লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি: University of London) হল ইংল্যান্ডের লন্ডনে অবস্থিত একটি কলেজিয়েট[ক] ও গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়।[৫] এটি ১৮৩৬ সালের রাজকীয় চার্টার অনুসারে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৮৬৩ সালের রাজকীয় চার্টার অনুসারে মঞ্জুরীকৃত হয়। এটি বর্তমানে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯৪ ও এই আইনের বিধান অনুসারে পরিচালিত হচ্ছে।[৬] বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৮টি অধিভুক্ত কলেজ, ৯টি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও একটি কেন্দ্রীয় পরিষদ রয়েছে।[৭] এই কলেজিয়েট বিশ্ববিদ্যালয়টিতে লন্ডনের দ্বিতীয় প্রাচীনতম মেডিক্যাল স্কুল রয়েছে,[৮] এবং যুক্তরাজ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রথম কোন নারী ডিগ্রি গ্রহণের জন্য ভর্তি হয়[৯][১০] এবং যুক্তরাজ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রথম কোন নারীকে উপাচার্য করা হয়।[খ]
লাতিন: Universitas Londiniensis | ||||||||||||
ধরন | সরকারি | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
স্থাপিত | ১৮৩৬ | |||||||||||
আচার্য | দ্য প্রিন্সেস রয়্যাল | |||||||||||
উপাচার্য | স্যার আদ্রিয়ান স্মিথ[১] | |||||||||||
দর্শনার্থী | দ্য লর্ড প্রেসিডেন্ট অব দ্য কাউন্সিল এক্স অফিসিও | |||||||||||
শিক্ষার্থী | ২১৩,২৭০ (১৬১,২৭০ অভ্যন্তরীণ[২] ও ৫২,০০০ আন্তর্জাতিক প্রোগ্রাম)[৩] | |||||||||||
স্নাতক | ৯২,৭৬০ অভ্যন্তরীণ[২] | |||||||||||
স্নাতকোত্তর | ৬৮,৫০০ অভ্যন্তরীণ[২] | |||||||||||
অবস্থান | লন্ডন , ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ৫১°৩১′১৬″ উত্তর ০°০৭′৪৪″ পশ্চিম / ৫১.৫২১১১° উত্তর ০.১২৮৮৯° পশ্চিম | |||||||||||
উপ-উপাচার্য | এডওয়ার্ড বাইরন[৪] | |||||||||||
পোশাকের রঙ | ||||||||||||
ওয়েবসাইট | london.ac.uk | |||||||||||
এটি ১৬১,২৭০ ক্যাম্পাস-ভিত্তিক শিক্ষার্থী ও আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামের অধীনে আরো ৫০,০০০ শিক্ষার্থীসহ পূর্ণকালীন শিক্ষার্থীর সংখ্যার ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৯০০ সাল থেকে সংঘবদ্ধ কাঠামোতে পরিবর্তিত হয়।
বেশিরভাগ অধিভুক্ত কলেজ যুক্তরাজ্যের সেরা ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিংয়ে রয়েছে এবং ভর্তি থেকে শুরু করে তহবিল গঠন পর্যন্ত এই কলেজগুলো স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়। বর্তমানে কয়েকটি কলেজ তাদের নিজেদের ডিগ্রি প্রদান করার অধিকার লাভ করেছে এবং বাকিগুলো সংঘবদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বৃহত্তম দশটি কলেজ হল ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, কিংস কলেজ লন্ডন, কুইন ম্যারি, সিটি, বার্কবেক, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স, রয়্যাল হলোওয়ে, গোল্ডস্মিথস, এসওএএস, এবং সেন্ট জর্জস। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বিশেষায়িত কলেজগুলো হল লন্ডন বিজনেস স্কুল, রয়্যাল ভেটারিনারি কলেজ এবং হেথ্রপ কলেজ। এই কলেজগুলো দর্শন ও ধর্মতত্ত্বে বিশেষায়িত। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন পূর্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য ছিল, ১০০৭ সালে এটি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা হয়ে যায়।[১১] সিটি সবচেয়ে সাম্প্রতিক অধিভুক্ত কলেজ, এটি ২০১৬ সালের ১লা সেপ্টেম্বর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগ দেয়।[১২]
২০১৫ সাল পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ২ মিলিয়ন শিক্ষার্থী পাস করেছেন।[১৩] যাদের মধ্যে ১২ জন শাসক, ৫২ জন রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী, ৮৪ জন নোবেল বিজয়ী, ৬ জন গ্র্যামি বিজয়ী, ২ জন অস্কার বিজয়ী এবং ৩ জন অলিম্পিক স্বর্ণপদক বিজয়ী রয়েছে। কলেজিয়েট গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েকটি দেশের জাতির জনক পড়াশুনা করেছেন।[গ]
পাদটীকা
সম্পাদনা- ↑ All students from all constituent colleges, central bodies and Institutes are members of their respective institutions and are also University of London students and alumni. The University of London has a Collegiate Council which advises the Board of Trustees on the strategic direction of the university, and is responsible for ensuring the proper discharge of its academic affairs. It is chaired by the Vice-Chancellor, and its membership comprises the Deputy Vice-Chancellor (who is the Deputy Chair), all the Heads of the Colleges, the Dean and Chief Executive of the School of Advanced Study, and the Chief Executive of the University of London International Programmes.
