যীশু সেনগুপ্ত

ভারতীয় অভিনেতা

যীশু সেনগুপ্ত (জন্ম বিশ্বরূপ সেনগুপ্ত; ১৫ মার্চ ১৯৭৭) একজন ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা, টেলিভিশন উপস্থাপক। তিনি প্রধানত বাংলা চলচ্চিত্রে এবং কয়েকটি হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। তিনি একটি বাংলা টিভি সিরিজ মহাপ্রভু (১৯৯৬) এর মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। যেখানে তিনি চৈতন্য মহাপ্রভুর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। পরবর্তীকালে, তিনি প্রিয়জন (১৯৯৯) এর মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি শ্যাম বেনেগলের জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস: দ্য ফরগোটেন হিরো (২০০৪) দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। তার কর্মজীবনে একটি টার্নিং পয়েন্ট আসে যখন তিনি ঋতুপর্ণ ঘোষের সাথে আবহমান ছবিতে কাজ করেন সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেন। তার পরবর্তী সময়ে আবার ঋতুপর্ণ ঘোষের সাথে সব চরিত্র কাল্পনিক এবং নৌকাডুবি চলচ্চিত্রের জন্য কাজ করেন তাকে সমালোচনামূলক এবং বাণিজ্যিক সাফল্যের উচ্চতর স্থানে নিয়ে গেছে। জাতিস্মরের মতো চলচ্চিত্রের জন্য অন্যান্য পরিচালকদের সাথে সেনগুপ্তের সহযোগিতা তাকে বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা হতে সক্ষম করেছিল।

যীশু সেনগুপ্ত
২০১৪ সালে যীশু
জন্ম
বিশ্বরূপ সেনগুপ্ত

(1977-03-15) ১৫ মার্চ ১৯৭৭ (বয়স ৪৭)
পেশাঅভিনেতা
কর্মজীবন১৯৯৬ – বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীনীলাঞ্জনা শর্মা (বি. ২০০৪)
সন্তানসারা, জারা
আত্মীয়অঞ্জনা ভৌমিক (শাশুড়ি) চন্দনা শর্মা (শালিকা)

যীশু ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত টি২০ টিম ইন্ডিয়ান সেলিব্রিটি ক্রিকেট লীগ এর অভ্যন্তরীণ অংশে কাজ করেছেন। কেরালা স্ট্রাইকার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে তার অর্ধশতক অনেক প্রশংসা অর্জন করে। ২০১২ সাল অনুযায়ী, যীশু বর্তমানে গানের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান সা রে গা মা পা: গানে গানে তোমার মনের উপস্থাপক হিসেবে কাজ করছেন, যা জি বাংলায় প্রচারিত হয়।

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

যীশু সেনগুপ্ত পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ১৯৭৭ সালের ১৫ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন।[][] তার জন্ম নাম ছিল বিশ্বরূপ সেনগুপ্ত।[] তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের একজন অভিনেতা উজ্জ্বল সেনগুপ্তের ছেলে। ২০০৪ সালে, তিনি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিকের বড় মেয়ে নীলাঞ্জনা শর্মাকে বিয়ে করেন।[] সারা ও জারা নামে তার দুই মেয়ে রয়েছে।[]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

প্রাথমিক সাফল্য এবং ব্যর্থতা

সম্পাদনা
 
২০০৭ সালে যীশু

যীশু তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন মহাপ্রভু নামের একটি টেলিভিশন ধারাবাহিক দিয়ে, যা দূরদর্শনে সম্প্রচারিত হয়। এই ধারাবাহিকে তিনি কনিষ্ঠ চৈতন্য মহাপ্রভুর চরিত্রে অভিনয় করে সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেন।[] ধারাবাহিকটি শেষ হওয়ার পরে তিনি চলচ্চিত্রে পা রাখেন প্রিয়জন ছবির মাধ্যমে, যা পরিচালনা করেন দীনেন সেনগুপ্ত। এটি বাণিজ্যিকভাবে এবং সমালোচকদের কাছে ব্যর্থ হয়।[] ২০০২ সালে তিনি ঠাকুরের ভূমিকায় অভিনয় করেন সুকান্ত রায়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্প ছেলেবেলা-তে, যেখানে দেবশ্রী রায় কাদম্বিনী দেবীর ভূমিকায় অভিনয় করেন।[] এরপর তিনি একাধিক সমালোচনামূলক এবং বাণিজ্যিকভাবে ব্যর্থ চলচ্চিত্রে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন।

