রাধানগর
রাধানগর (ইংরেজি: Radhanagar or Radhanagore) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার একটি গ্রাম। এই খানাকুল শহর হল বাংলার নবজাগরণের পুরোধা ব্যক্তিত্ব রাজা রামমোহন রায়ের পৈতৃক বাসস্থান। এটি খানাকুলের নিকটবর্তী একটি গ্রাম। তারকেশ্বর অথবা আরামবাগ পৌরশহর হতে পৌঁছানো যায়। খানাকুল শহর এর কাছেই মুন্ডেশ্বরী নদী প্রবাহিত।
রাধানগর রাধানগর | |
---|---|
খানাকুল শহর আর অন্তর্গত | |
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত, ভারত | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৪৩′৩৫″ উত্তর ৮৭°৫১′৫৮″ পূর্ব / ২২.৭২৬৫১৩° উত্তর ৮৭.৮৬৬০৩৫° পূর্ব | |
Country | ![]() |
State | পশ্চিমবঙ্গ |
District | হুগলি |
উচ্চতা | ১২ মিটার (৩৯ ফুট) |
Languages | |
• Official | বাংলা, ইংরাজী |
সময় অঞ্চল | IST (ইউটিসি+5:30) |
PIN | ৭১২ ৪০৬ |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | IN-WB |
রাজা রামমোহনের পৈতৃক বাড়ি নাঙ্গুলপাড়ায়। তার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ এখনও দেখতে পাওয়া যায় সেখানে। এই খানাকুল শহর এ তার স্মৃতিতে একটি স্নাতক স্তরের কলেজ স্থাপিত হয়েছে।
এছাড়াও বাংলার বর্ধিষ্ণু সর্বাধিকারী পরিবারের বহু জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিত্বেরও জন্মস্থান রাধানগর। এঁরা হলেন 'সঙ্গীতলহরী' ও 'তীর্থভ্রমণ' গ্রন্থের রচয়িতা যদুনাথ সর্বাধিকারী ও তার খ্যাতিমান পুত্র ও পৌত্রেরা। তারা হলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ঘনিষ্ট ও আবাল্য বন্ধু প্রসন্নকুমার সর্বাধিকারী। তার ভ্রাতা বিখ্যাত চিকিৎসক সূর্যকুমার সর্বাধিকারী, যশস্বী সাংবাদিক ও হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক রাজকুমার সর্বাধিকারী। সূর্যকুমার সর্বাধিকারীর সাত পুত্রের জ্যেষ্ঠ হলেন ডা সত্যপ্রসাদ, দ্বিতীয় পুত্র শিক্ষাব্রতী ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বেসরকারী উপাচার্য দেবপ্রসাদ সর্বাধিকারী, তৃতীয়জন শল্যচিকিৎসক সুরেশপ্রসাদ একমাত্র বেসরকারী ব্যক্তি হয়েও আই.এম.এস এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল উপাধি লাভ করেছিলেন। আর এক পুত্র নগেন্দ্রপ্রসাদ ছিলেন ভারতের ফুটবল খেলার জনক ও খ্যাতনামা ক্রিকেটার। [১]
খানাকুল শহর এর কাছেই হুগলি জেলার কামারপুকুর শ্রীরামকৃষ্ণের ও পার্শ্ববর্তী পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান।
ভূগোল
সম্পাদনা5miles
River
River
Bayara
M: municipal city/ town, R: rural/ urban centre, H: historical/ religious centre
Owing to space constraints in the small map, the actual locations in a larger map may vary slightly
অঞ্চল একদৃষ্টিতে
সম্পাদনামানচিত্রে অনুযায়ী উপস্থাপিত আরামবাগ মহকুমাকে দ্বারকেশ্বর নদ পূর্ব ও পশ্চিমে দুটি অংশে বিভক্ত করেছে। পশ্চিম অংশটি উজানের ও পাথুরে - এটি পার্শ্ববর্তী বাঁকুড়া জেলার ভূখণ্ডের সম্প্রসারণ। পূর্ব অংশটি পলল মাটির সমতল অঞ্চল। এই অংশে রেলপথ, রাস্তাঘাট আছে এবং বন্যা-নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাদিও এই অংশে। [২] অঞ্চলটিতে গ্রামীণ জনসংখ্যা ৯৯.৭৭% এবং শহরাঞ্চলের জনসংখ্যা ৫.২৩% জনগোষ্ঠী বসবাস করে। [৩]
দ্রষ্টব্য: মানচিত্রটি মহকুমার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অবস্থান উপস্থাপন করেছে। মানচিত্রে চিহ্নিত সমস্ত স্থান বৃহত্তর পূর্ণ পর্দার মানচিত্রে লিঙ্কযুক্ত।
গ্রাম পঞ্চায়েত
সম্পাদনাখানাকুল ১ নম্বর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত রামমোহন ১ এবং রামমোহন ২। রাধানগর ও নাঙ্গুলপাড়া উভয়ই রামমোহন ১ এর অন্তর্গত।
রামমোহন -১ গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামগুলি হল - গৌড়াঙ্গপুর, জগন্নাথপুর, আমরপুর, জাকরি, সারদা, কলিম্বা, রঘুনাথপুর, নাঙ্গুলপাড়া, সাহানপুর, চক সোনাটিক্রি, ধামলা, পশ্চিম রাধানগর এবং সেনপুর। রামমোহন -২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামগুলি হল- শ্রীরামপুর, কায়বা, আটঘরা, সেকেন্দারপুর, গোবিন্দপুর, খামারগোড়, মাইখন্দ এবং হেলান।
ডেমোগ্রাফিক্স
সম্পাদনাপশ্চিম রাধানগর গ্রামের জনসংখ্যা হল ২,২২০ এবং নাঙ্গুলপাড়ার ১,৬৩৮ জন। বালিপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পূর্ব রাধানগরের জনসংখ্যা ৪,৮৭৮
শিক্ষা
সম্পাদনা১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে রাধানগর গ্রামে একটি স্নাতক স্তরের ডিগ্রি কলেজ রাজা রামমোহন রায় মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। [৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ "District Census Handbook: Hugli, Series-20, Part XIIA" (পিডিএফ)। Physiography, Page 17-19। Directorate of Census Operations, West Bengal, 2011। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "District Statistical Handbook 2014 Hooghly"। Table 2.2, 2.4(a)। Department of Planning and Statistics, Government of West Bengal। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "Raja Rammohan Roy Mahavidyalaya"। RRRM। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৭।