রানীকুঠির বাকী ইতিহাস
রানীকুঠির বাকী ইতিহাস ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র।[১] ছবিটি পরিচালনা করেন সামিয়া জামান। বাংলাদেশী স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এনটিভি ছবিটি প্রযোজনা করে, এটি এনটিভির দ্বিতীয় প্রযোজনার ছবি। চলচ্চিত্রটি ২০০৬ সালের ৬ জুন মুক্তি পায়।[২] ছবির প্রধান চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেন ফেরদৌস, পপি, আলমগীরসহ আরও অনেকে।[৩]
রানীকুঠির বাকী ইতিহাস | |
---|---|
![]() ভিসিডি প্রচ্ছদ | |
পরিচালক | সামিয়া জামান |
প্রযোজক | এনটিভি |
রচয়িতা | সামিয়া জামান |
শ্রেষ্ঠাংশে | ফেরদৌস পপি আলমগীর তারিক আনাম খান রহমত আলী অরুনাভ অঞ্জন ম ম মোর্শেদ আহসানুল হক মিনু |
সুরকার | এস আই টুটুল |
চিত্রগ্রাহক | মাকসুদুল বারী |
সম্পাদক | জুনায়েদ হালিম |
পরিবেশক | এনটিভি |
মুক্তি |
|
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
কাহিনী সংক্ষেপ
সম্পাদনামম ও রুদ্রর বিয়ে হয় খুব অল্প পরিচয়ে। তার পরপরই রুদ্রর কাজের সূত্রে মফস্বলে নির্জনতায় ঘেরা রোমান্টিক পরিবেশে জীবন শুরু করে। বাড়িটার প্রতি মমর এক বিশেষ আকর্ষণ। প্রথম থেকে বাড়িটাকে ওর খুব পরিচিত মনে হয়েছে। নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে মম এক সময় বুঝতে পারে সে এ বাড়িতে নিশ্চয়ই কখনো ছিলো কিন্ত ওর কাছে বাড়িটার কোন স্মৃতি নেই। মা ছোট বেলায় ওকে ফেলে অন্যের সাথে পালিয়ে যায়, বাবাও তার পরপরই মারা যায়। প্রথম ঘটনাটি লজ্জার আর দ্বিতীয়টি দুঃখের। সেজন্যেই বোধহয় ওর আত্মীয়রা ওকে হোস্টেলে রেখে মোটামুটি দায়িত্বের সাথে মানুষ করলেও ছোটবেলার কোন ঘটনা স্পষ্ট করে তাকে কিছু জানায়নি।
মমর কাছে বাড়িটা খুব ভাল লাগলেও, মাঝে মাঝে সে একটু ভয়ও পাচ্ছিল। এক সময় বিষয়টি একটু গুরুতর রূপ নিল যখন সে সিঁড়ির কাছে স্পষ্ট এক মহিলার মৃতদেহ দেখতে শুরু করল। এটাকি তার কোন স্মৃতি নাকি স্রেফ কল্পনা? সত্যি এ বাড়িতে কোন মহিলা খুন হয়েছিল? যদি হয়ে থাকে, কি তার পরিচয়? কে খুন করল তাকে? কেন খুন করল? এ বাড়িকে ঘিরে কোন খুনের কথা কেউ তাদের বলেনি, তবে......?
যখন জানা গেল, মম সত্য এ বাড়িতে খুব ছোটবেলায় ছিল, তখন রুদ্র বুঝতে পারল রহস্যের চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে মমরই অতীতে। তারা বিশ বছর আগের স্থানীয় মানুষগুলোকে খুঁজে বের করা শুরু করল।
খোঁজখবর করতে গিয়ে মম আর রুদ্র বুঝতে পারল, মৃতদেহের রহস্য তারা হয়তো সমাধান করতে পারবে, কিন্ত সে সত্য ভয়ঙ্কর হতে পারে। মম কি সেই নিষ্ঠুর সত্যের মুখোমুখি হতে পারবে? নাকি বিশ বছর আগের খুনের কিনারা করতে গিয়ে মমর জীবন বিপন্ন হয়ে পড়বে?
শ্রেষ্ঠাংশে
সম্পাদনা- ফেরদৌস - রুদ্র
- পপি - মম
- আলমগীর -
- তারিক আনাম খান -
- রহমত আলী -
- অরুনাভ অঞ্জন -
- ম ম মোর্শেদ -
- আহসানুল হক মিনু -
পুরস্কার
সম্পাদনা- বিজয়ী শ্রেষ্ঠ গায়ক: আসিফ আকবর ২০০৬
- বিজয়ী শ্রেষ্ঠ গায়িকা: সামিনা চৌধুরী ২০০৬
- সেরা কণ্ঠশিল্পী (নারী): সামিনা চৌধুরী (গান: "আমার মাঝে নেই")
- চলচ্চিত্র সমালোচক বিশেষ পুরস্কার: মাকসুদুল বারী
সংগীত
সম্পাদনারানীকুঠির বাকী ইতিহাস ছবির সংগীত রচনা করেছেন বাংলাদেশের বিখ্যাত গীতিকার কবির বকুল এবং সংগীত পরিচালনা করেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক এস আই টুটুল।
সাউন্ড ট্র্যাক
সম্পাদনানং. | শিরোনাম | শিল্পী | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|---|
১. | "আমার মাঝে নেই এখন আমি" | আসিফ আকবর ও সামিনা চৌধুরী | ৬:১১ |
২. | "স্বপ্ন তুমি সত্যি তুমি" | আসিফ আকবর ও সামিনা চৌধুরী | ৫:৩৫ |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ এস আই টুটুল এর সাথে ঘরোয়া আড্ডায় [অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "রানীকুঠির বাকী ইতিহাস (২০০৬)"। বাংলা মুভি ডাটাবেজ। ২৮ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ বাংলা - 'রানীকুঠির বাকী ইতিহাস'[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]