শাহী ইদগাহ মসজিদ

পাকিস্তানের মসজিদ

শাহী ইদগাহ মসজিদ (পাঞ্জাবিউর্দু: شاہی عید گاہ مسجد) হলো পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মুলতান শহরের একটি মসজিদ। মসজিদটি মুঘল আমলে অষ্টাদশ শতকের শুরুর দিকে নির্মিত হয়েছিল।

শাহী ইদগাহ মসজিদ
شاہی عید گاہ مسجد
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
যাজকীয় বা
সাংগঠনিক অবস্থা
মসজিদ
অবস্থান
অবস্থানমুলতান, পাঞ্জাব, পাকিস্তান
শাহী ইদগাহ মসজিদ পাকিস্তান-এ অবস্থিত
শাহী ইদগাহ মসজিদ
পাকিস্তানে অবস্থান
স্থানাঙ্ক৩০°১২′৩৯″ উত্তর ৭১°২৮′৪৪″ পূর্ব / ৩০.২১০৭৯৩৬° উত্তর ৭১.৪৭৮৯৩৮৮° পূর্ব / 30.2107936; 71.4789388
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীইন্দো-ইসলামি/মুঘল স্থাপত্য
সম্পূর্ণ হয়১৭৩৫
গম্বুজসমূহ

অবস্থান সম্পাদনা

শাহী ইদগাহ মসজিদ মুলতানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পুরনো শহরে অবস্থিত। মুলতান–লাহোর মহাসড়ক মসজিদটির পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে। ২০শ শতকের সুফি সাধক আহমদ সাঈদ কাজেমীর মাজার মসজিদটির অতি নিকটে অবস্থিত।

ইতিহাস সম্পাদনা

প্রতিষ্ঠা সম্পাদনা

মুঘল সম্রাট মুহাম্মদ শাহের শাসনামলে ১৭৩৫ সালে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়।[১] মুলতানের তৎকালীন মুঘল সুবেদার নওয়াব আবদুল সামাদ খান মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন।

শিখ শাসন সম্পাদনা

পাঞ্জাবে শিখ শাসনামলে শিখদের হাতে মুলতানের পতনের পর তারা মসজিদটিকে অস্ত্রশালায় পরিণত করে এবং এখানে গোলা-বারুদ মজুদ করা হয়।[২] ১৮৪৮ সালে শিখেরা প্রায় ২,০০০ সৈন্য নিয়ে এই মসজিদ ঘিরে ফেলে এবং দুই ব্রিটিশ গুপ্তচরকে হত্যা করে।[৩][৪][৫] এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সময় পরিক্রমায় ব্রিটিশরা মুলতান অবরোধ করে এবং একসময় শিখ সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। মুলতান অবরোধের সময় সংঘর্ষকালে ব্রিটিশদের গোলার আঘাতে মসজিদে মজুদ করা প্রায় ৪০,০০০ পাউন্ড বারুদ বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে মসজিদের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।[৬]

ব্রিটিশ শাসন সম্পাদনা

মুলতানে ব্রিটিশ শাসনের শুরুর দিকে মসজিদটি প্রশাসনের বিচারালয় হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে।[২] ডেপুটি কমিশনার এইচ.সি. কুকসনের সময়ে ১৮৯১ সালে মসজিদটি সংস্কার করা হয় এবং পুনরায় মুসলিমদের ধর্মীয় প্রার্থনার কাজে ব্যবহৃত হতে থাকে।[২]

আধুনিক যুগ সম্পাদনা

পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর আরও মুসল্লির নামাজের জায়গা ধারণের সুবিধার জন্য মসজিদটিকে আরও বর্ধিত করা হয়।

স্থাপত্য সম্পাদনা

মসজিদটি একটি বিশাল প্রাঙ্গণ ও নামাজের ঘরসহ বিশাল এলাকা নিয়ে অবস্থিত। মূল মসজিদ দৈর্ঘ্যে প্রায় ২৪০ ফুট ও প্রস্থে প্রায় ৫৪ ফুট জায়গা নিয়ে অবস্থিত। মসজিদের ছাদে মোট সাতটি গম্বুজ রয়েছে।

মসজিদের বহির্ভাগের দেয়াল মুলতানি রীতির চকচকে নীল টালি দিয়ে সজ্জিত। অন্যদিকে এর অন্তর্ভাগের দেয়াল জটিল কারুকাজে মণ্ডিত মোজাইক পাথর দিয়ে সজ্জিত।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Quarterly Journal of the Pakistan Historical Society, Volume 47। Pakistan Historical Society। ১৯৯৯। 
  2. Chaudhry, Nazir Ahmad (২০০২)। Multan Glimpses: With an Account of Siege and Surrender। Sang-e-Meel Publications। আইএসবিএন 9789693513516 
  3. The Indian Magazine and Review, Volume 26। National Indian Association in Aid of Social Progress and Education in India। ১৮৯৫। 
  4. Latif, Syad Muhammad (১৮৯১)। History of the Panjáb from the Remotest Antiquity to the Present Time। Calcutta Central Press Company। 
  5. Hakim, Adi (২০০৮)। With Cyclists Around the World। Roli Books Private Limited। আইএসবিএন 9789351940975 
  6. Yousaf, Mohammad (১৯৭১)। A Brief History of Multan। Ferozsons।