লালচাঁদ রাজপুত

ভারতীয় ক্রিকেটার ও কোচ

লালচাঁদ সীতারাম রাজপুত (এই শব্দ সম্পর্কেউচ্চারণ ; জন্ম: ১৮ ডিসেম্বর, ১৯৬১) মহারাষ্ট্রের বোম্বে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ভারতের বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন লালচাঁদ রাজপুত। মাঝে-মধ্যে অফ স্পিন বোলিং করতেন। বর্তমানে তিনি আফগান ক্রিকেট দলে কোচের দায়িত্ব পালন করছেন।

লালচাঁদ রাজপুত
Indian staff2.jpg
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামলালচাঁদ সীতারাম রাজপুত
জন্ম (1961-12-18) ১৮ ডিসেম্বর ১৯৬১ (বয়স ৬১)
বোম্বে, মহারাষ্ট্র
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরন-
ভূমিকাব্যাটসম্যান, কোচ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা
রানের সংখ্যা ১০৫
ব্যাটিং গড় ২৬.২৫ ৩.০০
১০০/৫০ -/১ -/-
সর্বোচ্চ রান ৬১
বল করেছে - ৪২
উইকেট - -
বোলিং গড় - -
ইনিংসে ৫ উইকেট - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং - -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/- ২/-
উৎস: ক্রিকইনফো, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

খেলোয়াড়ী জীবনসম্পাদনা

বোম্বে দলের পক্ষে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরূপে খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটে তার। একসময় সুনীল গাভাস্কারের পর ভারতের সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরূপে তাকে গণ্য করা হতো। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে সফলতা পেলেও সীমিত সুযোগপ্রাপ্তির ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সময়কালে ভারতের পক্ষে দুই টেস্ট ও চারটি ওডিআইয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন।

কোচিংসম্পাদনা

খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর সংক্ষিপ্তকালের জন্য ভারত দলের ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। বেশ কয়েকবছর যাবৎ ক্রিকেট প্রশাসনের সাথে জড়িয়ে রেখেছেন নিজেকে। তন্মধ্যে মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা অন্যতম।

এপ্রিল, ২০০৭ সালে বেঙ্গালুরুর একটি কোচিং ক্লিনিক পরিচালনা করেন।[১] ইংল্যান্ড সফরের পূর্বে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের কোচ মনোনীত হন।[২] ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত টুয়েন্টি২০ চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ী ভারত দলের ম্যানেজার ছিলেন তিনি।

জুন, ২০১৬ সালে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড রাজপুতকে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে নিযুক্তি প্রদান করে। তিনি পাকিস্তানি ইনজামাম-উল-হকের স্থলাভিষিক্ত হন। কোচ হিসেবে তার প্রতিপক্ষ ছিলেন - মোহাম্মদ ইউসুফ, হার্শেল গিবসকোরে কলিমোর[৩] তিনি দুই বছর মেয়াদে চুক্তিবদ্ধ হন যা ইউরোপ সফর শেষে চূড়ান্ত হয়।

বিতর্কসম্পাদনা

২০০৮ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম কিংস ইলাভেন পাঞ্জাবের খেলা শেষে হরভজন সিং শ্রীসান্তকে থাপ্পড় মারার পর তিনি হাসছিলেন যা ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এ ঘটনায় বিসিসিআই রাজপুতের ভূমিকায় নিন্দাজ্ঞাপন করে।[৪] ধারণা করা হয়েছিল যে, বিসিসিআই রাজপুতের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

আরও দেখুনসম্পাদনা

বহিঃসংযোগসম্পাদনা

পূর্বসূরী
ইনজামাম-উল-হক
আফগানিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ
২০১৬-
উত্তরসূরী
নির্ধারিত হয়নি