রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকা
রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকা রুশ সরকারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত রুশ ভাষা, কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি প্রচার-প্রসার এবং পরিচিতির লক্ষে প্রতিষ্ঠিত একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের পারস্পরিক সংস্কৃতি বিনিময় কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সোভিয়েত সেন্টার অব সায়েন্স অ্যান্ড কালচার হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[১] বর্তমানে এটি ঢাকার ধানমন্ডি লেকের পূর্ব পাড়ে লেক মসজিদের উত্তর দিকে ভাষা সৈনিক এমএ মতিন সড়কে অবস্থিত।[২][৩] ২০১৪ সালে এই সাংস্কৃতিক কেন্দ্ররে ৪০ বছর পূর্তী উদ্যাপিত হয়।[১][৪]
গঠিত | ১৯৭৪ |
---|---|
প্রতিষ্ঠাতা | রুশ সরকার |
প্রতিষ্ঠাস্থান | ঢাকা |
আইনি অবস্থা | সক্রিয় |
অবস্থান |
|
দাপ্তরিক ভাষা | রুশ |
পরিচালক | ম্যাক্সিম দোব্রখোতভ |
ভবন
সম্পাদনাএই কেন্দ্রে একটি মিলনায়তন রয়েছে। এছাড়া চিত্রকর্ম প্রদর্শণীর জন্য রয়েছে গ্যালারি।
কার্যক্রম
সম্পাদনারাশিয়ান হাউস ইন ঢাকা বর্তমানে সংস্কৃতি বিষয়ক ৯টি ক্লাব পরিচালনা করছে।[১] এখানে রুশ ভাষা শিক্ষার কোর্স পরিচালিত হয়ে থাকে। এছাড়াও নৃত্য, সঙ্গীত, গিটার, চিত্রাংকন, যোগ, এবং মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে রূশ লেখকদের বই পড়ার ব্যবস্থাসম্পন্ন সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার রয়েছে। এই গ্রন্থাগার সংগ্রহে রয়েছে প্রায় ১২ হাজারেরও বেশি বই এবং অ্যালবাম।[৫] এছাড়াও তিন মাস পর পর এখানে রাশিয়ান চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়ে থাকে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ জয়ন্ত সাহা (ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪)। "শিল্পকলায় রুশ সাংস্কৃতিক উৎসব"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ঢাকা: bdnews24.com। ১২ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২২, ২০১৬।
- ↑ সাবিবর আহম্মদ, সৈয়দ (জানুয়ারি ২০০৩)। "ধানমন্ডি থানা"। সিরাজুল ইসলাম; আমিরুল ইসলাম চৌধুরী (অনলাইন)। বাংলাপিডিয়া (অনলাইন)। বাংলাদেশ: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৯, ২০১৬।
- ↑ "রাশিয়ান কালচারাল সেন্টার"। www.allaboutdhaka.com। allaboutdhaka.com। ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬। ১৭ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২২, ২০১৬।
- ↑ "রাশিয়ান সেন্টার অব সায়েন্স অ্যান্ড কালচার ইন ঢাকার ৪০ বছর পূর্তি"। দৈনিক আমার দেশ। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২২, ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "দেশসেরা ২৬ পাঠাগার"। নতুনসময়.কম। natunsomoy.com। জানুয়ারি ৫, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৯, ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]