রামেন্দু মজুমদার
এই জীবিত ব্যক্তির জীবনীমূলক নিবন্ধটির তথ্য যাচাইয়ের জন্য অতিরিক্ত সূত্র থেকে উদ্ধৃতিদান করা প্রয়োজন। |
রামেন্দু মজুমদার (জন্ম ৯ আগস্ট ১৯৪১) খ্যাতিমান বাংলাদেশী অভিনেতা, মঞ্চ নির্দেশক, নির্মাতা। তিনি ঢাকার মঞ্চ নাটক আন্দোলনের পথিকৃৎ। মঞ্চের পাশাপাশি তিনি টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০০৯ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।[১][২]
রামেন্দু মজুমদার | |
---|---|
জন্ম | ৯ আগস্ট ১৯৪১ |
শিক্ষা | এম. এ (ইংরেজি) |
মাতৃশিক্ষায়তন | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | অভিনেতা, মঞ্চ নির্দেশক, নির্মাতা |
দাম্পত্য সঙ্গী | ফেরদৌসী মজুমদার |
সন্তান | ত্রপা মজুমদার |
পুরস্কার | একুশে পদক |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনারামেন্দু মজুমদারের জন্ম ১৯৪১ সালের ৯ আগস্ট লক্ষ্মীপুর জেলায়।[৩] তার পিতা কুন্তল কৃষ্ণ মজুমদার ও মাতা লীলা মজুমদার।[৪] তিনি লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৭ সালে মাধ্যমিক এবং পরবর্তীতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন।[৫] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে বিএ (অনার্স) ও এমএ পাস করেন।[৪][৬]
কর্মজীবন
সম্পাদনাপড়াশোনা শেষে তিনি অধ্যাপনাকে বেছে নেন পেশা হিসেবে। চৌমুহনী কলেজে বছর তিনেক অধ্যাপনার পর পেশা পরিবর্তন করে যোগ দেন বিজ্ঞাপন শিল্পে ১৯৬৭ সালে করাচীতে। ১৯৭২ এ দেশে ফিরে বিটপী অ্যাডভার্টাইজিং এ পরিচালক হিসেবে যোগ দেন।[৭] এবং ১৯৯৩ এ প্রতিষ্ঠা করেন এক্সপ্রেশানস্- যেখানে এখন তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত।[৭]
স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান
সম্পাদনাস্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি এবং বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা, বিবৃতির একটি ইংরেজি সংকলন সম্পাদনা করে দিল্লী থেকে প্রকাশ করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
অভিনয় জীবন
সম্পাদনা১৯৫৮ সাল থেকে তিনি মঞ্চে নিয়মিত অভিনয় ও নির্দেশনার কাজ শুরু করেন। ১৯৬১ সালে বেতারে ও '৬৫ সালে টেলিভিশনে নাট্যশিল্পী হিসেবে যুক্ত হন। মঞ্চে অভিনয় করছেন ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। দীর্ঘকাল তিনি সংবাদ উপস্থাপনায় করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাতিনি অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদারকে বিয়ে করেন। তাদের একমাত্র কন্যা - ত্রপা মজুমদার। ত্রপা একজন অভিনেত্রী ও নির্মাতা।[৮]
পুরস্কার
সম্পাদনা- ২০০৯: শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত একুশে পদকে ভূষিত হন।[৯]
- ২০১৭: শিল্প ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ড-২০১৬ থেকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন।[১০]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "গান্ধী শান্তি পুরস্কার পেলেন রামেন্দু মজুমদার"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-৩০।
- ↑ "রামেন্দু ও ফেরদৌসী মজুমদার করোনায় আক্রান্ত"। The Daily Star Bangla। ২০২০-০৮-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-৩০।
- ↑ "Bangladesh Centre / Centre de Bangladesh Ramendu MAJUMDAR" (পিডিএফ)। iti। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৭।
- ↑ ক খ Tobias Biancone (আগস্ট ৯, ২০১১)। "Ramendu Majumdar A man of goodwill, theatre and peace"। The Daily Star। এপ্রিল ২, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৮, ২০১৭।
- ↑ "পথিকৃৎ নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার"। bd-pratidin। জানুয়ারি ১৩, ২০১৭।
- ↑ Nadia Sarwat (আগস্ট ৪, ২০০৮)। "Revisiting a creative bond"। The Daily Star। এপ্রিল ২, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৮, ২০১৭।
- ↑ ক খ Fayza Haq (এপ্রিল ১১, ২০১৪)। "A Theatrical Journey"। The Daily Star।
- ↑ "রামেন্দু-ফেরদৌসী মজুমদার দম্পতি করোনায় আক্রান্ত"। Jugantor (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-৩০।
- ↑ Jamil Mahmud (ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০০৯)। "Another feather in the cap"। The Daily Star। এপ্রিল ২, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৮, ২০১৭।
- ↑ "রামেন্দু মজুমদার পাচ্ছেন আজীবন সম্মাননা"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২৬ জানুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- বাংলা মুভি ডেটাবেজে রামেন্দু মজুমদার