মাহে নদী
মাহে নদী (মইয়ালিপুলা নামেও পরিচিত) হল দক্ষিণ ভারতের একটি নদী। এটি কেরল রাজ্য এবং পুদুচেরির মাহের উপকূলীয় বিস্তৃতির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। এছাড়াও ব্রিটিশ শাসনকালে এই নদী ভারতের ইংলিশ চ্যানেল নামে পরিচিত ছিল।
মাহে নদী (ময়্যল্ড়িপ্পুল্ড়) | |
---|---|
অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
উৎস | |
• অবস্থান | পশ্চিমঘাট পর্বতমালা |
মোহনা | |
• অবস্থান | আরব সাগর |
দৈর্ঘ্য | ৫৪ কিমি (৩৪ মা) |
অববাহিকার আকার | ৩৯৪ কিমি২ (১৫২ মা২)[১] |
ভূগোল
সম্পাদনাপশ্চিমঘাট পর্বতমালার ওয়ায়ানাদের পাহাড়ে এই নদীর উৎপত্তি। এটি পশ্চিম মুখে চলে মাহেতে আরব সাগরে এসে মিশেছে। এই যাত্রাপথে এটি মোট ৫৪ কিমি (৩৩.৫ মাইল) দূরত্ব অতিক্রম করেছে। এর উৎসমুখের উচ্চতা সমুদ্রতল থেকে ৯১০ মিটার ওপরে।[২] নদীটি নারিপিট্টা, ভানিমেল, পেরুভঙ্কারা, আইয়ানকোড, আইরিঙ্গানুর, ত্রিপঙ্গাথুর, পেরিঙ্গালাম, এডাচেরি কাচেরি, ইরামালা, পারক্কাদ্বু করিয়াদ, ওলাভিলাম, কন্নুমাক্কার, আজিয়ুর ও মাহে গ্রামগুলির মধ্য দিয়ে গেছে, এবং এইভাবে ৩৯৪ কিমি² এলাকায় অববাহিকা তৈরি করেছে।[৩] এর অববাহিকা অঞ্চলটি কেরল রাজ্যের কোঝিকোড় এবং কান্নুর জেলায় অবস্থিত। এই নদীটি মাহে শহরের উত্তর সীমানা নির্দেশ করেছে। এর প্রধান উপনদী হল ধর্মদাম্পুঝা নদী। এই নদীর বার্ষিক গড় স্রোতের প্রবাহ (গণনা করা), ২৪৭.৮ মিমি। এই নদীর নাব্যতা সম্পন্ন দৈর্ঘ্য পুরো যাত্রাপথে মাত্র ২৪ কিমি (পুরো দৈর্ঘ্য ৫৪ কিমি)।[২]
অর্থনীতি
সম্পাদনাঅর্থনীতিতে এই নদীর তীরবর্তী অঞ্চলগুলির প্রভাব খুব কম। প্রাচীনকালে এই নদীটি দূর দূরান্তের গ্রামগুলি থেকে মাহেতে এবং মাহে থেকে দূরের গ্রামে জিনিসপত্র পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হত। পুদুচেরি সরকার মাহে নদীর মোহনায় একটি মাছ ধরার বন্দর তৈরির পরিকল্পনা করেছে। তবে প্রযুক্তিগত কারণে নির্মাণাধীন বন্দরটি, মোহনা সংলগ্ন সৈকতে করা হয়েছে। এছাড়াও মাহের পর্যটন সম্ভাবনা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে, পুদুচেরি সরকার নদীর ধারে একটি হাঁটার পথ তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে, যেটি নদীর তীরে মাহের মঞ্জক্কাল ওয়াটার স্পোর্টস কমপ্লেক্স থেকে শুরু হয়ে বন্দর পর্যন্ত প্রসারিত হবে।[৪]
অল্প-অজানা তথ্য
সম্পাদনাএম মুকুন্দনের মহাগ্রন্থ মইয়ালিপুলয়ুদে তীরঙ্গালিল উপন্যাসে (পৃষ্ঠা ১৯৭৪; মালায়ালমভাষায় রচিত, অর্থ "মাহে নদীর তীরে") এই নদীটির গুণকীর্তন করা হয়েছে। মায়াজ্ঝী নদী ব্রিটিশ শাসন কালে ভারতের "ইংলিশ চ্যানেল" নামে পরিচিত, কারণ এটি ব্রিটিশ-শাসিত টেলিচেরিকে ফরাসী শাসিত মাহে থেকে আলাদা করে রেখেছিল। এটি কেরলের (গড'স ওন কান্ট্রি) সর্বাধিক দূষিত নদী।[৫] নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয় (২০১৩), আদমশুমারি ২০১১ এবং কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সর্বশেষ তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদনটিতে, অনুমান করা হয়েছে যে ৭৫-৮০% জল দূষণের কারণ গার্হস্থ্য নিকাশী। অপরিশোধিত নিকাশী নদীসহ অন্যান্য জলে এসে পড়ার পরিমান প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।[৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৫ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ ক খ http://www.kerenvis.nic.in/Database/Anjarakandy_1845.aspx। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৯।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ "Official website of Kozhikode"। Kozhikode। Government of Kerala। ২০০৭-০৭-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৮-০৬।
- ↑ "South Asia News"। Works for Mahé fishing harbour project inaugurated। onlypunjab.com। ২০০৭-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৮-০৬।
- ↑ "Mahé River"। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Major causes of water pollution"। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা