শহীদ তরিক উল্ল্যাহ বীর বিক্রম স্টেডিয়াম
শহীদ তরিক উল্ল্যাহ বীর বিক্রম স্টেডিয়াম বাংলাদেশের একটি উপজেলা পর্যায়ের স্টেডিয়াম।[১][২] এটি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলায় নোয়াখালী-ফেনী মহাসড়কের পাশে ছমিরমুন্সিরহাট পাড়ার আগে কাবিলপুর ইউনিয়নের আজিজপুর গ্রামে অবস্থিত।[৩] ক্রীড়া স্থাপনাটি নোয়াখালী জেলার তৃতীয় স্টেডিয়াম।[২] এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা তরিকউল্লাহ'র নামে নামকরণ করা হয়েছে। সেনবাগ উপজেলা স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত, ক্রীড়াস্থলটি বাংলাদেশের বেশিরভাগ স্টেডিয়ামের মতই এটিও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন ক্রীড়া স্থাপনা[৪] ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্ত্বাবধানে রয়েছে।[৫]
সেনবাগ স্টেডিয়াম | |
![]() | |
প্রাক্তন নাম | সেনবাগ উপজেলা স্টেডিয়াম |
---|---|
অবস্থান | সেনবাগ উপজেলা, নোয়াখালী, বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২২°৫৭′২২.১০″ উত্তর ৯১°১২′৩৫.৪০″ পূর্ব / ২২.৯৫৬১৩৮৯° উত্তর ৯১.২০৯৮৩৩৩° পূর্ব |
মালিক | জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ |
পরিচালক | সেনবাগ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা |
ধারণক্ষমতা | ৫০০০ |
উপরিভাগ | ঘাস |
স্কোরবোর্ড | নেই |
নির্মাণ | |
কপর্দকহীন মাঠ | ২০০৩ |
নির্মিত | ২০০৩-২০০৬ |
চালু | ২০০৭ |
নির্মাণ ব্যয় | ৳ ৫,৭৯,১৩,০০০ |
নির্মাণ
সম্পাদনাজাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের ১১টি উপজেলায় পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এটি সেগুলির মধ্যে একটি।[৬] ২০০৩ সালে স্টেডিয়ামটি নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও নির্মাণ শুরু হয়। ২০০৩ হতে ২০০৬ পর্যন্ত ধাপে ধাপে ৫ কোটি ৭৯ লাখ ১৩ হাজার টাকা ব্যয়ে স্টেডিয়ামটির বিভিন্ন অংশের নির্মাণকার্য চলে;[৭] ২০০৭ সালে এটির উদ্বোধন করা হয়।[৩] তবে স্টেডিয়ামটি একটি অসম্পূর্ণ ক্রীড়া স্থাপনা।[৮]
কাঠামো ও আয়োজন
সম্পাদনাস্টেডিয়ামটির আয়োতন ১০.৩০ একর। নির্ধারিত সীমা ও মাঠ থাকলেও এটি একটি অসম্পূর্ণ ক্রীড়া স্থাপনা। স্টেডিয়ামের মূল মাঠের চারদিকে গ্যালারী নেই, প্রবেশ পথের সাথে কিছু অংশে দুটি গ্যালারী আছে। এর ধারণক্ষমতা ৫,০০০।[৩] অসম্পূর্ণ হলেও স্টেডিয়ামটিতে বিদ্যালয় ভিত্তিক আঞ্চলিক এবং উপজেলা ফুটবল লিগের খেলা হয়ে থাকে।[৫] ২০০৮ সালে চেয়ারম্যান গোল্ডকাপ ও ২০১২ বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্ট -এ স্টেডিয়ামে আয়োজিত উল্লেখযোগ্য প্রতিযোগিতা।[৩]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "অবকাঠামো | অন্যান্য সকল"। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ২০২০-০২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৪।
- ↑ ক খ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন, নোয়াখালী জেলা। "নোয়াখালী জেলার খেলাধুলা ও বিনোদন সংক্রান্ত তথ্য"। www.noakhali.gov.bd। ২০২২-০১-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৭।
- ↑ ক খ গ ঘ রিয়াদ, মো. মিজানুর রহমান (২০২২-০২-১৬)। "স্টেডিয়ামে 'ঘাসের জঙ্গল'"। আজকের পত্রিকা। ২০২২-০২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-২০।
- ↑ "জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন ক্রীড়া স্থাপনা" (পিডিএফ)। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)। ৭ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৭।
- ↑ ক খ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন, সেনবাগ উপজেলা। "সেনবাগ উপজেলার খেলাধুলা ও বিনোদন"। www.senbug.noakhali.gov.bd। ২০২২-০১-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৭।
- ↑ ইসলাম, রফিকুল (২০২৪-০২-০৫)। "শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম প্রকল্প হাজার হাজার কোটি টাকার স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণে নেই কোনো বরাদ্দ"। জাগো নিউজ। ২০২৪-০২-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৩।
- ↑ "Upazila Stadium | National Sports Council l Ministry of Youth and Sports"। web.archive.org। ২০১৫-০১-০২। Archived from the original on ২০১৫-০১-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১০।
- ↑ ইসলাম, রাহেনুর (২০২৩-০২-২০)। "সাপের ভয়ে কেউ ঢোকে না স্টেডিয়ামে"। কালের কণ্ঠ। ২০২৩-০২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-২০।