- ↑ Dame Lillian Penson served as Vice-Chancellor of University of London collegiate system from 1948–1951. She became the first female, in the history of the United Kingdom, to be appointed to lead a university.
- ↑ লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ ও কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েকটি দেশের "জাতির জনক বা স্থপতি" স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মোহনদাস করমচন্দ গান্ধী, নেলসন ম্যান্ডেলা, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, লি কুয়ান ইউ, সিউসাগুর রামগুলাম, জোমো কেনিয়াত্তা, কোয়ামে নক্রুমা।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "UOL Vice-Chancellor - Professor Sir Adrian Smith" (ইংরেজি ভাষায়)। University of London। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৮।
- ↑ ক খ গ Combined total of "Where do HE students study?"। উচ্চ শিক্ষা পরিসংখ্যান এজেন্সি। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০২০। The listed institutions in the total are Birkbeck, Central School of Speech and Drama, City, University of London, Courtauld Institute of Art, Goldsmiths, Institute of Cancer Research, Institute of Education, King's College, Business School, School of Economics, School of Hygiene and Tropical Medicine, Queen Mary, Royal Academy of Music, Royal Holloway, Royal Veterinary College, School of Oriental and African Studies, St George's, Central institutes & activities and Heythrop College.
- ↑ "Financial Statements 2014-15" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। University of London। পৃষ্ঠা 7। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "UOL - Professor Ed Byrne AC" (ইংরেজি ভাষায়)। University of London। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Governance of the University of London"। University of London (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "University of London Act 1994"। Legislation.gov.uk (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "About us" (ইংরেজি ভাষায়)। University of London। ২২ জুন ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "The spooky secrets of London's oldest medical school"। Times Higher Education (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "The first women at university: remembering 'the London Nine'"। Times Higher Education World University Rankings (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "The spooky secrets of London's oldest medical school"। University of London International Programmes (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Imperial College splits from University of London"। দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ অক্টোবর ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৮।
- ↑ Grove, Jack (১৬ জুলাই ২০১৫)। "City University London to join University of London"। Times Higher Education (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "UOL - Alumni and Friends" (ইংরেজি ভাষায়)। University of London। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৮।
আরও পড়ুন
সম্পাদনা- Harte, Negley (২০০০)। University of London: An Illustrated History: 1836–1986 (ইংরেজি ভাষায়)। London: A&C Black। আইএসবিএন 9780567564498।
- Thompson, F. M. L. (১৯৯০)। The University of London and the World of Learning, 1836–1986 (ইংরেজি ভাষায়)। London: A&C Black। আইএসবিএন 9781852850326।
- Willson, F. M. G. (১৯৯৫)। Our Minerva: The Men and Politics of the University of London, 1836–58 (ইংরেজি ভাষায়)। London: Athlone Press। আইএসবিএন 9780485114799।
- Willson, F. M. G. (২০০৪)। The University of London, 1858–1900: The Politics of Senate and Convocation (ইংরেজি ভাষায়)। London: Boydell Press। আইএসবিএন 9781843830658।