ভরতখালী কাষ্ঠ কালী মন্দির
ভরতখালী কাষ্ঠ কালী মন্দির গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার একটি ঐহিত্যবাহী কালী মন্দির।[১] এই মন্দিরটি প্রায় দু’শ বছরের ও বেশি পুরাতন।[২][৩]
ভরতখালী কাষ্ঠ কালী মন্দির | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | হিন্দুধর্ম |
জেলা | গাইবান্ধা জেলা |
ঈশ্বর | কালী |
উৎসবসমূহ | কালী পূজা |
অবস্থান | |
অবস্থান | ভরতখালী, সাঘাটা |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৫°১০′০৪″ উত্তর ৮৯°৩৫′১১″ পূর্ব / ২৫.১৬৭৭৮৩° উত্তর ৮৯.৫৮৬৩৩৪° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
প্রতিষ্ঠাতা | জমিদার রমনীকান্ত রায় |
প্রতিষ্ঠার তারিখ | ১৯শ শতাব্দী |
ইতিহাস সম্পাদনা
প্রায় দু’শ বছরের বেশি পুরোনো ঐহিত্যবাহী এই কালী মন্দিরটি। লোক মুখে শোনা যায়, ঘাঘট নদীতে ভেসে আসা একটি কাঠের গুঁড়ি ভরতখালীতে এসে আটকে যায়। সেই কাঠ তুলে এনে সাধারণ কাঠ মনে করে এক ব্যক্তি তাতে কুড়াল দিয়ে আঘাত করলে সাথে সাথে রক্ত বেরিয়ে আসে। তখন সেখানকার জমিদার রমনীকান্ত রায় স্বপ্নে কালী দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে, কারিগর এনে সেই কাঠের খণ্ডটি দিয়ে কালী মূর্তি তৈরি করেন এবং পূজা অর্চনা করেন। প্রথমদিকে পূজা হতো একটি খড়ের ঘরে। পরে জমিদার মন্দিরটি সুন্দর করে তৈরি করেন। বলা হয়ে থাকে প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের মনোবাসনা পূর্ণ হওয়ায় আজও মানুষ ভিড় করে এখানে পূজা দেয়।[২][৩]
পূজা পার্বণ সম্পাদনা
প্রত্যেক বছর পুরো বৈশাখ জুড়ে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার এখানে পূজা দেয়া হয়, সেই সাথে ১লা বৈশাখ থেকে মাস ব্যাপী মেলা চলে।[২]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "ভরতখালী ঐহিত্যবাহী কাষ্ঠ কালী মন্দির"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২০২২-০৭-২১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ "সাঘাটা উপজেলা"। saghata.gaibandha.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "গাইবান্ধার ভরতখালীর ঐতিহ্যবাহী কাষ্ঠ কালী মন্দির"। ভ্রমণবন্ধু (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৭-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২১।