মুনমুন আহমেদ
বাংলাদেশী সিনেমা এবং টেলিভিশন অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী
মুনমুন আহমেদ বাংলাদেশের প্রথিতযশা নৃত্যশিল্পী। মূলতঃ ভারতীয় উচ্চাঙ্গ কথ্থক নৃত্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী এই শিল্পী উচ্চাঙ্গ ও উচ্চাঙ্গনির্ভর নৃত্যের পরিবেশন করে থাকেন।[১]
নৃত্যকলায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাসম্পাদনা
- ১৯৯০ সালে উচ্চাঙ্গ নৃত্যে (কথ্থক) সম্মান সহ ডিপ্লোমা ডিগ্রী, কথ্থক কেন্দ্র, নতুন দিল্লী, ভারত।
- ১৯৯২ সালে উচ্চাঙ্গ নৃত্যে (কথ্থক) সম্মানোত্তর পোস্ট ডিপ্লোমা ডিগ্রী, কথ্থক কেন্দ্র, নতুন দিল্লী, ভারত।
- ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে উচ্চাঙ্গ নৃত্যে (কথ্থক) ফেলোশিপ, কথ্থক কেন্দ্র, নতুন দিল্লী, ভারত।
নৃত্যকলায় বিশেষ প্রশিক্ষণসম্পাদনা
- আমেরিকান ড্যান্স ফেস্টিভ্যাল ওয়ার্কশপ; ইন্টারন্যাশনাল ড্যান্স ফেস্টিভ্যাল, নতুন দিল্লী, ভারত, ডিসেম্বর ১৯৯০।
পুরস্কার ও সম্মাননাসম্পাদনা
- শিশু একাডেমী আয়োজিত উচ্চাঙ্গ নৃত্যে জাতীয় পুরস্কার, ১৯৮০;
- শিশু একাডেমী আয়োজিত উচ্চাঙ্গ নৃত্য ও সাধারণ নৃত্যে জাতীয় পুরস্কার, ১৯৮১;
- ইউনেস্কো সাংস্কৃতিক পুরস্কার, ২০০০;
- এন.এইচ.কে. জাপান পুরস্কার, ২০০০ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রযোজিত কূল নাই কিনার নাই গীতি নৃত্যনাট্যের দলীয় শিল্পী হিসেবে;
- একতা পুরস্কার, ঢাকা, বাংলাদেশ, ২০০১ ও ২০০৩;
- টেলিভিশন দর্শকশ্রোতা পুরস্কার ২০০৩।
বিশেষ উৎসবে নৃত্য পরিবেশনাসম্পাদনা
- বিদেশী কলাকার উৎসব, নতুন দিল্লী, ভারত; ১৯৯০;
- বার্ষিক উৎসব, শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্র, নতুন দিল্লী, ভারত’ ১৯৮৯;
- যুব মহোৎসব, নতুন দিল্লী, ভারত; ১৯৯১;
- জাতীয় উৎসব, ত্রিবান্দ্রাম, তামিলনাড়ু, ভারত, ১৯৯১;
- স্বচ্ছ গঙ্গা উৎসব, বেনারস, ভারত, ১৯৯৩;
নৃত্য শিল্পী হিসেবে বিদেশ ভ্রমণসম্পাদনা
ভারত, পাকিস্তান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, কেনিয়া, জাম্বিয়া, নাইজেরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ইরাক, কাতার ও লিবিয়া।
সাংগঠনিক কার্যক্রমসম্পাদনা
বর্তমানে (২০০৬-২০০৭) বাংলাদেশ নৃত্য শিল্পী সংস্থার সাংস্কৃতিক ও প্রশিক্ষণ সম্পাদিকা। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের ৬ জন প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত নৃত্যধারার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এই সংস্থা বাংলাদেশের নৃত্য ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৪।