মাজদ ইজ্জত আল চৌরবাজি

মাজদ ইজ্জত আল চৌরবাজি (জন্ম ১৯৮১) একজন সিরীয় নাগরিক যিনি দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও নারীর অধিকার নিয়ে কাজ করে চলেছেন। ২০১৫ সালে তাকে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার প্রদান করেছিল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর[১][২]

মাজদ ইজ্জত আল চৌরবাজি
২০১৫ সালে মাজদ ইজ্জত আল চৌরবাজি
জন্ম১৯৮১
দারায়্যা, সিরিয়া
জাতীয়তাসিরীয়
পরিচিতির কারণআন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার ২০১৫ বিজয়ী

জীবনী সম্পাদনা

মারিয়া ইজ্জত আল চৌরবাজি ১৯৮১ সালে সিরিয়ার দারায়্যা জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স যখন ছয় মাস, তখন তার পরিবার ঐ অঞ্চলে চলমান সহিংসতা থেকে বাঁচতে ফ্রান্সে পাড়ি জমান। ১৯৯১ সালে তারা দেশে ফিরে আসেন। মারিয়া ইজ্জত আল চৌরবাজি দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফরাসি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছেন। পড়াশোনা শেষের পর তিনি দামেস্কে দুর্নীতিবিরোধী প্রচারাভিযানে জড়িয়ে পড়েন।[৩]

আরব বসন্ত শুরু হলে মারিয়া ইজ্জত আল চৌরবাজি দেশটির রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিতে অনুরোধ করেন। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং তিনি পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন। বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও তিনি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চালিয়ে যান।[৩] তিনি দেশটির কয়েদিদের মাঝে শান্তি ও নাগরিকত্ব বিষয়ক জ্ঞান দান করেছেন।[৪] তিনি বিনা বিচারে আটক দেড়শ নারী কয়েদিকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে দেশটির আদালতে পেশ করার জন্য অনশন ধর্মঘটে উদ্বুদ্ধ করেছেন।[৩] সিরীয় বাহিনীর দমন পীড়নের মুখে তিনি তার তিন সন্তান নিয়ে লেবাননে পাড়ি জমান।

লেবাননে পৌঁছে তিনি সেখানকার সিরীয় শরণার্থীদের নিয়ে কাজ শুরু করেন।[৫] তিনি ২০১৪ সালের ২ জানুয়ারি লেবাননে সিরীয় নারী শরণার্থী ও তাদের সন্তানদের জন্য 'উইমেন নাউ' নামের একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।[৬][৭] সংস্থাটি শরণার্থী নারীদের হরেক রকম কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করা ছাড়াও তাদেরকে ফরাসি ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষা, শরণার্থী নারীদের ও তাদের সন্তানের মানসিক অবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করত।

সম্মাননা সম্পাদনা

তিনি তার কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার লাভ করেন।[১][২][৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Deputy Secretary Higginbottom to Honor 10 International Women of Courage"। U.S. State Department। ৩ মার্চ ২০১৫। ৮ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৫ 
  2. Kenasari, M. Bilal (৭ মার্চ ২০১৫)। "Syrian activist receives International Women of Courage Award"। Anadolu Agency। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৫ 
  3. Basu, Rekha (মার্চ ১১, ২০১৫)। "Celebrate her courage, honor her pain"। Des Moines, Iowa: The Des Moines Register। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৫ 
  4. "Biographies of 2015 Award Winners"। U.S. State Department। মার্চ ২০১৫। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৫ 
  5. Wells, Crystal। "Fleeing for their Children's Safety: The Struggles of Syrian Women in Lebanon"। Concern Worldwide US inc। ৩০ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৫ 
  6. "The Women of Syria Advocating for Peace"। Women’s International League for Peace and Freedom। জুন ২৫, ২০১৪। এপ্রিল ২, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৫ 
  7. "مركز «النساء الآن» في لبنان .. نشاطات لتمكين المرأة وتجارب ناجحة"। enab baladi। ১১ জানুয়ারি ২০১৫। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৫