মনচোরা (চলচ্চিত্র)

চলচ্চিত্র

মনচোরা হল ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলা চলচ্চিত্রশরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত মনচোরা উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিটি পরিচালনা করেন সন্দীপ রায়[১] এই ছবিতে মূখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন আবীর চট্টোপাধ্যায়, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, রাইমা সেনপরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিচালক সন্দীপ রায় মূলত তাঁর বাবা সত্যজিৎ রায়ের রচনা অবলম্বনে ফেলুদা চলচ্চিত্রই নির্মাণ করেন। সর্বশেষ নিশিযাপন (২০০৫) ও হিটলিস্ট (২০০৯) ছবিদুটির মনচোরা ছবিটিই ফেলুদা সিরিজের বাইরে তাঁর পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র। ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি এই ছবিটি মুক্তিলাভ করেছিল।[২]

মনচোরা
পেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত পোস্টার
পরিচালকসন্দীপ রায়
প্রযোজককমল মুকুট
চিত্রনাট্যকারসন্দীপ রায়
উৎসশরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক 
মনচোরা
শ্রেষ্ঠাংশেআবীর চট্টোপাধ্যায়
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়
রাইমা সেন
পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
জুন মালিয়া
রানা মিত্র
সুরকারসন্দীপ রায়
চিত্রগ্রাহকশীর্ষ রায়
সম্পাদকসুব্রত রায়
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশকইরোজ ইন্টারন্যাশানাল
মুক্তি
  • ১ জানুয়ারি ২০১৬ (2016-01-01)
স্থিতিকাল৯৬ মিনিট
দেশভারত
ভাষাবাংলা

কাহিনি-সারাংশ সম্পাদনা

কলকাতা শহরের নামী জ্যোতিষী যদুনাথ চৌধুরী (পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়) তাঁর পিতৃমাতৃহীন নাতি মন্মথ (শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়) ও নাতনি নন্দাকে (রাইমা সেন)। চৌধুরী মশাইয়ের চিন্তা তাঁর ‘সূর্যমণি’টির নিরাপত্তা নিয়ে। এই সূর্যমণি আসলে একটি বহুমূল্য পদ্মরাগমণি, যেটিকে তিনি তাঁর কুলদেবতা সূর্যের প্রতীক রূপে নিত্য পূজা করেন। এই মণির নিরাপত্তা নিয়ে তিনি এতটাই চিন্তিত যে, সামান্য একটি মিথ্যা বলার অপরাধেই মণি চুরি যাওয়ার ভয়ে তিনি তাঁর সেক্রেটারিকে কর্মচ্যূত করেন।

এক রাতে দিবাকর রায় (আবীর চট্টোপাধ্যায়) নামে একটি চোর সূর্যমণির লোভে চৌধুরীবাড়িতে চুরি করতে ঢোকে। কিন্তু সে ধরা পড়ে যায় নন্দার কাছে। নন্দা তাকে সৎ পথে নিয়ে আসার জন্য কৌশলে দিবাকরকে তার দাদুর সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করার সুযোগ করে দেয়।

ঘটনাচক্রে নন্দার একটি নতুন গয়না চুরি যায়। নন্দা দিবাকরকেই সন্দেহ করে। কিন্তু দিবাকর গয়নাটি উদ্ধার করে আনলে নন্দা জানতে পারে, তার দাদা মন্মথই আসল চোর। দিবাকরের কথাতেই নন্দা জানতে পারে তার বেকার দাদা লিলি (জুন মালিয়া) নামে এক প্রতারকের প্রেমে পড়ে চুরি করছে ও দাদুর তহবিল থেকে টাকা সরাচ্ছে। এরপর ধীরে ধীরে দিবাকর ও নন্দা পরস্পরের প্রেমে পড়ে যায়।

এদিকে লিলির প্ররোচনায় মন্মথ সূর্যমণিটি চুরি করে। দিবাকর তাকে ধাওয়া করে এবং লিলি ও তার শাগরেদদের ধরে ফেলে। সে মন্মথকে বলে নন্দা ও চৌধুরী মশাইকে খবর দিতে। ওঁরা এলে দিবাকর নিজেকেই চোর বলে দাবি করে।

বিচারে দিবাকরের তিন বছরের জেল হয়। পুলিশের কথা শুনে চৌধুরী মশাইয়ের ধারণা হয়, দিবাকর সূর্যমণির চোর নয়। তিনি বুঝতে পারেন, তিনি যাতে তাঁর নাতির আচরণে মানসিক আঘাত না পান, সেই জন্যই দিবাকর নিজের কাঁধে দোষ চাপিয়ে নিয়েছে। এদিকে মন্মথও কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়। সে তার বোনের কাছে নিজের অনুতাপ ব্যক্ত করতে বুঝতে পারে, দিবাকর ও নন্দা আসলে পরস্পরকে ভালোবাসে বলেই দিবাকর এই কাজ করেছে।

ছবির শেষে দেখা যায়, মন্মথ ও নন্দা চৌধুরী মশাইকে বলে তাদের এক ‘বন্ধু’র সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছে এবং চৌধুরী মশাই নন্দাকে বলছেন, “নন্দা, তোর সেই বন্ধুটিকে গিয়ে বলিস যে, তিন বছরের মধ্যে তোর বিয়ের কোনও যোগ নেই!”

অভিনেতা-অভিনেত্রী সম্পাদনা

প্রযোজনা সম্পাদনা

চলচ্চিত্রায়ণ সম্পাদনা

মনচোরা ছবিটির শ্যুটিং শুরু হয় ২০১৫ সালের গোড়ার দিকে। বেলাশেষে ছবিটির সাফল্যের পর কমল মুকুটের এম.এম মুভিজ সন্দীপ রায়ের সঙ্গে চলচ্চিত্র প্রযোজনার চুক্তিতে আবদ্ধ হন।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Eros International's Bengali film Monchora directed by Sandip Ray to release this Christmas"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. "Eros Intl unveils the poster of MONCHORA, their first Bengali production - Trade News : BollywoodTrade.com"www.bollywoodtrade.com। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১২-৩১ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা