রায়পুরের যুদ্ধ ১৭৪১ সালের ডিসেম্বরে উড়িষ্যার রায়পুরে বাংলার নবাব আলীবর্দী খান এবং মির্জা বাকেরের সৈন্যবাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হয়[][]। যুদ্ধটিতে নবাবের কিছু বিদ্রোহী সৈন্যও মির্জা বাকেরের পক্ষে যুদ্ধ করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আলীবর্দীর নিকট মির্জা বাকের পরাজিত হন[][]

রায়পুরের যুদ্ধ
মূল যুদ্ধ: মির্জা বাকেরের উড়িষ্যা অভিযান
তারিখডিসেম্বর ১৭৪১[]
অবস্থান
রায়পুর, উড়িষ্যা (তদানীন্তন বাংলার অন্তর্গত)
ফলাফল বাংলার নবাবের বিজয়[][]
বিবাদমান পক্ষ
বাংলা দ্বিতীয় মুর্শিদ কুলি খানের দল[]
সৈয়দ আহমদ খানের বিদ্রোহী সৈন্যদল[]
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী
আলীবর্দী খান অজ্ঞাত
মির্জা বাকের
শক্তি
অজ্ঞাত অজ্ঞাত
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
অজ্ঞাত অজ্ঞাত

পটভূমি

সম্পাদনা

১৭৪১ সালের মার্চে বাংলার নবাব আলীবর্দী খান উড়িষ্যা প্রদেশের বিদ্রোহী নায়েব নাযিম দ্বিতীয় মুর্শিদ কুলি খানকে পরাজিত ও বিতাড়িত করে নিজ ভ্রাতুষ্পুত্র সৈয়দ আহমদ খানকে উড়িষ্যার নতুন নায়েব নাযিম নিযুক্ত করেন। কিন্তু একই বছর আগস্টে দ্বিতীয় মুর্শিদ কুলির জামাতা মির্জা বাকের মারাঠা নেতা রঘুজী ভোঁসলের সৈন্যদের সহায়তায় সৈয়দ আহমদকে পরাজিত ও বন্দি করে উড়িষ্যা দখল করে নেন[]। সৈয়দ আহমদের সৈন্যবাহিনীর কিছু বিদ্রোহী সৈন্যও মারাঠাদের সঙ্গে যোগ দেয়। সৈয়দ আহমদ সপরিবারে বড়বাটি দুর্গে অন্তরীণ হন[]

যুদ্ধের ঘটনাবলি

সম্পাদনা

সৈয়দ আহমদের বন্দি হওয়ার সংবাদ পেয়ে নবাব আলীবর্দী সসৈন্যে উড়িষ্যায় আসেন। ১৭৪১ সালের ডিসেম্বরে রায়পুর নামক স্থানে নবাবের সৈন্যবাহিনী মির্জা বাকেরের নেতৃত্বাধীন মারাঠা সৈন্য ও সৈয়দ আহমদের বিদ্রোহী সৈন্যদের সম্মিলিত বাহিনীর মুখোমুখি হয়। নবাবের সৈন্যরা মির্জা বাকেরের বাহিনীকে আক্রমণ করে। যুদ্ধে মির্জা বাকেরের সৈন্যবাহিনীর শোচনীয় পরাজয় ঘটে[][]। পরাজিত মির্জা বাকের তার অবশিষ্ট সৈন্যসহ উড়িষ্যা থেকে পালিয়ে যান।

আরো দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. ড. মুহম্মদ আব্দুর রহিম, (বাংলাদেশের ইতিহাস), নবাব আলীবর্দী খান, পৃ. ২৯২–২৯৩
  2. মোহাম্মদ শাহ (২০১২)। "মারাঠা হামলা"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743