মায়াবিনী (চলচ্চিত্র)
মায়াবিনী (১৯৯২) একটি বাংলা রোমান্টিক রহস্য চলচ্চিত্র। কলকাতার টলিউড নির্মিত এই সিনেমার পরিচালক ছিলেন তুষার মজুমদার। সঙ্গীত পরিচালনা তন্ময় চট্টোপাধ্যায়। এই ছবিটি মঙ্গলদীপ পিকচার্স প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যানারে নির্মিত হয়।[২]
মায়াবিনী | |
---|---|
পরিচালক | তুষার মজুমদার[১] |
শ্রেষ্ঠাংশে | তাপস পাল দেবশ্রী রায় অভিষেক চট্টোপাধ্যায় উৎপল দত্ত |
সুরকার | তন্ময় চট্টোপাধ্যায় |
প্রযোজনা কোম্পানি | মঙ্গলদীপ পিকচার্স প্রাইভেট লিমিটেড |
মুক্তি |
|
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
কাহিনী
সম্পাদনাপ্রতাপগড়ের গভীর জঙ্গলে কাঠ কাটতে গিয়ে প্রায়ই কাঠুরেরা আক্রান্ত হতে থাকে একটি ভয়ানক রোমশ জন্তুর দ্বারা। পর পর তিনজনের মৃত্যুর পরে শ্রমিকেরা জঙ্গলে যেতে ভয় পায়। স্থানীয় রাজাবাহাদুর এস্টেটের নায়েবকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের সাহায্য চান। অপদার্থ দারোগা গদাধর হালদার সেখানে পুলিশ পাহারা বসান কিন্তু কিছু পরেই অজ্ঞাত মুখোশপরা আততায়ীর হাতে খুন হন রাজাবাহাদুর। রাজ পরিবারের কুমার বাহাদুরের বিবাহ মাধবীর সাথে ঠিক হয়েছিল আগে থেকেই। মাধবী যদিও অন্যের বাকদত্তা। মাধবী ও তার কাকা মৈনাক সিংহচৌধুরীকে আততায়ীরা ধরে নিয়ে বন্দী করে রাখে এবং হুবহু মাধবীর মতো দেখতে কলকাতার বার ড্যান্সার স্বাতীকে মাধবী সাজিয়ে রাজপরিবারে পাঠানো হয়। তাদের উদ্দেশ্য পরিবারের বিপুল ঐশ্বর্য গহনা ইত্যাদি হাতিয়ে নেওয়া। স্বাতী প্রথমে এই মিথ্যাচারে রাজী না হলেও অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার কথা চিন্তা করে এই কাজ করতে বাধ্য হয়। স্বাতীর সাথে কাকা সেজে সঙ্গে যান বিপ্লব পাঁজা যিনি একজন জুয়াড়ী। তারা রাজপরিবারের অতিথি হয়ে থাকতে থাকতে জেনে যান কোন গুপ্ত কুঠুরীতে বহুমূল্য গহনা আছে। এদিকে বাড়ির ড্রাইভার পাঁচু সবার ওপর গোপনে নজর রাখে। কুমারের পিসী বিমলার তত্বাবধানে বিবাহের আয়োজন সম্পন্ন হয়। এরপরে একদিন সেই সমস্ত সম্পদ চুরি হয়ে যায়। তদন্ত করতে আসেন নতুন পুলিশ অফিসার রঞ্জিত চ্যাটার্জী যিনি ছিলেন মাধবীর প্রেমিক। এদিকে আসল চোরকে দেখে ফেলায় বাড়ির চাকর খুন হয়ে যায়। স্বাতী, মাধবী সেজে কুমারকে আর ঠকাতে রাজি হয়না। কিন্তু বিপ্লব তাকে বোঝান যে তাদের যারা নিয়োগ করেছে সেই কাজ সম্পন্ন না হলে বিপদ ঘটবে। আসল মাধবী ও তার কাকা মৈনাক আততায়ীদের আস্তানা থেকে কোনোরকমে পালিয়ে আসেন ও পুলিশকে সব খুলে বলেন। রঞ্জিত বুঝতে পারে স্বাতী মাধবী সেজে আছে। অজ্ঞাত মুখোশ পরা আততায়ী কে জংগলে পুলিশ তাড়া করে ধরলে আড়াল থেকে আসল খুনী মুখোশধারীকে খুন করে পালায়। কিন্তু ধরা পড়ে ড্রাইভার পাঁচুর হাতে। পাঁচু আসলে গোয়েন্দা দপ্তরের অফিসার নারায়ন ঘোষ। খুন ও চুরির তদন্ত করতে যাকে প্রতাপগড় রাজপরিবারে পাঠানো হয়েছিল।[৩]
অভিনয়
সম্পাদনা- দেবশ্রী রায় - স্বাতী / মাধবী
- তাপস পাল - কুমার বাহাদুর
- উৎপল দত্ত - বিপ্লব পাঁজা
- হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায় - রাজাবাহাদুর
- বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় - ড্রাইভার পাঁচু
- নির্মল কুমার - মাধবীর কাকা মৈনাক
- চিন্ময় রায় - দারোগা গদাধর হালদার
- অভিষেক চ্যাটার্জী - পুলিশ অফিসার রঞ্জিত
- মীণাক্ষী গোস্বামী - বিমলা
- নিমু ভৌমিক - রঘু রায়
- বঙ্কিম ঘোষ[৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Mayabini (1992)"। www.youtube.com। ২০১৫-১০-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৭।
- ↑ "Mayabini (1992 - Bengali)"। gomolo.com। ১৬ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৭।
- ↑ ক খ "Mayabini (1992)"। banglamovienews.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে মায়াবিনী (ইংরেজি)