ভানুশালী একটি হিন্দু সম্প্রদায়। এদের অধিকাংশই ভারতের গুজরাট রাজ্যের কচ্ছ জেলায় বসবাস করে। কিছু মানুষ সৌরাষ্ট্র অঞ্চল এবং গুজরাটের অন্যান্য অংশেও বসবাস করে।[১] কেউ কেউ মহারাষ্ট্রের থানে এবং মুম্বাই অঞ্চলে চলে গেছে এবং তারা মারাঠি ভাষায় কথা বলে।

ভানুশালী
ভাষাগুজরাটি, কচ্ছী, মারাঠি, হিন্দি, সিন্ধি
জনবহুল অঞ্চলমহারাষ্ট্র, মহারাষ্ট্র
উপবিভাগগোরি, ভদ্রা, জয়সার, গজরা, মাঙ্গে, শেঠে

ইতিহাস সম্পাদনা

ভানুশালীরা মূলত কৃষক ও ব্যবসায়ী।[২] কিন্তু তারা নিজেদের ক্ষত্রিয় বংশোদ্ভূত বলে দাবি করে।[৩] জ্যোতিন্দ্র জৈন তত্ত্ব দিয়েছিলেন যে ভানুশালীরা তাদের হিংলাজ মাতার পূজার ভিত্তিতে গুজরাটে চলে এসেছিল। তিনি আরও বিশ্বাস করতেন যে লোহানা এবং ভানুশালী দুটি গোষ্ঠীই গুজরাটে তাদের অভিবাসনের আগে সিন্ধু প্রদেশে বসবাস করত।

ভানুশালীরা বর্তমানে তাদের বসবাস অনুযায়ী দুটি উপগোষ্ঠীতে বিভক্ত। কচ্ছী ভানুশালী সম্প্রদায় (কচ্ছ অঞ্চলে এদের পূর্বপুরুষ রয়েছে) এবং হালাই ভানুশালী সম্প্রদায় (হালার (জামনগর) অঞ্চলে এদের পূর্বপুরুষ রয়েছে।[৪]

পেশা সম্পাদনা

ভানুশালীরা মূলত কৃষিবিদ্যা ও পশুপালন এবং কৃষিব্যবসায়ের সাথে জড়িত।[৩]

ধর্ম সম্পাদনা

ভানুশালীরা তাদের বংশের নাম / উপনাম অনুসারে বিভিন্ন কুলদেবীর পূজা করে।[৫] তারা হিন্দু রীতিনীতি ও বিশ্বাস অনুসরণ করে।[৬] তারা বীর দাদা যশরাজকেও পূজা করে এবং দাবি করে তিনি তাদের সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন, একই দাবী, লোহানারাও করে। ভানুশালীরা প্রধানত হিংলাজের উপাসনা করে, যার প্রধান মন্দির, হিংলাজ মাতা মন্দির বেলুচিস্তান অঞ্চলে অবস্থিত, যে অঞ্চলটি তাদের পৈতৃক স্বদেশ।[৩]

লোহানা সম্পাদনা

সিন্ধু প্রদেশে ভানুশালী এবং লোহানা উভয়েরই আদি বাড়ি ছিল। এই অঞ্চলের ইতিহাসেও উভয়ের যোগদান আছে বলে মনে হয়।[৩] লোহানাদের মতো ভানুশালীরাও ব্যবসায় জড়িত এবং ব্যবসায়ে তাদের উন্নতি দেখা গেছে। লোহানাদের মতো তারা দাদা যশরাজকে তাদের কুলদেবতা এবং তার ভগ্নী হারকোরকে কুলদেবীরূপে পূজা করে। লোহানা সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেক ভানুশালী উপাধিও পাওয়া যায়।[৭]

উল্লেখযোগ্য মানুষ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Gillow, John (২০০৮)। Indian Textiles। Thames & Hudson। পৃষ্ঠা 221 
  2. Fischer-Tiné, Harald (২০১৫)। Shyamji Krishnavarma: Sanskrit, Sociology, Anti-Imperialism। পৃষ্ঠা 3। 
  3. Jain, Jyotindra (১৯৮০)। Folk art and culture of Gujarat: guide to the collection of the Shreyas Folk Museum of Gujarat (English ভাষায়)। University of Michigan। ওসিএলসি 499443714 
  4. Bhanushalis Samaj (2018). "About Bhanushalis Community ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ আগস্ট ২০১৯ তারিখে".
  5. Berger, Peter (২০১০)। The anthropology of values: essays in honour of Georg Pfeffer (English ভাষায়)। Longman। পৃষ্ঠা 366। আইএসবিএন 9788131728208ওসিএলসি 695854817 
  6. Urmi Chanda-Vaz (January 20, 2018). "Indian millennials are embracing religious and spiritual tattoos, as indigenous cultures reject them".
  7. "Bhanushali"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  8. "Dhvani Bhanushali Official YouTube Channel"YouTube 
  9. "Jay Bhanushali IMDb Page"IMDb 
  10. "Kishore Bhanushali IMDb Page"IMDb 
  11. "Siddharth Bhanushali Official YouTube Channel"YouTube