ময়মনসিংহ থিয়েটার বোমা হামলা
ময়মনসিংহ থিয়েটার বোমা হামলা ছিলো চারটি ভিন্ন সিনেমা থিয়েটারে একটি সমন্বিত বোমা হামলা যা ২০০২ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলাশহরে সংগঠিত হয়। এতে ২৭ জন নিহত এবং ২০০ জন আহত হয়েছিলো।[১] এই বোমা হামলাটি চালিয়েছিল জামাত-উল-মুজাহিদীন নামক ধর্মীয় জঙ্গিগোষ্ঠী।[২]
| ময়মনসিংহ থিয়েটার বোমা হামলা | |
|---|---|
| স্থান | ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ |
| তারিখ | ৬ ডিসেম্বর, ২০০২ (UTC+06:00) |
| লক্ষ্য | থিয়েটারে থাকা চলচ্চিত্র দর্শক |
| হামলার ধরন | বোমা |
| নিহত | ২৭ |
| আহত | ২০০+ |
| হামলাকারী দল | জামাত-উল-মুজাহিদীন |
পটভূমি
সম্পাদনাবাংলাদেশের সাতক্ষীরায় একটি সার্কাস ও সিনেমা হলে বোমা হামলার দু'মাস পরে এই আক্রমণটি হয়। অপরাধ দমন বিরোধী অভিযান অপারেশন ক্লিন হার্ট চলাকালে এই হামলা হয়েছিল। অপারেশন কাজে জড়িত সৈন্যরা পরে উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিত্সার কাজে জড়িত হয়। বিস্ফোরণের পরে বাংলাদেশের গাইবান্ধায় একটি বোমা পাওয়া যায়।
আক্রমণ
সম্পাদনাঈদের ছুটির পরে এই হামলাগুলো হয়েছিল, হামলাগুলোর লক্ষ্য ছিলো দর্শকপূর্ণ চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ (সিনেমা হল)। ২০০২ সালের ৬ ডিসেম্বরে ছায়াবাণী, অজন্তা, অলকা, পূরবী নামে চারটি ভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে এক সাথে চারটি বোমা বিস্ফোরণ হয়।[৩][৪]
বিচার
সম্পাদনা২০০৭ সালে, বাংলাদেশ পুলিশ এই অপরাধে তিনজনকে অভিযুক্ত করে। এই সময় তদন্ত থেকে ৪৩ জনের নামও বাদ পড়েছিল যাদের নাম তৎকালীন বিএনপির সরকারে সময় অভিযোগপত্রে যোগ করা হয়েছিল, তারা সেই সময়ের বিরোধী দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাংবাদিক ছিল। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তৎকালীন ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সরকারের আমলে তাদের এই ৪৩ জনের নাম যুক্ত হয়েছিল বলে দাবি করা হয়।[৫][৬] ২০১৭ সালের তথ্যমতে, এই মামলার কোনও রায় হয়নি এবং ক্ষতিগ্রস্থরা কোনও ক্ষতিপূরণ পাননি।[৭]
প্রতিক্রিয়া
সম্পাদনাবাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিরোধী দল আওয়ামী লীগকে দোষ দিয়েছিলেন এই মর্মে যে সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য এটি ছিল তাদের (আওয়ামী লীগ) একটি পরিকল্পিত আক্রমণ।[৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Ahsan, Shamim। "The Blame Game Goes on"। দ্য ডেইলি স্টার। Star Magazine। ১২ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "First mass attack since 2005"। archive.dhakatribune.com। ঢাকা ট্রিবিউন। ২৬ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "ময়মনসিংহের ৪ সিনেমা হলে বোমা হামলা: বিচার হয়নি ৮ বছরেও"। banglanews24.com। ২০১০-১২-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-২৯।
- ↑ "Bombs hit cinemas in Bangladesh"। news.bbc.co.uk। BBC NEWS। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "3 JMB operatives charged with Mymensingh cinema blasts"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "3 JMB men charged with Mymensingh cinema blasts"। thedailystar.net। দ্য ডেইলি স্টার। ৯ অক্টোবর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ Ahmed, Ilias; Correspondent, Mymensingh; বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। "Mymensingh cinema hall bombing: No verdict 15 years on"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৭।
- ↑ "'Students of Madrasa' claim cinema hall blasts"। zeenews.india.com। Zee News। ১২ ডিসেম্বর ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৬।