মোহাম্মদ ইব্রাহিম (বীর প্রতীক, নোয়াখালী)
মোহাম্মদ ইব্রাহিম (জন্ম: অজানা - মৃত্যু: ২০০৭) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।[১]
মোহাম্মদ ইব্রাহিম | |
---|---|
মৃত্যু | ২০০৭ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
পরিচিতির কারণ | বীর প্রতীক |
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
সম্পাদনামোহাম্মদ ইব্রাহিমের জন্ম নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার অন্তর্গত পাপুয়া মিজিবাড়িতে। তার বাবার নাম হায়দার আলী মিজি এবং মায়ের নাম ছামারফ বানু। তার স্ত্রীর নাম ছলেমা বেগম।[২]
কর্মজীবন
সম্পাদনাইপিআরে চাকরি করতেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম। ১৯৭১ সালে কর্মরত ছিলেন চট্টগ্রাম ইপিআর সেক্টরের অধীনে। হালিশহরে ছিল সেক্টর হেডকোয়ার্টার। এর অধীনে ছিল তিনটি উইং—১১ ও ১৪ উইং হালিশহরে, ১৭ উইং কাপ্তাইয়ে। ১১ উইংয়ের ইপিআর সদস্যরা কক্সবাজার, টেকনাফ, বরকল ও মাসলংয়ে এবং ১৪ উইংয়ের সদস্যরা সাজেক, ট্যানডং ও রামগড়ে ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
সম্পাদনা১৯৭১ সালের মার্চ মাসের শুরুতে চট্টগ্রাম ইপিআর সেক্টরের অধীন ইপিআর সদস্যদের চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়। অল্পসংখ্যক সদস্য থেকে যান সীমান্ত এলাকায়। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তারা যুদ্ধে দেন। ২৬ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ইপিআর বাহিনীর সদস্যরা সংঘবদ্ধ ও বিচ্ছিন্নভাবে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। এসব যুদ্ধে ইপিআর বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা যথেষ্ট সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শন করেন। মোহাম্মদ ইব্রাহিম পরে যুদ্ধ করেন ২ নম্বর সেক্টরের রাজনগর সাব-সেক্টরে। এই সাব-সেক্টরের অধীন এলাকা ছিল বিলোনিয়ার পশ্চিমাঞ্চল, লাকসামের দক্ষিণাঞ্চল, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম-লাঙ্গলকোট, ফেনী জেলার অংশবিশেষ এবং নোয়াখালী জেলার কিছু অংশ। রাজনগর সাব-সেক্টর এলাকায় অসংখ্য যুদ্ধ সংঘটিত হয়। মোহাম্মদ ইব্রাহিম বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশ নিয়ে সাহসিকতার পরিচয় দেন। [৩]
পুরস্কার ও সম্মাননা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না" | তারিখ: ০৯-০২-২০১২[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রহন্থ। জনতা ব্যাংক লিমিটেড। জুন ২০১২। পৃষ্ঠা ৩৩৩। আইএসবিএন 9789843351449।
- ↑ একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা (দ্বিতীয় খন্ড)। ঢাকা: প্রথমা প্রকাশন। মার্চ ২০১৩। পৃষ্ঠা পৃ ১৭১। আইএসবিএন 9789849025375।
পাদটীকা
সম্পাদনা- এই নিবন্ধে দৈনিক প্রথম আলোতে ১৩-০২-২০১২ তারিখে প্রকাশিত তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না প্রতিবেদন থেকে লেখা অনুলিপি করা হয়েছে। যা দৈনিক প্রথম আলো ক্রিয়েটিভ কমন্স অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ার-এলাইক ৩.০ আন্তর্জাতিক লাইসেন্সে উইকিপিডিয়ায় অবমুক্ত করেছে (অনুমতিপত্র)। প্রতিবেদনগুলি দৈনিক প্রথম আলোর মুক্তিযুদ্ধ ট্রাস্টের পক্ষে গ্রন্থনা করেছেন রাশেদুর রহমান (যিনি তারা রহমান নামেও পরিচিত)।