মনপুরা

২০০৯-এর গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র
(মনপুরা (চলচ্চিত্র) থেকে পুনর্নির্দেশিত)

মনপুরা ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র।[১] ছবিটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। এই ছবিটি পরিচালনার মাধ্যমে সেলিম প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। গ্রামবাংলার পটভূমিতে নির্মিত, পারিবারিক ও প্রেমের গল্পের এই ছবিটিতে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরীফারহানা মিলি

মনপুরা
মনপুরা ছবির ভিসিডি প্রচ্ছদ.jpg
ভিভিডি কভার
পরিচালকগিয়াসউদ্দিন সেলিম
প্রযোজকঅঞ্জন চৌধুরী পিন্টু
রচয়িতাগিয়াসউদ্দিন সেলিম
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারইকবাল এ. কবির
চিত্রগ্রাহককামরুল হাসান খসরু
সম্পাদকইকবাল এ. কবির
পরিবেশকমাছরাঙ্গা প্রোডাকশন
মুক্তি
  • ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ (2009-02-13)
দৈর্ঘ্য১৩৮ মিনিট
দেশ বাংলাদেশ
ভাষাবাংলা ভাষা

২০০৯ সালের সেরা ব্যবসা সফল ছবি ছিল।[২] চলচ্চিত্রটি ৩৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ পাঁচটি বিভাগে এবং ১২তম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে দুটি বিভাগে পুরস্কার লাভ করে।

কাহিনী সংক্ষেপসম্পাদনা

গভীর রাতে প্রভাবশালী গাজীর মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে হালিম একটা খুন করে ফেলে। গাজী সাহেবের ছেলেকে রক্ষা করতে স্ত্রীর পরামর্শে বাড়ির এতিম কাজের ছেলে সোনাইকে মনপুরা দ্বীপে নির্বাসনে পাঠানো হয় যাতে সবাই সোনাইকে দোষী ভাবে। মনপুরা চরে সোনাইয়ের সঙ্গে দেখা হয় পরীর। পরী মাঝির মেয়ে, চরের দিকে মাছ ধরতে আসে বাবার সঙ্গে। যত দিন গড়ায় সোনাই আর পরী ততই একে অপরের কাছাকাছি আসে। একদিন চরে এসে গাজী দেখে ফেলে পরীকে। ঠিক করে পাগল ছেলে হালিমের সঙ্গে পরীর বিয়ে দেবে। হুজুরও বলেছে বিয়ে দিলে ছেলের মাথা ঠিক হবে। তাছাড়া কোনো অবস্থাসম্পন্ন ঘরের মেয়ে তো আর পাগলের বউ হবে না, এই মেয়ে সুন্দর এবং গরিব। অতএব মেয়ের বাবাকে লোভ দেখিয়ে পাগল ছেলের বিয়ে ঠিক করে গাজী। সোনাই আর পরী পালিয়ে যাবে, এমনটাই পরিকল্পনা হয়। কিন্তু সোনাই ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। এরপর হালিমের সঙ্গে অনেকটা জোর করেই বিয়ে হয় পরীর। দিন যায়, সোনাইকে ভুলতে পারে না পরী। শ্বশুরবাড়িতে পরীকে শোনানো হয় সোনাইয়ের ফাঁসি হবে। এ খবর সহ্য হয় না পরীর। বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে সে।

কুশীলবসম্পাদনা

সঙ্গীতসম্পাদনা

মনপুরা ছবিটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন অর্ণব এবং সংগীত পরিচালনা করেছেন ইকবাল এ. কবির।

সাউন্ড ট্র্যাকসম্পাদনা

ট্র্যাক গান কন্ঠশিল্পী
নিধুয়া পাথারে ফজলুর রহমান বাবু
যাও পাখি বলো তারে ১ চন্দনা মজুমদার ও কৃষ্ণকলি
সোনার ময়না – অর্ণব অর্ণব
নিধুয়া পাথারে ২ চঞ্চল চৌধুরী ও কৃষ্ণকলি
সোনাই হায় হায় রে ফজলুর রহমান বাবু
যাও পাখি বলো তারে ২ কৃষ্ণকলি
নিধুয়া পাথারে ৩ ফজলুর রহমান বাবু
আগে যদি জানতাম রে বন্ধু মমতাজ

প্রচারণাসম্পাদনা

এই চলচ্চিত্রটির ছন্দময় গানগুলো চলচ্চিত্র মুক্তির পূর্বে ব্যাপক প্রচার করা হয়, ফলে চলচ্চিত্র লাভজনক হতে অনেক সাহায্য করে। এটি কেবল এবং স্যাটেলাইট টিভি নেটওয়ার্কে ব্যাপক প্রচার করা হয়েছিল।

ডিভিডি-ভিসিডি সত্বসম্পাদনা

চলচ্চিত্রের ডিভিডি এবং ভিসিডি ডিসেম্বর ২০০৯ সালেই মুক্তি দেওয়া হয়েছিল লেজার ভিশনের ব্যানারে।

পুরস্কারসম্পাদনা

পুরস্কার প্রদানের তারিখ পুরস্কারের বিভাগ মনোনীত ফলাফল সূত্র
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২৩ জুলাই, ২০১১ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু বিজয়ী [৩]
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বিজয়ী (যুগ্মভাবে ফেরদৌসের সাথে)
শ্রেষ্ঠ খল অভিনেতা মামুনুর রশীদ বিজয়ী
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার গিয়াস উদ্দিন সেলিম বিজয়ী
শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী চন্দনা মজুমদারকাজী কৃষ্ণকলি ইসলাম বিজয়ী (যৌথভাবে)
মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ৯ এপ্রিল, ২০১০ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বিজয়ী [৪]
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ফারহানা মিলি মনোনীত
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা (সমালোচক) মামুনুর রশীদ বিজয়ী
চঞ্চল চৌধুরী মনোনীত
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী (সমালোচক) ফারহানা মিলি মনোনীত
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (সমালোচক) মাছরাঙ্গা ফিল্মস মনোনীত
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক (সমালোচক) গিয়াস উদ্দিন সেলিম মনোনীত

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "বদলে যাচ্ছে সিনেমা"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১০ 
  2. প্রকাশনাঃ আমার দেশ, ২৭ এপ্রিল, ২০১০ বদলে যাচ্ছে সিনেমা ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে সগৃহীত হয়েছেঃ ১২ মে, ১০১১
  3. "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার- ২০০৯"দৈনিক জনকণ্ঠ। ২৫ মার্চ ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "Meril Prothom Alo Awards"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ এপ্রিল ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৮ 

বহিঃসংযোগসম্পাদনা