মাম্মাদবায়লী সমাধিসৌধ

মাম্মাদবেইলি সমাধি (আজারবাইজানি: Məmmədbəyli türbəsi) বা ইয়াহিয়া ইবনে মুহাম্মদ আল-হাজের সমাধিসৌধ হলো আজারবাইজানের জাঙ্গিলান জেলার মাম্মাদবেইলি গ্রামের উচ্চভূমিতে অবস্থিত ১৪ শতকের একটি সমাধিসৌধ।

মাম্মাদবেইলী সমাধিসৌধ
Məmmədbəyli türbəsi
মাম্মাদবায়লী সমাধিসৌধ আজারবাইজান-এ অবস্থিত
মাম্মাদবায়লী সমাধিসৌধ
আজারবাইজানে অবস্থান
মানচিত্র
স্থানাঙ্ক৩৯°০৯′৩৬.৬″ উত্তর ৪৬°৪৮′০৭.৮″ পূর্ব / ৩৯.১৬০১৬৭° উত্তর ৪৬.৮০২১৬৭° পূর্ব / 39.160167; 46.802167
অবস্থানমাম্মাদবেইলী, জাঙ্গিলান জেলা, আজারবাইজান
নিবেদিতইয়াহিয়া ইবনে মুহাম্মদ আল-হাজ্জ রহ.

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৩০৫ সালে সিল্ক রোডে স্থপতি আলী মজিদ আদ-দীন সমাধিসৌধটি নির্মাণ করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে, সমাধির ভূগর্ভস্থ অংশে খনন কাজ করা হয়, যার ফলস্বরূপ এই সমাধিটি পাওয়া গেছে।[১]

স্থাপত্য

সম্পাদনা

সমাধিসৌধের একটি আয়তক্ষেত্রাকার আকৃতি রয়েছে যার মাত্রা ২৯৫×৩৩০ মিটার। সমাধির প্রবেশদ্বার পশ্চিম অংশে অবস্থিত। দরজার প্রস্থ ৭৬ সেমি এবং উচ্চতা ৮৮ সেমি। ইসলামের নিয়মানুসারে সমাধিতে প্রবেশের দৈর্ঘ্য ১.২০ মিটারের বেশি হওয়া উচিত নয়, যাতে প্রবেশকারী ব্যক্তি মৃত ব্যক্তির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারে। মধ্যযুগে এই ধরনের সমাধিগুলি সামন্ত আভিজাত্য এবং সুপরিচিত লোকদের কবরের উপর নির্মিত হতো। বর্তমানে সমাধিসৌধের শীর্ষ ধ্বংসপ্রাপ্ত, যা আট-প্রান্তের প্রিজম আকারে নির্মিত হয়েছিল, যা একটি পিরামিডের আকারে ছাদের সাথে পরিপূরক।

এর দেয়ালগুলি ভিতরে এবং বাইরে থেকে ধারালো পাথর দিয়ে ঘষে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু এর সমাধিসৌধ ভেতরের দিক থেকে চতুর্ভুজাকার। সমাধিসৌধের দরজাটি ১.৮ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। অভ্যন্তরীণ খিলানটি গোলাকার, কিন্তু বাইরের দিকে একটি পিরামিড আকার রয়েছে। এই ধরনের নির্মাণ আজারবাইজানের অনেক স্মৃতিস্তম্ভের জন্য আদর্শ।

সমাধিসৌধের দরজায় আরবি ভাষায় একটি পটীবন্ধনী রয়েছে। এতে বলা হয়েছে: "আমি - ইয়াহিয়া ইবনে মুহাম্মাদ আল-হাজ, এই ভবনের মালিক একজন দুর্বল দাস যার জন্য মহান আল্লাহর অনুগ্রহ প্রয়োজন এবং আলী মজিদ আদ-দীনকে ৭০৪ তম বছরের রমজান মাসে এই ভবনটি নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছিলাম।" (২৮.তৃতীয়-২৭.চতুর্থ-১৩০৫)। পটীবন্ধনীর শুরুতে একটি ফ্রেমে কুরআনের আয়াত রয়েছে - দ্বিতীয়-১৬-১৮: ৬১-১৩: ৬৫-৩৫ (১৭, ২০, ২০) নং।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "MƏMMƏDBƏYLI TÜRBƏSI"। ২০১২-০৭-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।