ভবিষ্যপুরাণ

অষ্টাদশ হিন্দুপুরাণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাস্ত্রগ্রন্থ

ভবিষ্য পুরাণ (সংস্কৃত: भविष्य पुराण Bhaviṣhya Purāṇa[১]) অষ্টাদশ হিন্দুপুরাণের অন্যতম[২] তথা একটি গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু শাস্ত্রগ্রন্থ। এই পুরাণ সংস্কৃতে লিখিত এবং সাধারণ বিশ্বাস অনুযায়ী বেদ-সংকলক ব্যাসদেব এই গ্রন্থের রচয়িতা। ভবিষ্য পুরাণ নামকরণের মধ্যেই স্পষ্ট এই পুরাণের মূল উপজীব্য বিষয় ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত ভাববাণী বা ভবিষ্যদ্বাণী।[৩] এই গ্রন্থ পুরাণ (সংস্কৃত: पुराण purāṇa, অর্থাৎ "পুরাকালের কাহিনি") বলে বিবেচিত হলেও, খুব অল্পসংখ্যক কিংবদন্তির কথাই এখানে উল্লিখিত। এই পুরাণ সেই সকল পুরাণগ্রন্থের অনুরূপ যেখানে অতীত কালের রাজবৃত্তান্ত বর্ণনার সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যৎ রাজাদের রাজত্বকালের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে।[৪] তবে, এর ভবিষ্যতবাণী নামক বিস্তৃত অংশটি আধুনিক যুগের সংযোজন হওয়ায় এটি প্রকৃতপক্ষে অখণ্ড ভবিষ্যপূরাণের কোন অংশ নয়।[৫][৬]

ভবিষ্য পুরানের একটি পাতা

যেসকল উপাদান নিয়ে এই পুরাণ রচিত, তার মধ্যে যেমন রয়েছে বহু প্রাচীন উপাদান, তেমনই রয়েছে অপেক্ষাকৃত সাম্প্রতিক কালের উপাদানও। প্রাপ্ত পাঠের একাংশ মনুস্মৃতি থেকে গৃহীত হয়েছে; তার মধ্যে রয়েছে বিশ্বসৃষ্টির বিবরণও।[৭] শংকরসংহিতা-র শিবরহস্যখণ্ড অনুসারে এই পুরাণ দশটি প্রধান শৈব পুরাণের অন্যতম।[৮] পদ্ম পুরাণ বর্ণিত তিন গুণভিত্তিক শ্রেণিবিভাজন প্রথা অনুসারে[৯] এই পুরাণ রজোগুণাত্মক; কারণ এই পুরাণের কেন্দ্রীয় দেবতা ব্রহ্মা[১০][১১]

পাণ্ডুলিপি সম্পাদনা

বোম্বে সংস্করণে পাওয়া যায়:

  • ব্রহ্মপর্ব, যার ২১৫টি অধ্যায় রয়েছে।
  • মধ্যপর্ব, যার মোট ৬২টি অধ্যায় সহ তিনটি বিভাগ রয়েছে,
  • প্রতিসর্গপর্ব, যার চারটি বিভাগ রয়েছে যথাক্রমে ৭, ৩৫, ৩২ এবং ২৬ অধ্যায়, এবং
  • উত্তরপর্ব, যার ২০৮টি অধ্যায় রয়েছে।

কিছু পাণ্ডুলিপির পাঠে পর্ব নেই কিন্তু বিভিন্ন সংখ্যক অধ্যায় রয়েছে।[১২] ভবিষ্য পুরাণ কয়েকটি পাণ্ডুলিপি অনুসারে এই গ্রন্থটির পাঁচটি পর্ব বা খণ্ড।[১৩] কিন্তু বর্তমান প্রাপ্ত পাঠভিত্তিক মুদ্রিত সংস্করণে চারটি খণ্ড দেখা যায় ( ব্রাহ্ম, মধ্য, প্রতিসর্গ, ও উত্তর)।[১৪] এই চারটি খণ্ড বিষয়গতভাবে পৃথক ও ভিন্ন ভিন্ন সময়কালে রচিত।

