মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

বাংলাদেশের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলার একটি আধুনিক এবং বৃহত্তম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।

মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
ধরনসরকারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
স্থাপিত২০০৮
অধ্যক্ষপ্রকৌশলী মোঃ তাজুল ইসলাম
শিক্ষার্থী৩০৫০+
অবস্থান,
২৩°২৯′০০″ উত্তর ৮৯°২৩′৩৭″ পূর্ব / ২৩.৪৮৩৩২৬° উত্তর ৮৯.৩৯৩৪৯২° পূর্ব / 23.483326; 89.393492
শিক্ষাঙ্গনশহর (৪ একর)
সংক্ষিপ্ত নামএমপিআই
ওয়েবসাইটmagura.polytech.gov.bd
মানচিত্র

ইতিহাস

সম্পাদনা

মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম বছর মাত্র ৬০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং ইলেকট্রনিক্সের চার বছর মেয়ার্দী ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু হয়। ২০১০ সালে ইলেকট্রিক্যাল,ইলেকট্রনিক্সেরকম্পিউটার টেকনোলজি ২০১৪ সালে ফুড টেকনোলজি এবং ২০১৫ সালে মেকাট্রনিক্স টেকনোলজির কোর্স চালু করা হয়।[]

অবস্থান

সম্পাদনা

মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাগুরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে ৩.৫০ কিলোমিটার এবং ভায়না বাসস্ট্যান্ড থেকে ২.৫০ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে ইটখোলা বাজার নামক স্থানে অবস্থিত।[]

ক্যাম্পাস

সম্পাদনা

সবুজ গাছপালায় সমৃদ্ধ মনোরম পরিবেশে মূল ক্যাম্পাসটি পাঁচতলা বিশিষ্ট তিনটি এইচ (H) আকৃতির বড় ভবন রয়েছে। এদের দু'টি প্রাতিষ্ঠানিক ভবন এবং একটি প্রশাসনিক ভবন। ভিতরে শিক্ষকদের জন্য একটি আবাসনসহ ছোট বড় মোট পাঁচটি ভবন রয়েছে। ক্যাম্পাসটি শহরের নিকটবর্তি "ইটখোলা বাজার" নামক স্হানে প্রায় ৪ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত।

সুযোগ-সুবিধা

সম্পাদনা

প্রতিষ্ঠানটিতে একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার রয়েছে যাতে প্রায় ৩০০০ বিজ্ঞান এবং টেকনোলজি বিষয়ক বিভিন্ন বই রয়েছে। নিজস্ব জেনারেটর সহ আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ পরীক্ষাগার, ফ্রি ওয়াই-ফাই, বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, মসজিদ, গ্যারেজ, নিজস্ব ম্যাগাজিন, মাল্টি-মিডিয়া নেটওয়ার্ক ক্লাস রুম ও ল্যাব রয়েছে। একজন ছাত্র-ছাত্রী হিসেবে প্রতি সেমিস্টার বৃত্তি, বিশ্বব্যাংক বৃত্তি, রোভার স্কাউট, রোভার গার্লস, সামাজিক সংগঠন সহ আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রায় ৮০০ জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি আধুনিক অডিটোরিয়াম রয়েছে।শিক্ষকদের জন্য ৮০ জন ধারণ ক্ষমতা বিশিষ্ট একটি সেমিনার কক্ষ রয়েছে। দৃষ্টি নন্দিত প্রধান গেটের উত্তর পার্শ্বে খেলাধুলার জন্য একটি প্রশস্ত মাঠ রয়েছে। দ্বিতীয় গেটের পর প্রতিষ্ঠানটির সম্মুখভাগে একটি শহীদ মিনার রয়েছে।

শিক্ষা কার্যক্রম

সম্পাদনা

বর্তমান অত্র প্রতিষ্ঠানে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ৬টি বিভাগ রয়েছে। প্রতি বিভাগে দু'টি করে শিফট চলমান এবং প্রতি শিফটে ১০০ জন করে মোট ২০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পায়। বর্তমানে প্রায় ৩০৫০ ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত আছে এবং ১৫০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছে।

টেকনোলজিসমূহ

সম্পাদনা

কৃতিত্ব

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা
  1. বাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তালিকা
  2. বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১২ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৬ 
  2. "শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা"। ২৯ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা