ওমানের রাজকীয় বিমানবাহিনী
ওমানের রাজকীয় বিমানবাহিনী (রাফো বা আরএএফও — سلاح الجو السلطاني عمان - Silāḥ al-Jaww as-Sulṭāniy ‘Umān) হচ্ছে ওমানের বিমানবাহিনী।
ওমানের রাজকীয় বিমানবাহিনী سلاح الجو السلطاني العماني | |
---|---|
প্রতিষ্ঠা | ১৯৫৯ সালের মার্চ থেকে |
দেশ | ওমান |
কমান্ডার | |
রাফোর কমান্ডার | এয়ার ভাইস মার্শাল মাতার বিন আলি আল ওবাইদানি |
প্রতীকসমূহ | |
Fin flash | |
পতাকা | |
আগের চিহ্ন | |
বিমানবহর | |
জঙ্গী বিমান | লকহিড মার্টিন এফ-১৬সি/ডি ফাইটিং ফ্যালকন / বেই হাক ২০৩ |
প্রশিক্ষণ বিমান | বেই হাক ১০৩, পিলাটাস পিসি-৯এম, পিএসি সুপার এমএফআই-১৭ মুশশাক |
পরিবহন বিমান | এয়ারবাস এ৩২০ সিজে, লকহিড সি-১৩০ হারকিউলাস, ডোরনিয়ার ডো ২২৮-১০০ |
ইতিহাস
সম্পাদনাওমানের সুওলতানের বিমানবাহিনীর সময়কাল
সম্পাদনাওমানের সুওলতানের বিমানবাহিনী (এস.ও.এ.এফ) ব্রিটিশ কর্মী ও বিমান দ্বারা ১৯৫৯ সালের মার্চে গঠিত হয় । প্রথম বিমান দুটি স্কটিশ বিমান রয়েল এয়ার ফোর্স থেকে স্থানান্তর করা হয়।তাদের প্রথম স্বশস্ত্র বিমান ছিল পার্সিভাল প্রভোষ্ট । ১৯৬৮ সালে এস.ও.এ.এফ প্রথম ২৪ টি প্রশিক্ষক বেক স্ট্রাইকমাষ্টার জেট বিমান এবং হালকা যুদ্ধ বিমান পায় ধোফার অঞ্চলের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অপারেশন পরিচালনা করার জন্য । ১৯৪৭ সালে এস.ও.এ.এফ ব্রিটেনের নরম্যান ডিফেন্ডার, বাক ওয়ান ইলেভেনের, বাক ভিসি-১০ এবং ৩২ টি হকার হান্টার বিমান গুলো বৃদ্ধি করে আক্রমণ পরিচালনা করার জন্য । ১৯৭৭ সালে যুক্ত হয় জাগোয়ার ইন্টারনেশনাল,তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৮০ সালের যুক্ত হয় বেই হাক ।
ওমানের রাজকীয় বিমানবাহিনীর সময়কাল
সম্পাদনা১৯৯০ সালে এস.ও.এ.এফ এর নাম পরিবর্তন করে ওমানের রাজকীয় বিমানবাহিনী(আরএএফও বা রাফো) করা হয়।১৯৯৩ এবং ১৯৯৪ সালে আরএএফও বা রাফো হাক হান্টার এর সাথে চারটি বেই হাওক মক ১০৩ জঙ্গী বিমান-প্রশিক্ষক এবং ১২টি একক আসনের হাওক মক ২০৩ এর সঙ্গে স্থলাভিষিক্ত করা হয় , ওয়েস্টিংহাউস এপিজি-৬৬এইচ রাডার দিয়ে সজ্জিত করা , যাতে করে হালকা স্থল আক্রমণ/আটক করা যায় । নতুন যুদ্ধ বিমান মূল্যায়নের পর রাফো ১৯৯৭ সালে 21 শতকের দ্বিতীয় দশক পর্যন্ত তার অবশিষ্ট ১৭ সেপেকেট জাগুয়ার স্থল আক্রমণকারী যোদ্ধবিমান গুলো সংষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় । জাগুয়ার বিমানগুলোর সংষ্কারের জন্য যুক্তরাষ্টের প্রতিবক্ষামন্ত্রণালয়ের সাথে ৪০ মিলিয়ন ডলারের একটা চুক্তি স্বাক্ষর করা হয় ।