রচনাকাল ও বিষয়বস্তু সম্পাদনা

খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর ভূমি অনুদানের রেকর্ডে ভবিষ্য পুরাণের যেসব শ্লোক রচিত হয়েছে বলে নথিবদ্ধ হয়েছে, সেগুলো শুধুমাত্র পদ্ম, ভবিষ্যব্রহ্ম পুরাণে পাওয়া যায়। এই ভিত্তিতে ১৯১২ সালে পারগিটার এই বিশেষ পুরাণগুলিকে খ্রিস্টীয় শতাব্দীর গোড়ার দিকে অর্পণ করেছিলেন। মরিজ উইন্টারনিৎজ মনে করেন, উদ্ধৃতি হিসেবে গৃহীত লেখ ও পুরাণ উভয় ক্ষেত্রে উল্লিখিত এই শ্লোকগুলি সম্ভবত ধর্মরাষ্ট্রসমূহের পূর্ববর্তী এবং তাই এগুলির ভিত্তিতে কোনো কালানুক্রমিক তালিকা প্রস্তুত সম্ভব নয়।[১৫]

তার মতে, ভবিষ্য পুরাণ শিরোনামে যেসব পুথি আমাদের হস্তগত হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে আপস্তম্বীয় ধর্মসূত্র গ্রন্থে উদ্ধৃত মূল ভবিষ্য পুরাণের সেই প্রাচীন কীর্তি নয়।[১৬] আপস্তম্বীয় ধর্মসূত্র-এ একটি উদ্ধৃতি ভবিষ্য পুরাণ -এর নামাঙ্কিত; কিন্তু উক্ত পুরাণের প্রাপ্ত কোনো পাঠে তা পাওয়া যায় না।[১৭]

ভবিষ্য পুরাণের চার পর্বের রচনার বিভিন্ন তারিখ রয়েছে যা এখন স্বীকৃত। পৌরাণিক শাস্ত্রসমূহের প্রক্ষিপ্ত হয়ে পড়া বৈশিষ্ট্যের কারণে সঠিক রচনাকাল নির্ধারণ করা অসম্ভব বলে পৌরাণিক পণ্ডিতরা ক্রমশ একমত হয়েছেন। গুস্তাভ গ্লেসার দেখিয়েছেন, ভবিষ্য পুরাণের টিকে থাকা পাণ্ডুলিপিগুলি মূল ভবিষ্য পুরাণের প্রাচীন বা মধ্যযুগীয় সংস্করণও নয়।

ব্রাহ্মপর্ব সম্পাদনা

এই পর্বের বৃহত্তর অংশ জুড়ে আছে ব্রাহ্মণ্য ক্রিয়াকর্ম, বর্ণের কর্তব্য, কয়েকটি সর্পকেন্দ্রিক কিংবদন্তি ও অন্যান্য বিষয়ের বিবরণ।[১৮] এতে রয়েছে নারীর কর্তব্য, মানুষের সু ও কুলক্ষণ এবং ব্রহ্মা, গণেশ, স্কন্দ ও সর্পপূজার পদ্ধতি।[১৯] একটি বৃহৎ অংশে "শাকদ্বীপ" (সম্ভবত সিথিয়া) নামক স্থানের সূর্যপূজার কথাও।[২০][২১]

মধ্যপর্ব সম্পাদনা

ভবিষ্য পুরাণ-এর চারটি খণ্ডের মধ্যে মধ্যপর্ব এমন একটি খণ্ড যার উল্লেখ অন্যত্র পাওয়া যায় না। রাজেন্দ্র হাজরা এই অংশটিকে "তান্ত্রিক উপাদানসমৃদ্ধ এক পরবর্তীকালীন অঙ্গযোজন" বলে উল্লেখ করেছেন।[২২]

প্রতিসর্গপর্ব সম্পাদনা

"ভবিষ্যদ্বাণী"-সম্পর্কিত তৃতীয় অংশ প্রতিসর্গপর্ব-এ উপনিষদীয় ধারণাগুলির সাথে অ-ভারতীয় ম্লেচ্ছধর্মের তুলনামূলক অধ্যয়ন রয়েছে, পাশাপাশি রয়েছে অষ্টাদশ শতাব্দির ইতিহাস। পণ্ডিতদের মতে এটি ১৮ কিংবা ১৯ শতকেও প্রক্ষিপ্ত হয়েছে বলে বিবেচিত হয়।[১২][২৩]

