মোহাম্মদ ছায়েদুল হক
মোহাম্মদ ছায়েদুল হক (৪ মার্চ ১৯৪২ - ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, সংসদ সদস্য, আইনজীবী ও মন্ত্রী।[১]
মোহাম্মদ ছায়েদুল হক | |
---|---|
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার | |
কাজের মেয়াদ ১২ জানুয়ারি ২০১৪ – ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ | |
প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
উত্তরসূরী | নারায়ন চন্দ্র চন্দ |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১২ জানুয়ারি ২০১৪ – ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ | |
সংখ্যাগরিষ্ঠ | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (অধুনা বাংলাদেশ) | ৪ মার্চ ১৯৪২
মৃত্যু | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ঢাকা | (বয়স ৭৫)
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
দাম্পত্য সঙ্গী | দিলশাদ আরা মিনু |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
ধর্ম | ইসলাম |
জন্ম ও পারিবারিক পরিচিত
সম্পাদনামোহাম্মদ ছায়েদুল হক ১৯৪২ খিস্টাব্দের ৪ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আলহাজ্ব মোহাম্মদ সুন্দর আলী এবং মাতার নাম মেহের চাঁদ বিবি।
শিক্ষাজীবন
সম্পাদনামোহাম্মদ ছায়েদুল হক ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে অর্থনীতিতে এম এ ও ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাস করেন।[২]
কর্মজীবন
সম্পাদনাঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী পেশায় যুক্ত ছিলেন।[৩]
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনামোহাম্মদ ছায়েদুল হক ছাত্রজীবনে ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ফেডারেশন (এন এস এফ)এর মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করে। ১৯৬৫-৬৬ খ্রিষ্টাব্দে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্রার্থীকে হারিয়ে আইয়ুব খানের ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ফেডারেশন (এন এস এফ)এর ভিপি নিবার্চিত হন। ১৯৬৮ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পর্দাপণ করেন। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রথমবারের মতো নাসিরনগর আসন (কুমিল্লা-১) থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ০১ নাসিরনগর আসন থেকে সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম সংসদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। শেষ জীবনে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন।[৪][৫][৬][৭]
মৃত্যু
সম্পাদনাআওয়ামী লীগ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মন্ত্রী থাকাকালে ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ছায়েদুল হক, মোহাম্মদ। "মাননীয় মন্ত্রী" (পিডিএফ)। www.mofl.portal.gov.bd।
- ↑ "মন্ত্রী ছায়েদুল হক আর নেই"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১৬।
- ↑ "মন্ত্রী ছায়েদুল হক আর নেই"। The Daily Star Bangla। ২০১৭-১২-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১৬।
- ↑ "চলে গেলেন মন্ত্রী ছায়েদুল হক"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১৬।
- ↑ "একদিনের ভাড়াও বকেয়া রাখেননি মন্ত্রী ছায়েদুল হক"। jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১৬।
- ↑ "মন্ত্রী ছায়েদুল হক আর নেই"। বাংলা ট্রিবিউন। ২০১৭-১২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১৬।
- ↑ "প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক আর নেই"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১৬।