২০০৫ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র উন্নত জিপিএস / আইএনএস দিয়ে সজ্জিত করা এফ -১৬ এর মধ্য দিয়ে ডেলিভারি দেওয়া শুরু করে । বিমানটি একযোগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে ; এজিএম-৮৮ হার্ম ক্ষেপণাস্ত্র , জেডিএএম, জেএসওডব্লিও এবং ডব্লিওসিমডি. ব্লক ৫০ বিমান পরিচালিত হয় এফ১১০-জিই-১২৯ দ্বারা যখন ব্লক ৫২ জেট এফ১০০-পিডব্লিউ-২২৯ ব্যবহার করে।
৩ আগস্ট ২০১০ মার্কিন প্রতিরক্ষা সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সির বিজ্ঞাপন এ ওমানের সাথে চুক্তি অনুযায়ী ১৮ এফ -১৬ ব্লক ৫০/৫২ এর সম্ভাব্য বিক্রয়মূল্য ৩.৫ বিলিয়ন ডলার ধরা হয় ।নতুন যুদ্ধ বিমান ছাড়াও, রাফো এর সাথে চুক্তি অনুযায়ী তাদের তালিকায় মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ১২ এফ -১৬ সি / ডি এর সংষ্কার করা হয় । ২০১১ সালের ১৪ ই ডিসেম্বর ঘোষণা করা হয় যে ওমান ১২ এফ ১৬এস সি/ডিএস এর সাথে যোগদানের জন্য একটি অতিরিক্ত ১২ এফ ১৬সি / ডি ব্লক ৫০এস কিনতে সম্মত হয়েছে । ওমান ইউরোফাইটার টাইফোন বা জাস ৩৯ গ্রিপেন কিনার চিন্তা করছিল ,কিন্তু ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর মাস্কটে একটা চুক্তি স্বাক্ষর করা হয় যেখানে রাফো এর কাছে ১২ টি ইউরোফাইটার টাইফোন ফাইটার জেট , ৮ টি বে হাক এডভান্স প্রশিক্ষন জঙ্গি বিমান এর যা ২০১৭ সালের মধ্যে হস্থান্তর করতে হবে।
ভিত্তি
সম্পাদনাপ্রতিষ্ঠা | ইউনিট এবং বিমানের ধরন | মন্তব্য |
---|---|---|
রাফো আদাম | ইউরোফাইটার টাইফোন | বিমান ঘাঁটি বর্তমানে নির্মিত হচ্ছে.[কখন?] |
রাফো খাছাব | ১৪ নং স্কোয়াড্রনের (ডেট) সাথে এনএইচ৯০-টিটিএইচ | |
রাফো মুসান্নাহ | ১৪ নং স্কোয়াড্রনের (ডেট) সাথে এনএইচ৯০-টিটিএইচ | |
১৫ নং স্কোয়াড্রনের সাথে এনএইচ৯০-টিটিএইচ এবং সুপার লাইনেক্স এমকে.১২০ | ||
রাফো মাসিরাহ | ১ নং স্কোয়াড্রনের সাথে মুশশাক এবং পিসি-৯(এম) | |
৬ নং স্কোয়াড্রনের সাথে হাক ১০৩,হাক ১০৩এ এবং হাক ২০৩ | ||
১৫ নং স্কোয়াড্রনের (ডেট) সাথে সুপার লাইনেক্স এমকে.১২০ | ||
আরএএফও মাসকাট | ২ নং স্কোয়াড্রনের সাথে এসসি৭-৩এম-৪০২২ সিভান | মোসানা তে স্থানান্ত্ররিত হওয়া মাস্কাট আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের মধ্যে এয়ার বেস সহ-অবস্থিত |
৪ নং স্কোয়াড্রনের সাথে এ৩২০-২১৪সি.জে | ||
৪ নং স্কোয়াড্রনের সাথে এনএইচ৯০-টিটিএইচ এবং এসএ৩৩০জে | ||
