মার্গারিটা সালাস
মার্গারিটা সালাস ফাল্গুয়েরাস, কানেরোর প্রথম মার্কুইজ (স্পেনীয়: Margarita Salas; ৩০ নভেম্বর ১৯৩৮ - ৭ নভেম্বর ২০১৯) কানেরো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী স্পেনীয় প্রমীলা বিজ্ঞানী ছিলেন। সচরাচর মার্গারিটা সালাস নামেই অধিক পরিচিত ব্যক্তিত্ব তিনি। জৈবরসায়ন ও আণবিক জিনতত্ত্ব বিষয়ে অবদান রেখেছেন।
মার্গারিটা সালাস | |
---|---|
জন্ম | ৩০ নভেম্বর ১৯৩৮ কানেরো, ভালদেস, স্পেন |
মৃত্যু | ৭ নভেম্বর ২০১৯ (বয়স ৮০) |
জাতীয়তা | স্পেনীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | মাদ্রিদ কমপ্লাটেন্স বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | প্রমীলা বিজ্ঞানী |
দাম্পত্য সঙ্গী | এলাদিও ভিনুয়েলা |
পুরস্কার | প্রিমিও মেক্সিকো ডে সায়েন্সিয়া ওয়াই টেকনোলজিয়া (১৯৯৮) |
কর্মজীবন
সম্পাদনাস্পেনের কানেরো (আস্তুরিয়াস) এলাকায় সালাসের জন্ম। মাদ্রিদ কমপ্লাটেন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন ও আলবার্তো সোলসের (সিএসআইসি) তত্ত্বাবধানে ১৯৬১ সালে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬৭ সালে সেভেরো ওকোয়া’র সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার জন্য ভ্রমণ করেন। সালাস ও তার স্বামী এলাদিও ভিনুয়েলা জৈবরসায়ন ও আণবিক জীববিদ্যা বিষয়ে স্পেনীয় গবেষণাকর্মের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এ পর্যন্ত ৪০-এর অধিক পিএইচডি ছাত্রের তত্ত্বাবধান করেছেন তিনি এবং দুই শতাধিক বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। সিএসআইসিতে জৈবপ্রযুক্তি বিষয়ে অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন।[১]
রসায়ন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী লাভের পর মার্গারিটা সালাস স্পেনের জৈবরসায়নের পথিকৃৎ আলবার্তো সোলস ল্যাবরেটরিতে যোগদান করেন। সোলসের নির্দেশনায় তিনি গ্লুকোজ-৬-ফসফেট বিষয়ে ডক্টরাল অভিসন্দর্ভ তৈরি করেন ও তা সমাপণান্তে ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ সময়কালে চার বছরের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করেন। সেভেরো ওকোয়ার সাথে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক হন।
মার্গারিটা সালাস এ পর্যন্ত ৩৫০-এর অধিক প্রকাশনা আন্তর্জাতিক জার্নাল বা গ্রন্থে এবং ১০টি জাতীয় পর্যায়ে প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও ৮টি বিষয়ে লেখকস্বত্ত্ব লাভ করেন ও ৪০০ লেকচার প্রদান করেছেন।[২]
সম্মাননা
সম্পাদনা২০০০ সালে বিজ্ঞানে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়ে সবিশেষ অবদান রাখায় লোরেয়াল-ইউনেস্কো মহিলা বিজ্ঞান পুরস্কার লাভ করেন।[৩] সালাস স্পেনীয় সায়েন্স রয়্যাল একাডেমি, সায়েন্স ও আর্টস ইউরোপীয় একাডেমি, আমেরিকান আর্টস ও সায়েন্স একাডেমি, আমেরিকান মাইক্রোবায়োলজি একাডেমি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমি ও সেভেরো ওকোয়া ফাউন্ডেশনের অন্যতম সদস্য।[৪] ২০ ডিসেম্বর, ২০০১ তারিখে রিয়াল একাডেমিয়া ইস্পানোলার ‘আই’ সীটে নির্বাচিত হন। ৪ জুন, ২০০৩ তারিখে তার আসনের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।[৫] ১১ জুলাই, ২০০৮ তারিখে সালাসকে রাজা প্রথম জুয়ান কার্লোস স্পেনীয় অভিজাত সম্প্রদায়ের মর্যাদায় অভিষিক্ত করেন ও তাকে সম্মানসূচক ‘মার্কুইয়েসা দে কানেরো’ পদবীতে ভূষিত করেন।[৬]
মৃত্যু
সম্পাদনামার্গারিটা সালাস ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর ৮০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Prof. Margarita Salas Falgueras"। sibi.org। ২৪ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১০।
- ↑ "Curriculum Vitae de Margarita Salas" (পিডিএফ)।
- ↑ DNA researcher Okazaki wins int'l award for female scientists., the Free Library, 5 April 2015
- ↑ "Margarita_Salas" (পিডিএফ)। Instituto de Educacíon Secundaria, Malaga (Spanish ভাষায়)। ২৬ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১০।
- ↑ "Margarita Salas Falgueras" (Spanish ভাষায়)। Real Academia Española। ২৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ "Otras disposiciones" (PDF)। Boletín Oficial del Estado (Spanish ভাষায়)। ১২ জুলাই ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১০।
- ↑ "Fallece Margarita Salas, una de las mayores científicas españolas del siglo XX"। Consejo Superior de Investigaciones Científicas (স্পেনীয় ভাষায়)। ৭ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৯।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- মার্গারিটা সালাসের আত্মজীবনী মুজের ওয়াই সিয়েন্সিয়া (স্পেনীয় ভাষায়)
- মার্গারিটা সালাসের আত্মজীবনী (পিডিএফ) (স্পেনীয় ভাষায়)
স্পেনীয় অভিজাত সম্প্রদায় | ||
---|---|---|
নতুন পদবী | কানেরোর মার্কুইজ ৯ এপ্রিল, ২০১০–বর্তমান |
নির্ধারিত হয়নি |