জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

বাংলাদেশ আর্মি জেনারেল
(মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী থেকে পুনর্নির্দেশিত)

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (জন্ম: ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন এর কুসুমপুর গ্রাম) বাংলাদেশের একজন সেনা কর্মকর্তা। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ৩ তারকা হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের সাথে সংঘর্ষের সময় এবং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বঙ্গ সেনা জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে সংঘর্ষের সময় বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) প্রধান ছিলেন।[১]

লেফট্যানেন্ট জেনারেল
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
মহাপরিচালক
বাংলাদেশ রাইফেলস
কাজের মেয়াদ
২০০৩ – ২০০৬
প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার
কাজের মেয়াদ
২০০৬ – ২০০৭
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩
কুসুম পুর গ্রাম,ইছাপুরা ইউনিয়ন,সিরাজদিখান উপজেলা,মুন্সিগঞ্জ জেলা
দাম্পত্য সঙ্গীলায়লা আরজু
সন্তান
প্রাক্তন শিক্ষার্থীবাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমী, চট্টগ্রাম
পেশাসাবেক সেনা কর্মকর্তা
সামরিক পরিষেবা
আনুগত্য বাংলাদেশ
শাখাবাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী
কাজের মেয়াদ১৯৭৫-২০১০
পদলেফট্যানেন্ট জেনারেল
কমান্ডপ্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, মহাপরিচালক বাংলাদেশ রাইফেলস (বিজিবি), মাস্টার জেনারেল অফ অর্ডন্যান্স, মিলিটারি সেক্রেটারি, কমান্ডার ২৪ ও ৫৫ আর্টিলারি ব্রিগেড, কমান্ডিং অফিসার ২৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি

তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ছিলেন ও একই সময়ে তাকে কোয়ার্টারমাস্টার জেনারেল পদে উন্নীত করা হয়। তাকে রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে গিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করতে বলার কৃতিত্ব দেওয়া হয়। যে ঘটনার ২০০৮ সালে সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতায় আসে।

প্রথম জীবন সম্পাদনা

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ সালে এবং ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কর্পসে কমিশন করেন। একজন গুননার হিসেবে তার কর্মজীবনের শুরুতে তিনি কমান্ডিং টু আর্টিলারি ব্রিগেডস এবং ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্ট সহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন।

কর্মজীবন সম্পাদনা

লেফট্যানেন্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বাংলাদেশ সামরিক একাডেমীর প্রশিক্ষক ছিলেন। পরে তিনি ইন্টার সার্ভিসেস সিলেকশন বোর্ডে একটি গ্রুপ টেস্টিং অফিসার (জিটিও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, রুয়ান্ডা এবং জর্জিয়াতে জাতিসংঘের সামরিক পর্যবেক্ষক ও স্টাফ হিসাবে তিনটি ভিন্ন জাতিসংঘ মিশনে কাজ করার অনন্য সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এবং স্টাফ কলেজে এবং ঢাকা ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের স্নাতক।

২০০৯ সালের বি,ডি,আর বিদ্রোহ সম্পাদনা

২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে তার উত্তরাধিকারী মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ ও তার স্ত্রী নাজনীন হোসেন শাকিল শহীদ হয়েছেন। কিউএমজি হিসাবে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেন।[২][৩] ৩ ডিসেম্বর ২০০৯ সালে তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়।[৪] ২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

আরো দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "No infiltration from Bangla, says BDR DG"www.indianexpress.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১৭ 
  2. "4 more bodies identified"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৯-০৩-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১৭ 
  3. "Law and Our Rights"www.thedailystar.net। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১৭ 
  4. "Lt Gen Jahangir placed at foreign ministry"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৯-১২-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১৭