১৬ নং স্কোয়াড্রনের সাথে সি-১৩০এইচ এবং সি-১৩০জে | ||
রাফো সাল্লাহ | ৩ নং স্কোয়াড্রনের সাথে এনএইচ৯০-টিটিএইচ, বেল ২০৬বি৩ ,বেল ৪২৯ এবং সুপার লাইনেক্স এমকে.১২০ | |
৫ নং স্কোয়াড্রনের সাথে সি২৯৫এম | ||
রাফো থুমরেইট | ১৮ নং স্কোয়াড্রনের সাথে এফ-১৬সি-৫০-সিএফ এবং এফ-১৬ডি-৫০-সিএফ | স্কোয়াড্রনটি খুব শীগ্রই রাফো মোসান্নাতে সরানো হবে বলে আশা করা যায়. |
২০ নং স্কোয়াড্রনের সাথে এফ-১৬সি-৫০-সিএফ এবং এফ-১৬ডি-৫০-সিএফ |
বিমান
সম্পাদনাবর্তমান তালিকা
সম্পাদনাঐতিহাসিক বিমান
সম্পাদনা- ২৪ টি সেপেকাট জাগুয়ার এস/বি[৪][৫]
- ৩৩ টি হকার হান্টার এফজিএ.৭৩\৭৩এ\৭৩বি,এফআর.১০,টি.৬৬
- ৪ টি ডোগলাস সি-৪৭ ডাকটা
- ৫ টি ডে হাভিল্লান্ড কানাডা ডিএইচসি-২ বেভার
- ৬ টি ডে হাভিল্লান্ড কানাডা ডিএইচসি-৪ বেভার
- ৪ টি ডে হাভিল্লান্ড কানাডা ডিএইচসি-৫ডি বুফালো
- ৭ টি ভাইকার্স ভিসকাউন্ট
- ৯ টি পার্সিভাল প্রোভোস্ট এমকে ৫২
- ৪ টি ওয়েস্টল্যান্ড এজেক্স এইসসি.২
- ২৫ টি বাক ১৬৭ স্ট্রাইকমাষ্টার এমকে-৮২/৮২এ
- ২ টি পিলাটাস পিসি-৬ পোর্টার
- ৪ টি এফএফএ এএস-২০২ ব্রাভো
- ৪ টি স্কটিক এভিয়েশন পাইয়োনার
- ৮ টি ব্রিটেন-নরম্যান বিএন-২ আইল্যন্ডার
- ১ টি ভাইকার ভিসি-১০ (বর্তমানে এর নাম ব্রোকল্যান্ডস মিউজিয়াম)
- ৩ টি বেই বেক-১-১১
- ২ টি সেইবে সুপার-ফাল্ক [৬]
- ৩ টি আগুস্তা-বেল এবি২১২ টুইন হুয়ে[৬]
সেনাপতি
সম্পাদনাপ্রথম ওমানি এয়ার ফোর্স কমান্ড এয়ার ভাইস মার্শাল তালিব বিন মেরান বিন জামান আল রায়েসী যিনি ১৯৯০ সালের জুন নিযুক্ত হয়েছিল।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত থ "World Air Forces 2015 pg. 24"। Flightglobal Insight। ২০১৫। ১৯ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "Royal Air Force of Oman orders two Airbus A320 Corporate Jets"। airbus.com। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "Oman gets ready to induct C-130J"। arabianaerospace.aero। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ Oman retires last Jaguar strike aircraft - Flightglobal.com, 12 August 2014
- ↑ "RAFO retires Jaguar aircraft after 37 years in service"। Muscat Daily News। ২৩ অক্টোবর ২০১৪। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ "Aeroflight » Oman. Air Force"। aeroflight.co.uk।
- ↑ "The Evolution of Oman's Royal Air Force"। rafmuseum.org.uk। ৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৬।