এই পর্বে ১০০টি অধ্যায় রয়েছে,[১২] যেখানে রাজা ও ঋষিদের বংশতালিকা এবং ভবিষ্যদ্বাণীর মতো বিষয় নিয়ে বলা হয়েছে।[১২] এটি মূলত বিশ্ব ইতিহাস হিসাবে লেখা। এর প্রথম এবং দ্বিতীয় খণ্ডে প্রাচীন কাল, তৃতীয় খন্ড মধ্যযুগ এবং চতুর্থ খণ্ড নবযুগের সাথে সম্পর্কিত।[২৪] এই পাঠ্যাংশতে দ্বাদশ শতাব্দির পরবর্তী সময়ে ভারত অঞ্চল গঠিত লুণ্ঠন এবং বড় গণহত্যা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে ৩।৪।৬ শ্লোকে তৈমুর-তাম্বুরলং-এর গণহত্যা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে (পাঠ্যটিতে তাকে তিমিরলিঙ্গ বা "অন্ধকারের প্রতিক" বলা হয়েছে)।[২৫] আলফ হিল্টেবিটেল বলেছেন, ঐতিহাসিক চরিত্রগুলির সাথে যাদের ধারণা রয়েছে এবং রচনাগুলি একাদশ ও চতুর্দশ শতাব্দির মধ্যে ভারতকে প্রভাবিত করেছিল। এতে মুঘল ইতিহাস সম্পর্কে সমালোচনামূলক মন্তব্য রয়েছে (পাঠগুলিতে তাদের "মুকুল" বলা হয়েছে) এবং একজন মহামদের কথা বলা হয়েছে যিনি ছিলেন আরবের "ম্লেচ্ছ"দের শেষ নবী।[২৫] এ থেকে বুঝা যায় এই অংশটি চতুর্দশ শতাব্দির পরে ভালভাবে লেখা হয়েছিল। ভবিষ্য পুরাণের এই পর্বের রচয়িতা ইংরেজি বাইবেল এবং আরবি ইসলামী গ্রন্থ উভয়ই জানেন বলে মনে হয় মনে হয়, তবে এখানে ব্যবহৃত অনেক শব্দই আরবি শব্দ ও নাম থেকে উদ্ভূত হয়েছে, ইংরেজি উৎস থেকে তেমন ব্যবহৃত হয়নি। সুতরাং, পাঠ্যের এই অংশটি অবশ্যই মুঘল সাম্রাজ্যের উত্থানের পর এবং ভারতে আরবি উৎস প্রাপ্তির পর রচিত হয়েছিল।[২৫] এই অংশটি বহু পণ্ডিতকে ভবিষ্য পুরাণের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পরিচালিত করেছে এবং এই পুরাণগুলি প্রামাণিক ধর্মগ্রন্থ হিসেবে গৃহীত হয়নি, বরং ইতিহাসের একটি সাক্ষ্য যা ক্রমাগত সংশোধিত হয়েছিল।[১২][২৬][২৪]

আলফ হিল্টেবিটেলের মতে,[২৭] অষ্টাদশ শতাব্দীর দ্বিতীয় চতুর্থাংশে মুঘলদের পাঠ্যের ইতিহাসের জন্য একটি শুরু বিন্দু হিসাবে চিহ্নিত করে কারণ এর ৩।৪।২২ শ্লোকে নাদির শাহ (তাকে দৈত্য নাদিরা বলা হয়েছে) এবং মুহাম্মদ শাহের কথা উল্লেখ করেছে। এই অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে প্রতিসর্গপর্বের প্রথম খন্ড জেনেসিস-এক্সোডাস ক্রমের ক্ষেত্রেও একটি কথা প্রযোজ্য হবে যেখানে এর লেখক আরবি এবং ইংরেজি উভয় সূত্র সম্পর্কে সচেতন।[২৮] এছাড়াও, রাণী ভিক্টোরিয়ার প্রাসাদ, কলকাতা এবং অষ্টাদশ শতকের বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক ঘটনার কথা উল্লেখ করে ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি থেকে শেষের দিকে সমাপ্তি বিন্দু স্থাপন করে।[২৯][৩০] হিলটেবিটেল আরও বলেছেন, ভবিষ্য পুরাণের এই অংশটি সম্ভবত ঊনবিংশ শতকে রচিত হয়েছিল।[৩১]

প্রতিসর্গপর্ব প্রসঙ্গে হাজরা বলেছেন:

ভবিষ্য পুরাণ-এর(এক।১।২-৩) অন্তর্গত হলেও প্রতিসর্গপর্ব আদম, নোয়া, যাকুতা, তৈমুরলঙ, নাদিরশাহ, আকবর (দিল্লীশ্বর), জয়চন্দ্র... ও আরও অনেকের কথা বলে। ভারতে ব্রিটিশ শাসনের কথাও এ গ্রন্থ জানে, এমনকি কলকাতা ও পার্লামেন্টের কথাও উল্লেখ করে।[৩২]

এ কে রামানুজন একটি " যথাযথভাবে হালনাগাদকৃত ভবিষ্য পুরাণ" গ্রন্থে খ্রিস্ট, মুসারানি ভিক্টোরিয়ার উল্লেখ পেয়েছেন। একে তিনি এই বলে ব্যাখ্যা করেন যে:

চতুর বক্তব্য ও অনুশাসন প্রয়োগ করার পর পর প্রচেষ্টার পরও বলতেই হয় যে পুরাণগুলি মুক্ত ব্যবস্থার অন্তর্গত।[৩৩]

উত্তরপর্ব সম্পাদনা

ভবিষ্য পুরাণ-এর সঙ্গে সংযুক্ত হলেও উত্তরপর্ব-কে সাধারণভাবে ভবিষ্যোত্তর পুরাণ নামে একটি স্বাধীন রচনা হিসেবে উপপুরাণগুলির অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৩৪] ভবিষ্যোত্তর পুরাণ মুখ্যত কিছু কিংবদন্তি ও লোককথা সংবলিত ধর্মীয় রীতিনীতির হাতবই।[৩৫] রাজেন্দ্র হাজরা একে "বিভিন্ন সূত্র থেকে গৃহীত একটি অসংবদ্ধ উপাদানসংগ্রহ" বলে উল্লেখ করেছেন। এই গ্রন্থে পুরাণের পাঁচটি চিরাচরিত বৈশিষ্ট্য উপেক্ষিত হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন ধর্মসম্প্রদায়, উৎসব এবং সমাজতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণে এই অংশ যথেষ্টই সমৃদ্ধ।[৩৬]

প্রভাবিত হওয়া সম্পাদনা

ইন্ডোলজিস্ট থিওডর অফ্রেচট বোম্বে পাণ্ডুলিপি সংস্করণটিকে আধুনিক যুগের "সাহিত্যিক প্রতারণা" হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন যা প্রথম দিকের মিশনারিদের দ্বারা ভারতে আনা পেন্টাটিউচ (বাইবেল) থেকে উদ্ধৃতাংশ চুরি করে। গুস্তাভ গ্লেসারের মতে, এটিকে "প্রতারণা" হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয় কারণ পুরাণের শ্লোক বিভিন্ন ধরনের উৎস থেকে এই ধরনের ঋণ, প্রক্ষিপ্তকরণ এবং সংযোজন করা সাধারণ বিষয়।[৩৭][ক] এভাবেই, ভবিষ্য পুরাণ সেমেটিক, মেসোপটেমীয়, ফার্সি, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য উৎস থেকে ধারণা নেয়। এই পুরাণে সংস্কৃত বা প্রাকৃত শব্দের ব্যবহার দ্বারা তা প্রমাণিত হয়, যেমন সন্তে (Sunday থেকে এসেছে), ফার্বরী (ফেব্রুয়ারি থেকে এসেছে), সিক্সটী (Sixty থেকে এসেছ) এবং এধরনের ব্যবহার আরও পাওয়া যায়।[৩৭]

