ভুটানের শুধু ভারতচীন দুটি দেশের সাথে সীমান্ত রয়েছে। স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র ভুটানের কোন সামুদ্রিক সীমানা নেই।

স্থল সীমান্ত

সম্পাদনা

ভারতচীনের সাথে ভুটানের স্থল সীমান্ত বিদ্যমান রয়েছে।

স্থল সীমান্ত দেশ দৈর্ঘ্য বাহিনী টীকা
  ভারত ৫৭৮ কিমি (৩৫৯ মা)[] রাজকীয় ভুটান সেনাবাহিনী আরও দেখুন- ভুটান–ভারত সীমান্ত
  চীন ৪৭৭ কিমি (২৯৬ মা)[] রাজকীয় ভুটান সেনাবাহিনী আরও দেখুন- ভুটান–চীন সীমান্ত
 
ভুটানের সীমান্ত

চীনের সাথে ভুটানের খুব কম জমি সংক্রান্ত বিতর্ক রয়েছে। আনুমানিক ১৯১১ সালের পরে অল্প সময়ের জন্য চীন প্রজাতন্ত্র সরকারিভাবে ভুটানের একটা অংশ নিজেদের দাবি করে। ১৯৪৯ সালের চীনা গৃহযুদ্ধে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি চীনের মূলভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া পর ভুটানের অংশের উপর তাদের দাবি অব্যাহত থাকে।[] মাও সে তুং চীনা বিপ্লব এবং কমিউনিস্ট পার্টি-এর আসল ১৯৩৯ সালের সংস্করণে ঘোষণা করেন যে "চীনের সঠিক সীমারেখার মধ্যে থাকবে বার্মা, ভুটান এবং নেপাল"। নিজের তিব্বতের পাঁচ আঙ্গুল নীতিতে তিনি ভুটানকে তিব্বত তথা চীনের অংশ বলে নির্দেশ করেন। ১৯৫৯ সালে চীন চীনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস-এ একটি মানচিত্র প্রকাশ করে যেখানে যেখানে ভুটানের উল্লেখযোগ্য অংশের পাশাপাশি অন্যান্য দেশগুলো তাদের আঞ্চলিক দাবির অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৯৮ সালে ভুটান সীমান্তে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখার জন্য চীনের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করে। চুক্তিপত্রে চীন ভুটানের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মাননা নিশ্চিত করে এবং উভয় পক্ষই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচটি নীতির উপর ভিত্তি করে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেয়েছিল।[] যদিও, ভুটানের অঞ্চলের উপর চীনের সড়ক নির্মাণ ১৯৯৮ সালের চুক্তিপত্র লঙ্ঘন হওয়ায় তা একাধিক দেশের মাঝে উত্তেজনা উস্কে দেয়। যদিও ২০০২ সালে চীন বলে যে বিতর্কিত ভূমিটির মালিকানা চীনের এবং তাদের দাবির স্বপক্ষে প্রমাণ রয়েছে, আলোচনার পর দুটি দেশ অন্তর্বর্তী চুক্তিতে পৌঁছায়। ২০২০ এর ২ জুন তারিখে চীন অঞ্চলের উপর নতুন একটি বিতর্কের অবতারণা করে যা কখনো পূর্ববর্তী আলোচনায় তুলে ধরা হয়নি। বৈশ্বিক পরিবেশ সুবিধার ভার্চুয়াল সভায়,[] চীন পূর্ব ভুটানের ট্রাশিগাং জেলার সাক্টেং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের জন্য একটি অনুদানে আপত্তি জানিয়ে দাবি করে যে উক্ত এলাকাটি বিতর্কিত।[][]

ভারতের সঙ্গে ভুটানের কোনো সীমান্ত বিরোধ নেই।[]

পরিবহন এবং ক্রসিং

সম্পাদনা
 
সীমান্ত ফটক, ভুটানের ফুন্টশোলিংয়ের দৃশ্য

ভুটান এবং ভারতের মধ্যকার সীমান্তই ভুটানে প্রবেশের একমাত্র স্থল সীমান্ত ক্রসিং, কেননা চীনের সাথে সীমান্ত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। বিদেশী নাগরিকদের জন্য একক এন্ট্রি পয়েন্ট ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আলিপুরদুয়ার জেলার জয়গাঁও, এবং দক্ষিণ পশ্চিম ভুটানের ফুন্টশোলিং শহরের মধ্যে অবস্থিত।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Dec 20, Neeraj Chauhan / TNN / Updated; 2017; Ist, 19:40। "doklam: SSB to strengthen presence on India-Bhutan border | India News – Times of India"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-০৯ 
  2. Joshi, Manoj। "The China-Bhutan border deal should worry India"ORF (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-০৯ 
  3. Bhutan-China relations (5 July 2004). BhutanNewsOnline.com. Accessed 11 November 2021.
  4. "Asia Times Online :: China News, China Business News, Taiwan and Hong Kong News and Business."। ২০০৮-০৫-০৯। ২০০৮-০৫-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-০৯ 
  5. "Bhutan counters China's claim over its territory"Phayul (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৭-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-০৯ 
  6. "Why Did China Claim A Part Of Bhutan's Territory Now?"HuffPost (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৭-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-০৯ 
  7. "China throws up another 'disputed' territory claim against Bhutan, seen as targeting India"Tibetan Review (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৭-০২। ২০২০-১০-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-০৯ 
  8. "Ministry of Home Affairs" (পিডিএফ)। ২০১৮-০৩-১৭। ২০১৮-০৩-১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-০৯ 
  9. Lonely Planet: Bhutan