শাহ সুলতান (প্রথম সেলিমের কন্যা)

উসমানীয় শাহজাদী, প্রথম সেলিমের কন্যা

শাহ সুলতান (উসমানীয় তুর্কি: شاه سلطان আনু. ১৫০৭ - আনু. ১৫৭২) ছিলেন একজন উসমানীয় শাহজাদী। তিনি প্রথম সেলিমআয়শে হাতুনের কন্যা এবং প্রথম সুলাইমানের বোন।

শাহ সুলতান
İstanbul - Yavuz Selim Camii - Mart 2013 - r2.JPG
ইস্তাম্বুলের ইয়াভুজ সুলতান সেলিম মসজিদের অভ্যন্তরস্থ শাহ সুলতান এর সমাধি
জন্মশাহীহুবান বা শাহ-ই হুবান
আনু. ১৫০৭
মানিসা, উসমানীয় সাম্রাজ্য
মৃত্যুআনু. ১৫৭২ (বয়স ৬৪–৬৫)
কনস্টান্টিনোপল, উসমানীয় সাম্রাজ্য
সমাধি
ইয়াভুজ সেলিম মসজিদ, ইস্তাম্বুল
দাম্পত্য সঙ্গীলুতফি পাশা (বিবাহবন্ধন . ১৫২৩; বিবাহবিচ্ছেদ. ১৫৪১)
শেহ মার্কেজ এফেন্দি
বংশধরইস্মিহান সুলতান[১]
পূর্ণ নাম
শাহহুবান সুলতান
রাজবংশউসমানীয়
পিতাপ্রথম সেলিম
মাতাআয়শে হাতুন
ধর্মইসলাম

জীবনীসম্পাদনা

তিনি মানিসায় বেড়ে উঠেন এবং ১৫০৩ সালে ভবিষ্যৎ উজিরে আজম লুতফি পাশাকে বিয়ে করেন।

১৫৩৯ সালে তার স্বামী উজিরে আজম হন, এতে তিনি ইস্তাম্বুল বিশাল প্রভাব বিস্তার করেন। এই দম্পতির ইস্মিহান সুলতান নামে একটি মেয়ে ছিল।

১৫৪১ সালে তিনি তার স্বামীকে তালাক দেন যিনি তার পদ থেকেও বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। তার উদ্যোগে বিবাহবিচ্ছেদটি সংঘটিত হয় এই অভিযোগে যে তার স্বামী একজন নারীকে পতিতাবৃত্তির জন্য শাস্তি দিয়েছিলেন। লুৎফি পাশা একজন পতিতার চূড়ান্ত সবংবেদনশীল অংশ কেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন যার ফলে পাশা এবং শাহ সুলতানের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। তর্কাতর্কির চরম পর্যায়ে লুতফি পাশা শাহ সুলতানকে মারধর করেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে, শাহ সুলতান তার দাসদের দ্বারা পাশাকে প্রহার করেন এবং তার ভাই সুলতান সুলাইমানের কাছে অভিযোগ করেন এবং বিবাহ বিচ্ছেদের অনুরোধ করেন। এর ফলে লুৎফি পাশাকে উসমানীয় সাম্রাজ্যের উজিরে আজমের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

শাহজাদী ১৫৫৬ সালে শাহ সুলতান মসজিদ নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে, তিনি সিলিভ্রিকাপি-তে একটি বিদ্যালয় নির্মাণ করেন। এছাড়াও তিনি তার ভাই সুলতান সুলাইমান কর্তৃক বরাদ্দকৃত জমিজমা দান করে দেন। তিনি ১৫৭২ সালে মৃত্যুবরণ করেন এবং তার নির্মিত মসজিদেই সমাধিস্থ হন।

সাহিত্য এবং জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে চিত্রায়নসম্পাদনা

টিভি সিরিজ মুহতেশেম ইউযিয়েল-এ শাহ সুলতান চরিত্রে অভিনয় করেন তুর্কী অভিনেত্রী দেনিজ ছাকির।

আরও দেখুনসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. Necdet Sakaoğlu, Bu Mülkün Kadın Sultanları, Oğlak Publishing, 4th edition, p. 154