মাদলা ইউনিয়ন

বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলার একটি ইউনিয়ন

মাদলা ইউনিয়ন বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলার একটি ইউনিয়ন। ইউনিয়নটি অনেক সুন্দর।

মাদলা
ইউনিয়ন
২ নং মাদলা ইউনিয়ন পরিষদ
মাদলা রাজশাহী বিভাগ-এ অবস্থিত
মাদলা
মাদলা
মাদলা বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
মাদলা
মাদলা
বাংলাদেশে মাদলা ইউনিয়নের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৪৮′৩৫″ উত্তর ৮৯°২৪′৪৪″ পূর্ব / ২৪.৮০৯৭২° উত্তর ৮৯.৪১২২২° পূর্ব / 24.80972; 89.41222 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরাজশাহী বিভাগ
জেলাবগুড়া জেলা
উপজেলাশাজাহানপুর উপজেলা উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
সরকার
 • চেয়ারম্যানমোঃ আতিকুর রহমান আতিক (বিএনপি)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
মানচিত্র
মানচিত্র

[১]

প্রশাসনিক অঞ্চল সম্পাদনা

এই ইউনিয়ন নিম্নলিখিত গ্রাম নিয়ে গঠিত:

  • নন্দগ্রাম
  • দড়িনন্দগ্রাম
  • চাঁচাইতারা
  • কাজীপাড়া
  • বলদীপালান
  • মালীপাড়া
  • শেরকোল
  • কুমড়াবাড়ী
  • লক্ষীকোলা
  • শুড়িমারা
  • রামকৃষ্ণপুর
  • চকমোমিন
  • রামচন্দ্রপুর
  • শ্মশানকান্দি

যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পাদনা

পাকা রাস্তার পরিমাণ : ২৫ কি:মি:(প্রায়), কাঁচা রাস্তার পরিমাণ : ৪০ কি: মি:(প্রায়)। এখানে আসতে হলে উপজেলা শাজাহানপুর হতে সিএনজি অথবা রিক্সা যোগে লিচু তলা হয়ে সরাসরি মাদলা ইউনিয়ন পরিষদে আসা যায়।

দর্শনীয় সম্পাদনা

শাজাহানপুর উপজেলাধীন মাদলা ইউনিয়নের ০৬ নং ওয়ার্ডের লক্ষীকোলা গ্রামে অবস্থিত শাহ-রওশন জালাল মাজার [২]। এটি অতিপ্রাচীন ও ঐতিহাসিক মাজার । এই মাজার শরীফে প্রতি বৎসর ওরশ পালন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন এই মাজার শরীফে ওরশ পালনে অংশ গ্রহণ করে থাকে। তাই কালের ধারায় এটি আরও সবার কাছে ঐতিহাসিক মাজার হিসাবে স্থান পেয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পাদনা

বগুড়া জেলার ১০ কি. মি. দক্ষিণ-পূর্বে মাদলা ইউনিয়ন অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনী এই ইউনিয়নের শ্মশানকান্দি গ্রামে একটি ক্যাম্প স্থাপন করে। এই ক্যাম্পে রাজাকার রিক্রুটিং এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হতো। মুক্তিযোদ্ধারা এই ক্যাম্পটি আক্রমণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। পরিকল্পনা মোতাবেক সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে রেজাউল বাকীর নেতৃত্বে ২২ জনের একটি মুক্তিযোদ্ধার দল ক্যাম্পটির উত্তর ও পশ্চিম দিকে অবস্থান নেয়। বেলা ১১ টায় সময় মুক্তিযোদ্ধারা গুলিবর্ষণ শুরু করলে রাজাকাররাও পাল্টাগুলি করে। প্রায় তিন ঘণ্টা গোলা গুলি চলার পর রাজাকাররা ক্যাম্প ত্যাগ করে পূর্বদিকে পলায়ন করে। মুক্তিযোদ্ধারা ক্যাম্প থেকে কিছু সামরিক সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছিল। তবে উভয় পক্ষের হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৪ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৯ 
  2. "মাদলা ইউনিয়নের মাজার"। ২০১৯-০৬-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪ 
  3. Curator6 (২০২৩-০২-২২)। "মাদলা আক্রমণ, বগুড়া"সংগ্রামের নোটবুক (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-২৯