তার বাংলা সিনেমায় অভিষেক ঘটে মনের মাঝে তুমি ছবির মাধ্যমে, যেখানে তিনি পার্শ্বভূমিকায় অভিনয় করেন। এই সিনেমাটি বাংলাদেশে ২০০৩ সালের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র ছিল। তিনি অভিমন্যু, কুরুক্ষেত্র, মহাগুরু, সংগ্রাম, সাজনী, গুরু, জন্মদাতা, চোরে চোরে মাসতুতো ভাই এবং প্রেমী-এর মতো বাণিজ্যিক ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০০৮ সালে, তিনি রোমান্টিক-কমেডি ছবি লাভ এবং বর আসবে এখনই-তে অভিনয় করেন।[] তিনি বলিউডে পা রাখেন শ্যাম বেনেগালের জীবনীভিত্তিক যুদ্ধের চলচ্চিত্র নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু: দ্য ফরগোটেন হিরো-এর মাধ্যমে।

ঋতুপর্ণ ঘোষের সাথে সহযোগিতা এবং সাফল্য

সম্পাদনা

অসংখ্য বাণিজ্যিকভাবে এবং সমালোচকদের কাছে ব্যর্থ সিনেমায় অভিনয়ের পর তিনি পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের সাথে পরিচিত হন। ঘোষের নির্দেশনায় তিনি কিছু সমালোচনাদকদের কাছে প্রশংসিত অভিনয় করেন, যার মধ্যে রয়েছে দ্য লাস্ট লিয়ার, সব চরিত্র কাল্পনিক (২০০৮), চিত্রাঙ্গদা, এবং অবোহমন-এ প্রতারিত স্বামীর চরিত্রে অভিনয়। সব চরিত্র কাল্পনিক ২০০৯ সালে বাংলা ভাষার সেরা চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেয়। 'টাইমস অফ ইন্ডিয়া-তে উল্লেখ করা হয়েছিল যে "যীশু সেনগুপ্ত মাদকাসক্তের ভূমিকায় তাঁর ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা অভিনয় করেছেন।" (চিত্রাঙ্গদা: দ্য ক্রাউনিং উইশ-এ)।

সেনগুপ্ত নৌকাডুবি-তে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, রাইমা সেন এবং রিয়া সেন-এর সাথে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে।[১০][১১]

হিন্দি চলচ্চিত্রে প্রত্যাবর্তন এবং সাম্প্রতিক কাজ

সম্পাদনা

সেনগুপ্ত অনুরাগ বসু পরিচালিত বর্ফী! ছবিতে অতিথি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে হিন্দি চলচ্চিত্রে প্রত্যাবর্তন করেন।[১২] তিনি সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত জাতিস্মর ছবিতে প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সাথে অভিনয় করেন, যা সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়।[১৩] ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি মুক্তিপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের কাছ থেকে ব্যাপক ইতিবাচক পর্যালোচনা পায় এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়। সেনগুপ্ত রানী মুখার্জি অভিনীত মর্দানি ছবিতে একটি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০১৫ সালে, তিনি অঞ্জন দত্ত পরিচালিত ব্যোমকেশ বক্সী ছবিতে ব্যোমকেশ চরিত্রে অভিনয় করেন।[১৪] এরপর তিনি সৃজিত পরিচালিত নাট্যধর্মী ছবি রাজকাহিনী-তে অভিনয় করেন। দুটি ছবিই মুক্তির পর বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়।[১৫]

২০১৫ সালে তাঁর আরেকটি মুক্তিপ্রাপ্ত মিউজিক্যাল ড্রামা ছবি আরশিনগর বাণিজ্যিকভাবে ব্যর্থ হয়, যদিও তাঁর অভিনয় সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা লাভ করে।[১৬] ২০১৬ সালে, তিনি ব্যোমকেশ ও চিড়িয়াখানা এবং জুলফিকার ছবিতে অভিনয় করেন। প্রথমটি বাণিজ্যিক এবং সমালোচনামূলকভাবে সফল হয়, যেখানে দ্বিতীয়টি বাণিজ্যিকভাবে সফল হলেও সমালোচকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পায়।

২০০৪ সালে, আবার অরণ্যে ছবির জন্য তিনি ১২তম কালাকার পুরস্কারে সেরা অভিনেতার পুরস্কার অর্জন করেন।[১৭] ২০১৭ সালে, তিনি ব্যোমকেশ ও চিড়িয়াখানা ছবির জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ইস্ট-এ সেরা অভিনেতা বিভাগে মনোনীত হন। এছাড়া জুলফিকার ছবিতে সেরা পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগেও মনোনয়ন লাভ করেন এবং স্টার জলসা পুরস্কারে সেরা নেতিবাচক চরিত্রের পুরস্কার অর্জন করেন। এরপর তিনি শিবপ্রসাদ মুখার্জি এবং নন্দিতা রায় পরিচালিত পোস্ত ছবিতে অভিনয় করেন।[১৮] ২০১৯ সালে, তিনি মনিকর্ণিকা: দ্য কুইন অফ ঝাঁসি ছবিতে গঙ্গাধর রাওয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন, যেখানে কঙ্গনা রানাউত ঝাঁসির রানির ভূমিকায় ছিলেন। ছবিটি বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়। পরবর্তী সময়ে, তিনি শকুন্তলা দেবী ছবিতে শকুন্তলা দেবীর স্বামী পরিতোষ ব্যানার্জির চরিত্রে অভিনয় করেন। বিদ্যা বালান ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিটি ২০২০ সালের জুলাইয়ে আমাজন প্রাইম ভিডিও-তে মুক্তি পায়। তিনি মহেশ ভাট পরিচালিত সড়ক ২ ছবিতে আলিয়া ভাট-এর বাবার চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটি ২০২০ সালের আগস্টে ডিজনি+হটস্টার-এ মুক্তি পায়। এরপর তিনি দুর্গমতী নামক হরর থ্রিলার ছবিতে এসিপি অভয় সিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটি ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পায়।[১৯]

