ভালাক হলো গোয়েশীয় গ্রিমোয়ার (জাদুবিদ্যার বই) দ্য লেসার কি অব সলোমন (কিছু সংস্করণে উয়ালাক, ভ্যালাক,[১] থমাস রুডের সংস্করণের ভালু),[২] ইয়োহান ওয়েয়ারের সিউডোমোনার্কিয়া ডিমোনাম (ভোলাক),[৩] লিবার অফিসিওরাম স্পিরিচুয়াম (কুলর বা ডুলাস),[৪][৫] এবং মিউনিখ ম্যানুয়াল অব ডেমনিক ম্যাজিক-এ (ভোলাখ)[৬][৭][৮] বর্ণিত এক শয়তান। ভালাককে দুই মাথাওয়ালা ড্রাগনের ওপরে আরোহিত ফেরেশতাসদৃশ পাখাওয়ালা বালক হিসেবে বর্ণনা করা হয়। বর্ণনায় ভালাকের গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার অলৌকিক ক্ষমতাও দেখানো হয়।[৬][৯][৪][৫][৭][৩]

ডিকশনেয়ার এঁফেহনাল-এ চিত্রিত ভালাক

বর্ণনা সম্পাদনা

লেসার কি, মিউনিখ বারনিখ, রুড ও ওয়েয়ারের বইগুলোতে ভালাককে সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর হিসেবে চিত্রায়িত করা হয়। এই সমস্ত বইয়ের বর্ণনায় ভালাকের সাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা সম্পর্কে জানা যায়।[৬][৯][২][৩] অফিসিয়াম স্পিরিচুয়াম-এ ডুলাসকে অত্যন্ত ক্ষমতাধর বর্ণনা করা হলেও, সর্বোত্তম ক্ষমতাধর বলা হয়নি। তবে এই গ্রন্থে সাপেদের নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মানববসতিতে থাকা আত্মাদের নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বলা হয়েছে।[৪][৫]

লেসার কি-তে (এবং সেই অনুসারে রুড) ভালাককে তালিকার ৬২তম এবং ওয়েয়ারে তালিকার ৫০তম স্থানে রাখা হয়েছে। উভয় সংস্করণেই বলা হয়, ভালাক ৩০ দল শয়তানের নেতৃত্ব দেয়। তবে কিছু কিছু পাণ্ডুলিপিতে সংখ্যাটি ৩৮ হিসেবে বর্ণিত।[৯][২][৩] মিউনিখ বারনিখ-এর বর্ণনায় ভোলাখ ২৭ দল শয়তানের নেতা।[৬][৭][৮] অফিসিয়াম স্পিরিচুয়াম-এ (পাণ্ডুলিপির ওপর নির্ভর করে) কুলরকে তালিকার ২১তম (এখানে দলের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি)[১০] বা ২২তম (ফোলজার শেক্সপিয়ার গ্রন্থাগারে রক্ষিত কপি) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে কুলর ১৩ দল আত্মাকে নিয়ন্ত্রণ করে।[৫] অফিসিয়াম স্পিরিচুয়াম-এর সকল বর্ধিত ও পূর্ণাঙ্গ সংস্করণে ডুলাসকে ২০ দল শয়তানের নেতা হিসেবে ২৫তম স্থানে রাখা হয়েছে।[১১][৫]

শুধুমাত্র রুডের বইয়ে শেমহামফরাশ (ইহুদি ধর্মে ঈশ্বরের নাম) ফেরেশতা ইয়াহেলের বিপরীতে ভালাকের বৈরিতা বর্ণনা করা হয়েছে।[১২]

ফ্যাসিকুলাস রেরাম জিয়োম্যান্টিক্যারাম নামক একটি পাণ্ডুলিপিতে তাকে “ভোলাখ” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।[১৩]

জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. পিটারসন ২০০১, পৃ. ২৫।
  2. রুড ২০০৭, পৃ. ১৬৪।
  3. ওয়েয়ার ১৫৬৩, অনু. ৫০।
  4. পোর্টার ২০১১, পৃ. ১৪-১৫।
  5. পোর্টার ২০১৫, পৃ. ১৯৮।
  6. কিয়েকহেফার ১৯৯৭, পৃ. ১৬৬, ২৯২।
  7. রুড ২০০৭, পৃ. ৩৪।
  8. ওয়েয়ার ১৫৬৩, পিটারসনের ভূমিকা।
  9. পিটারসন ২০০১, পৃ. ৩৫।
  10. পোর্টার ২০১১, পৃ. ১৪।
  11. পোর্টার ২০১১, পৃ. ১৫।
  12. রুড ২০০৭, পৃ. ৩৭৬।
  13. বুদেত ২০০৩, অনু. ২৫।

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা