মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি
মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি (১৮৯৮–১৯৮৬) একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী এবং চট্টগ্রাম ভিত্তিক ইস্পাহানি পরিবারের প্রধান ছিলেন। এছাড়াও তিনি ওরিয়েন্ট এয়ারওয়েজ-এর প্রতিষ্ঠাতা,পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ) এর প্রথম চেয়ারম্যান এবং ইস্পাহানি গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিলেন।[১] তিনি ছিলেন বাংলাদেশ থেকে প্রথম চা রপ্তানিকারক।[২]
মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি | |
---|---|
জন্ম | ১৮৯৮ |
মৃত্যু | ১৯৮৬ (বয়স ৮৭–৮৮) |
পরিচিতির কারণ | ইস্পাহানি গ্রুপের স্বত্বাধিকারী |
সন্তান | মির্জা মেহদী ইস্পাহানি |
আত্মীয় | মির্জা আবুল হাসান ইস্পাহানি (ভাই) মির্জা আলী বেহরুজ ইস্পাহানি (নাতি) |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনামির্জা আহম্মদ ইস্পাহানি ছিলেন, মির্জা মোহাম্মেদ ইস্পাহানির জৌষ্ঠ পুত্র।[৩] তিনি ইয়াঙ্গুন, বার্মায় ১৮৯৮-এ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভারতের মাদ্রাজের বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন এবং ২০ বছর বয়সে ম্যাট্রিক পাশের পর তিনি তার বাবার ভারতের কলকাতার ব্যবসায় যোগ দেন।[৪]
ব্যবসা
সম্পাদনাব্যবসায়ে যোগ দেওয়ার অল্প সময় পরে ইস্পাহানিকে জুনিয়র পার্টনার করা হয়। ১৯২৫ সালের মে মাসে তার বাবা মারা গেলে তিনি অন্য দুই সহযোগী, তার ভাই, মির্জা আবুল হাসান ইস্পাহানি এবং মির্জা মাহমুদ ইস্পাহানি সহ দৃঢ় অংশীদার হয়েছিলেন। ১৯৩৪-এ, এম. এম. ইস্পাহানি এবং অংশীদারত্বটি কলকাতায় সীমিত দায় কোম্পানিতে রূপান্তর হয়েছিল।[৩][৫] ওরিয়েন্ট এয়ারওয়েজ মির্জা আহমদ ইস্পাহানী এবং আদমজী হাজী দাঊদ কর্তৃক ২৩ অক্টোবর ১৯৪৬-এ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[৬] ১৯৪৭-এ কোম্পানিটি চট্টগ্রাম, পূর্ব পাকিস্তানে সরিয়ে আনা হয়।[৩][৫] ১৯৬৫ সালে তিনি ঢাকা ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।[৭] ১১ মার্চ ১৯৫৫-এ ওরিয়েন্ট এয়ারওয়েজ পাকিস্তান সরকার প্রস্তাবিত বিমানের সাথে একত্রিত হয়েছিল এবং পাকিস্তান জাতীয় বিমান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স কর্পোরেশন -এ পরিণত হয়েছিল।[৬] কোম্পানিটি পাট, চা, টেক্সটাইল, প্রকৌশল, শিপিং, ম্যাচ এবং প্লাইউডের বহু-মাত্রিক ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বিস্তৃত হয়েছিল।[৩] তিনি বাংলাদেশ থেকে চা প্রথম রপ্তানিকারক ছিলেন।[২]
উত্তরাধিকার
সম্পাদনাচট্টগ্রামের মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি উচ্চ বিদ্যালয় এবং ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, চট্টগ্রাম তার নামে নামকরণ করা হয়। কুমিল্লা সেনানিবাসে অবস্থিত ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল ও কলেজও তার নামে নামকরণ করা হয়।[৮] তার এক পুত্র ছিল, সাদরি ইস্পাহানি।[৯] তার নাতি ছিলেন বেহরুজ ইস্পাহানি।
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "A legacy worth remembering"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০২-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২৬।
- ↑ ক খ Rob, GMF Abdur। "Remembering MA Ispahani"। দ্য ডেইলি স্টার। দ্য ডেইলি স্টার। ২০১৮-০২-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২৬।
- ↑ ক খ গ ঘ "Tributes to a business icon"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০১-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২৬।
- ↑ The EFU saga the making of an institution within the context of the creation of Pakistan। M. Yunus D & Printers। ২০০১।
- ↑ ক খ "Ispahani Group boss Mirza Ali Behrouze Ispahani passes away"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২৬।
- ↑ ক খ "PIA - THE UNFORTUNATE - Daily Times"। Daily Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০২-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২৬।
- ↑ "Subscribe to read"। Financial Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২৬।
- ↑ "Six Ctg educational institutions shut for overcharging"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৪-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২৬।
- ↑ "In memoriam"। দ্য ডেইলি স্টার। দ্য ডেইলি স্টার। ২০১৭-০২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২৬।