অন্যান্য কাজ

সম্পাদনা

গণমাধ্যমে

সম্পাদনা

যীশু সেনগুপ্ত কলকাতা টাইমসের ২০১৫ সংস্করণে সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত পুরুষের প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন ।[২০] তিনি তার ২০১৫ সালের কমেডি নাট্য চলচ্চিত্র পিকুকে ঘিরে তৈরি হওয়া গুঞ্জনের জন্য জুলাই ২০১৫ সালে টাইমস সেলেবেক্সে ৪৯ তম স্থান অর্জন করেন ।[২১] তিনি ডাব্বু রত্নানির বং ক্যালেন্ডার ১৪২২- এ ও উপস্থিত হয়েছিলেন, এটি প্রথম ধরনের উদ্যোগ এবং ক্যালেন্ডারের লঞ্চ ইভেন্টে উপস্থাপিত হয়েছিল।[২২] পাওলি দামের সাথে তিনি আইটিসি সোনারে টাইমস ফুড গাইড ২০১৭ চালু করেন ।[২৩]

চলচ্চিত্র

সম্পাদনা

আরো দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Birthday wishes galore for Jisshu Sengupta"The Times of India। ২০১৯-০৩-১৫। আইএসএসএন 0971-8257। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-০৩ 
  2. "We bet you didn't know these 'secrets' of Jisshu Sengupta"The Times of Indiaআইএসএসএন 0971-8257। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-০৩ 
  3. "Did you know Jisshu Sengupta's real name is Biswaroop?"The Times of India। ২০২১-১০-২২। আইএসএসএন 0971-8257। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-০৩ 
  4. "A heart-touching story"The Times of Indiaআইএসএসএন 0971-8257। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-০৩ 
  5. "Jisshu Sengupta's younger daughter Zara plays little Uma in Srijit Mukherji's next"The Times of India। ২০১৮-০৫-০৭। আইএসএসএন 0971-8257। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-০৩ 
  6. "That Nineties Show"দ্য টেলিগ্রাফ। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  7. "Priyojon film"। Gomolo। ১ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৭ 
  8. "CHELEBELA (Bengali) - A Sukanta Roy film on childhood and young days of Rabindranath Tagore. WBRi. Washington Bangla Radio on internet"। Archived from the original on ১ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৭ 
  9. "Tolly tally"The Telegraph (Calcutta)। ১৮ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০০৮ 
  10. "The floating hearts"The Telegraph (Calcutta)। ২৬ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১১ 
  11. "For Jisshu Sengupta, Rituparno was his 'parents'"Business Standard। ৮ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০১৩ 
  12. "Bong actor Jishu Sengupta gets Barfee"The Times of India। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১১ 
  13. "Jisshu: actor who is a hero"The Telegraph (Calcutta)। ১২ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৪ 
  14. "A Tale of Two Byomkesh Bakshis: Anjan Dutt Didn't Want 'Another Abir'"NDTV। ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৫ 
  15. "Rajkahini, Byomkesh ahead in the box office race in Kolkata"Hindustan Times। ২০ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৫ 
  16. "Is Arshinagar Aparna Sen's biggest disappointment in recent times"। News18। ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৬ 
  17. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; The Times of India নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  18. "We enjoy a comfort level with Soumitra Chatterjee : Shiboprosad Mukhopadhyay"The Indian Express। ২৭ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৭ 
  19. "Jisshu Sengupta: Durgamati will keep the audience on the edge of the seat"The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২০ 
  20. "I am not a narcissist: Jisshu Sengupta"The Times of India। ২০১৭-০১-১২। আইএসএসএন 0971-8257। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-০৩ 
  21. "Salman Khan, Deepika Padukone top the Times Celebex list"The Economic Times। ২০১৫-০৭-১৬। আইএসএসএন 0013-0389। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-০৩ 
  22. "Kangana, Madhavan launch Bong Calendar shot by Daboo Ratnani"The Times of India। ২০১৭-০১-১২। আইএসএসএন 0971-8257। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-০৩ 
  23. "Best moments from the Times Food Awards"The Times of India। ২০১৭-০১-১২। আইএসএসএন 0971-8257। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-০৩ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা