আন্তে ক্রিস্টাম এর শেষের দিকে ও পোস্ট ক্রিস্টাম এর ঠিক আগে বসান।[১০]

চূড়ান্তভাবে ১৭৪০ সালে শূন্য বর্ষের পরিবৃত্তি সম্পন্ন করেন ফরাসি জ্যোতির্বিজ্ঞানী জ্যাক ক্যাসিনি (দ্বিতীয় ক্যাসিনি) যাকে আনুষ্ঠানিকভাবে শূন্য বর্ষ আবিষ্কারের কৃতিত্ব দেওয়া হয়।[১১] ক্যাসিনি তার ট্যাবলেস অ্যাস্ট্রোনোমিকাইস বইতে একটি বছরকে নাম দিয়েছিলেন যা তিনি আভান্ত জিসাস-ক্রাইস্ট (খ্রিস্টপূর্ব) এবং অ্যাপ্রেস জিসাস-ক্রাইস্ট (খ্রিস্টাব্দ) এর মধ্যবর্তী স্থানে বসান।[১২]

আইএসও ৮৬০১

সম্পাদনা

আইএসও ৮৬০১:২০০৪ (এবং পূর্ববর্তী আইএসও ৮৬০১:২০০০, কিন্তু আইএসও ৮৬০১:১৯৮৮ নয়) এর তারিখ উদ্ধৃত পদ্ধতির জন্য একান্তভাবে জ্যোতির্বিজ্ঞানীয় বর্ষ সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করে (কেননা এটি ১৫৮২ এর পূর্বের সব বছরের জন্য বর্ধিত গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জির ব্যবহার নির্দিষ্ট করে দেয় এবং কিছু পাঠক ভুলক্রমে ধরে নেন যে শূন্য বর্ষটি এই বর্ধিত বর্ষপঞ্জিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে কিন্তু শূন্য বর্ষ খ্রিস্টপূর্ব/খ্রিস্টাব্দ পঞ্জিকা সালের সাথে ব্যবহার করা হয় না)। ০ বর্ষের জন্য "মৌলিক" প্রদর্শন পদ্ধতি হলো চার অঙ্কের গঠন ০০০০, যা ১ খ্রিস্টপূর্বাব্দের সমতুল্য। বেশ কিছু অতিরিক্ত প্রদর্শন পদ্ধতিও যেমন: −০০০০ এবং +০০০০, পাশাপাশি পাঁচ এবং ছয় অঙ্কীয় সংস্করণ পাওয়া সম্ভব। পূর্ববর্তী বছরগুলো ঋণাত্মক চার, পাঁচ বা ছয় অঙ্কীয় বছর পাওয়া যায়, যেগুলোর সাথে খ্রিস্টপূর্বীয় সংখ্যার এক সংখ্যা পার্থক্য, তাই -০০০১ = ২ খ্রিস্টপূর্ব। কেননা শুধুমাত্র আইএসও ৬৪৬ (৭-বিট আসকি) অক্ষরগুলোর ব্যবহার আইএসও ৮৬০১ সমর্থন করার কারণে ঋণাত্মক চিহ্ন হাইফেন-ঋণাত্মক দ্বারা প্রদর্শিত হয়ে থাকে।

কম্পিউটিং

সম্পাদনা

প্রোগ্রামিং লাইব্রেরিগুলো শূন্য বর্ষ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম, একটি উদাহরণ হল পার্ল সিপ্যান মডিউল ডেটটাইম।[১৩]

দক্ষিণ এশীয় বর্ষপঞ্জি

সম্পাদনা

হিন্দুবৌদ্ধ বর্ষপঞ্জির সাথে ব্যবহৃত বেশিরভাগ পঞ্জিকা সালগুলো, যেমন শকাব্দ বা কলি যুগ ০ বর্ষ থেকে শুরু হয়। এসব পঞ্জিকাগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে অতিক্রান্ত, মেয়াদোত্তীর্ণ বা সম্পূর্ণ বছর ব্যবহার করে থাকে, অন্যদিকে পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তের পঞ্জিকাগুলো বর্তমান বছরগুলো ব্যবহার করে থাকে। একটি সম্পূর্ণ বছর আদর্শের প্রাথমিক বছর অতিবাহিত করেনি বিধায় ১ সংখ্যাটি ব্যবহার করা যায় না। তার বদলে প্রথম বর্ষের সময় এটাকে ০ বর্ষ (অতিবাহিত) দেখানো হয় এটা বুঝানোর জন্য যে এই পঞ্জিকা সালের আদর্শটির বয়স এক বছরের কম। এই পদ্ধতিটি পশ্চিমা বিশ্বের ব্যক্তির বয়স নির্ধারণের পদ্ধতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ – ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যক্তির বয়স ১ বছর পূর্ণ হবেনা যতক্ষণ তার জন্ম থেকে এক বছর সময় অতিবাহিত হয়েছে (কিন্তু তাদের বয়স দিন বা মাস হিসেবে দেখানো হয়, শূন্য হিসেবে নয়)। তবে যদি কারো বয়স বছর ও মাস দ্বারা নির্দিষ্ট করা থাকে সেক্ষেত্রে তার বয়স বলা যায়, উদাহরণস্বরূপ, ০ বছর ৬ মাস কিংবা আধা বছর বয়স। এটি ২৪ ঘন্টার ঘড়ির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ যেখানে দিনের প্রথম ঘন্টায় সময় দেখানো হয় ০ ঘন্টা মিনিট।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "DIONYSIUS EXIGUUS. LIBER DE PASCHATE SIVE CYCLUS PASCHALIS"। ৯ জানুয়ারি ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. "Ecclesiastical History of the English Nation"। ৩০ আগস্ট ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  3. Faith Wallis, trans. Bede: The Reckoning of Time (725), Liverpool: Liverpool Univ. Pr., 2004. আইএসবিএন ০-৮৫৩২৩-৬৯৩-৩.
  4. Byrhtferth's Enchiridion (1016). Edited by Peter S. Baker and Michael Lapidge. Early English Text Society 1995. আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৭২২৪১৬-৮.
  5. Werner Rolevinck, Fasciculus temporum.
  6. While it is increasingly common to place AD after a date by analogy to the use of BC, formal English usage adheres to the traditional practice of placing the abbreviation before the year as in Latin (e.g., 100 BC, but AD 100).
  7. V. Grumel, La chronologie (1958), page 30.
  8. Richards, E. G. (২০১৩)। "Calendars"। Urban, Sean E.; Seidelmann, P. Kenneth। Explanatory Supplement to the Astronomical Almanac (3 সংস্করণ)। Mill Valley, CA: Univ Science Books। পৃষ্ঠা 591। আইএসবিএন 978-1-891389-85-6 
  9. Tabulae Rudolphinae – Ioannes Keplerus (1627) 191 (42), 197 (48), 203 (54), 209 (60), 215 (66), 221 (72), 227 (78).
  10. Tabulae Astronomicae – Philippo de la Hire (1702), Tabulæ 15, 21, 39, 47, 55, 63, 71; Usus tabularum 4.
  11. Robert Kaplan, The nothing that is (Oxford: Oxford University Press, 2000) 103.
  12. [Jacques] Cassini, Tables astronomiques (1740), Explication et usage 5; Tables 10, 22, 53.
  13. DateTime - A date and time object - metacpan.org