শিরি ফরহাদ (২০১৩-এর চলচ্চিত্র)
শিরি ফরহাদ ২০১৩ সালের ২২ মার্চ তারিখে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। গাজী মাহবুব পরিচালিত ঐতিহাসিক গল্প নির্ভর এই চলচ্চিত্রের নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রিয়াজ ও শাবনূর। চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও বি-বাড়িয়া ফিল্মস। সিনেমাও এক পারস্যীয় উপন্যাস এর উপর নিমাণ করা হয়।ছবিটি নির্মাণ করতে প্রায় ৮/৯ বছর লেগেছিলো। ২০০৬ যখন ছবিটির ১৫ হাজার বর্গফুট নেগেটিভ নষ্ট হয়ে যায় তখন বেশ দুর্বলটার মাঝে পড়ে ছবিটির প্রযোজনা সংস্থা। পরবর্তী বানানোর চিন্তা বাদ দেওয়া হলে ছবিটির পরিচালক নিজ প্রযোজনা সংস্হার অর্থায়নে ছবিটি নির্মাণ করেন। কিন্তু ছবিটি মুক্তির পর রাজনৈতিক কিছু কারণে ছবিটি বেশ লোকসানের শিকার হন।
শিরি ফরহাদ | |
---|---|
পরিচালক | গাজী মাহবুব |
প্রযোজক | ফরিদুর রেজা সাগর। গাজী মাহবুব। |
রচয়িতা | আমির আলী শির নাওয়ায়ী। |
চিত্রনাট্যকার | গাজী মাহবুব |
কাহিনিকার | এম.এ.শহীদ। দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। |
শ্রেষ্ঠাংশে | রিয়াজ শাবনূর |
সুরকার | আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল |
চিত্রগ্রাহক | জেড এইচ মিন্টু |
সম্পাদক | হুমায়ুন কবীর। |
পরিবেশক | বি- বাড়িয়া ফিল্মস |
মুক্তি | ২২ মার্চ, ২০১৩ |
স্থিতিকাল | ১৪৩ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
নির্মাণব্যয় | ১ কোটি ৩২ লাখ |
আয় | ৪৮ লাখ টাকা |
এক কালজয়ী কাহিনী নিয়ে নির্মিত গাজী মাহবুবের অমর প্রেম কাহিনীর ছবি শিরি ফরহাদ!
শিরিকে স্বপ্নে দেখেই কল্পনার শিরির ছবি বাস্তবে রুপ দেয় ফরহাদ!
কাহিনীর সারাংশ
সম্পাদনাছবিটি দুই তারকা-ক্রস প্রেমিক: শিরিন এবং ফরহাদকে নিয়ে। শিরিন হলেন একজন রাজকন্যা যিনি শৈশবে একটি দোকানে দেখেছিলেন এমন একটি সুন্দর হরিণের প্রতি তার ভালো লাগা তৈরি হয়েছিল। যখন সে হরিণটিকে তার প্রাসাদে নিয়ে যায়, তখন সে তার মালিক ফরহাদকে প্রতিশ্রুতি দেয়, একজন ভাস্করের দরিদ্র শিশুটি তার প্রাসাদে প্রতিদিন আসবে এবং তার সাথে হরিণ খেলবে।
ফরহাদ তা করতে থাকে এবং সামাজিক পার্থক্য সত্ত্বেও শিরিন ও ফরহাদ খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠে; এবং অবশেষে প্রেমে পড়া। তবে অনিচ্ছুক শিরিনের বিয়ে ঠিক হয় শাহেনশাহ হুসরোর সঙ্গে। এটি প্রথমে ফরহাদকে ক্ষুব্ধ করে এবং তারপর তাকে পথভ্রষ্ট করে তোলে।
ছবির বাকি অংশে ফরহাদ কীভাবে শিরিনের শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছায় এবং কীভাবে তার স্বামী হুসরো তাকে প্রতিশ্রুতি দেয় যে তিনি শিরিনের স্নান করার জন্য একটি পাথুরে পাহাড় থেকে দুধের একটি হ্রদ তৈরি করতে সক্ষম হলে তাকে "কিছু" দেবেন। সফল হয়, তার শত্রুরা তাকে জানায় যে শিরিন মারা গেছে, এবং ফলস্বরূপ ফরহাদও দুধের লেকে একটি পাহাড় থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। যাইহোক, শিরিন বেঁচে আছে এবং ফরহাদ আর নেই জেনে সে একই হ্রদে ঝাঁপ দেয়। দুই প্রেমিকের শান্তিতে স্বর্গের সিঁড়ি বেয়ে একে অপরের হাত ধরে এবং অবশেষে পুনরায় মিলিত হওয়ার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রটি শেষ হয়।
চরিত্রসমূহ
সম্পাদনা- রিয়াজ- ভাস্কর্য ফরহাদ
- শাবনূর - শাহাজাদী শিরি
- রেহেনা জলি- শাহাজাদীর শিরির মা
- মেহবুবা - ফরহাদের প্রেমিকা
- ইলিয়াস কোবরা- অতিথি শিল্পী -
- আফজাল শরীফ - প্রজা
- ডন - কোহে আরমান
সম্মাননা
সম্পাদনাচলচ্চিত্র সম্মাননা
সম্পাদনা"শিরি ফরহাদ" চলচ্চিএটি আরব্য উপন্যাস থেকে নিয়ে নির্মিত যার ফলে এটি বাংলাদেশে রিমেক করা হয় তাই বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিএ পুরস্কার-২০১৩ নিয়মনীতি অনুযায়ী কোনো শাখায় মনোনীত করা হয়নি।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Entertainment (২৬ মার্চ ২০১৩)। "Gazi Mahbub's "Shiri-Farhad""। bdtoday। Dhaka, Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Entertainment (March, 2013)। "Shabnur-Riaz's 'Shiri-Farhad' to be released soon"। The Daily New Nation। Dhaka, Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ 5 June 2013। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - ↑ Entertainment (২৪ মার্চ ২০১৩)। ""Shiri Farhad" hits the silver screen"। The Daily Star। Dhaka, Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৩।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে শিরি ফরহাদ (ইংরেজি) - এ