রেলওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগ
বাংলাদেশে ২,৮০০ কিলোমিটার রেললাইন পরিচালনা করা হয় দুটি রেলওয়ে অঞ্চলের চারটি বিভাগের মাধ্যমে। বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগ, ময়মনসিংহ বিভাগ, সিলেট বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিভাগ নিয়ে এই পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে অঞ্চলটি গঠিত এবং রংপুর বিভাগ, রাজশাহী বিভাগ, ও খুলনা বিভাগ নিয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে গঠিত। পূর্বাচল রেলওয়ের প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রামে অবস্থিত।[১][২] পূর্বাঞ্চল রেলওেয়ের অধীনে রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২৭৯ কিলোমিটার[৩], রেলপথে তিন ধরনের রেললাইন রয়েছে। যথা: ব্রডগেজ, মিটারগেজ ও ডুয়েল গেজ। পূর্বাঞ্চল রেলওেয়ের অধীনে থাকা দুইটি বিভাগ হচ্ছে রেলওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগ এবং রেলওয়ে ঢাকা বিভাগ।[৪]
কার্যক্রম
সম্পাদনাদখল
সম্পাদনারেলওয়ের ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে বেদখলে আছে দুই হাজার একর জমি। শুধুমাত্র চট্টগ্রাম শহরেই বেদখলে আছে রেলের প্রায় ২০ একর জমি। সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এ ২০ একর জমির আনুমানিক মূল্য হাজার কোটি টাকা। একইভাবে, শুধুমাত্র ঢাকা শহরে অবৈধ দখলে রয়েছে রেলের প্রায় ৫০ একর জমি। যার আনুমানিক মূল্য চার হাজার কোটি টাকা। বেদখলে থাকা এসব জমি উদ্ধারে রেল প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করলেও স্থায়ীভাবে মিলছে না সমাধান। উদ্ধার হওয়া জায়গা রক্ষায় বরাবরই উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে রেল। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে রেলের কর্মচারী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী মহল। যার বদৌলতে রেলের জমি দখলে নিয়ে আবাসন তৈরি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি মহল।[৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "ডিটিওর দাপটে দিশাহারা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল"। আমাদের সময় (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৯।
- ↑ ব্যুরো, চট্টগ্রাম। "৭ বিঘা জায়গা উদ্ধার করলো চট্টগ্রাম রেলওয়ে"। DailyInqilabOnline (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৯।
- ↑ "চার অঞ্চলে ভাগ হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে"। banglanews24.com। ২০১৭-০২-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৯।
- ↑ "ডিজিটাল হচ্ছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ট্রাফিক সিস্টেম"। m.mzamin.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৯।
- ↑ "রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল: ৮ স্পটে উচ্ছেদ ফেব্রুয়ারির শুরুতে"। দৈনিক পূর্বকোণ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০১-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]