আরও দেখুন সম্পাদনা

টীকা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. For Bhaviṣyat Purāṇa as the name of the text, see: Winternitz, volume 1, p. 519.
  2. For the Bhaviṣyat Purāṇa as one of the eighteen major puranas see: Winternitz, volume 1, p. 531.
  3. For the title signifying "a work which contains prophecies regarding the future (bhaviṣya)" see: Winternitz, p. 567.
  4. For the Bhaviṣyat Purāṇa as one of several puranas predicting future kings (others being the Matsya, Vāyu, Brahmāṇḍa, Viṣṇu, Bhāgavata, and Garuḍa Puranas, see: Winternitz, volume 1, pp. 523-524.
  5. Rocher 1986, পৃ. 151-154।
  6. K P Gietz 1992, পৃ. 215 with note 1180।
  7. For use of material from the law book of Manu, including the account of Creation, see: Winternitz, volume 1, p. 567.
  8. For classification as a Shaiva Purana in the Śivarahasya-khaṇḍa of the Śaṅkara Saṃhitā see: Winternitz, volume 1, p. 572, n. 1.
  9. For the guna method of classification as given in Padma Purana 5.263.81-4 see: Mathett, Freda, "The Purāṇas" in Flood (2003), p. 137.
  10. For classification as a rajas Purana, see: Flood (1996), p. 110.
  11. For classification of Bhavishya The Puranas as rajas type, see: Mathett, Freda, "Purāṇa" in Flood (2003), p. 137.
  12. Rocher 1986
  13. Bhavishya Purana I.2.2-3.
  14. For self-report of five parts, but only four parts in the printed text, see: Hazra, Rajendra Chandra, "The Purāṇas", in: Radhakrishnan (CHI, 1962), volume 2, p. 263.
  15. For the fifth century BCE land grant references, citation to Pargiter (1912), and debunking of the theory, see: Winternitz, volume 1, p. 526, note 2.
  16. For statement that the extant text is not the ancient work, see: Winternitz, volume 1, p. 567.
  17. For the quotation in Āpastambīya Dharmasūtra attributed to the Bhaviṣyat Purāṇa not extant today, see: Winternitz, volume 1, p. 519.
  18. For the characterization of the content, see: Winternitz, volume 1, p. 567.
  19. For duties of women, signs of people, and methods of worshipping Brahma, Ganesha, Skanda, and the Snakes see: Hazra, Rajendra Chandra, "The Purāṇas", in: Radhakrishnan (CHI, 1962), volume 2, p. 264.
  20. For the sun worship in "Śākadvīpa", which may be Scythia, see: Winternitz, volume 1, p. 567.
  21. For a large number of chapters on Sun worship, solar myths, and Śāka-dvipa, see: Hazra, Rajendra Chandra, "The Purāṇas", in: Radhakrishnan (CHI, 1962), volume 2, p. 264.
  22. For quotation from Hazra regarding the Madhyamaparvan as a late appendage, see: Hazra, Rajendra Chandra, "The Purāṇas", in: Radhakrishnan (CHI, 1962), volume 2, p. 263.
  23. Dalal 2014
  24. Alf Hiltebeitel (১৯৯৯)। Rethinking India's Oral and Classical Epics। University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 216–218, 271–287। আইএসবিএন 978-0-226-34050-0 
  25. Alf Hiltebeitel (১৯৯৯)। Rethinking India's Oral and Classical Epics। University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 274–277। আইএসবিএন 978-0-226-34050-0 
  26. K P Gietz 1992
  27. Alf Hiltebeitel (১৯৯৯)। Rethinking India's Oral and Classical Epics। University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 216–218, 271–287। আইএসবিএন 978-0-226-34050-0 
  28. Alf Hiltebeitel Rethinking India's Oral and Classical Epics 2009 Page 276 "Thus 1739 could mark a terminus a quo for the text's history of the Mughals. If so, the same terminus would apply to its Genesis-Exodus sequence in its first khanda, its Jesus-Muhammad diptych in its third (the Krsnam&acaritd), and the history ..."
  29. Alf Hiltebeitel Rethinking India's Oral and Classical Epics 2009 Page 277 "Since references to Queen Victoria's Calcutta provide a mid- to even late-nineteenth-century terminus ad quem for other ... but of the Genesis-Exodus sequence and the Krsnamsacarita —with its Jesus and Muhammad passages— as well."
  30. Bonazzoli, Giorgio: Christ in the Bhavisya Purana [Engl.]. (a methodological approach to Bhav. P. III. 3.2.21-32), Journal: Purana issue 21, January 1979, pp. 23-39.
  31. Alf Hiltebeitel (১৯৯৯)। Rethinking India's Oral and Classical Epics। University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 217–218। আইএসবিএন 978-0-226-34050-0 
  32. For quotation describing the Pratisargaparvan as "practically a new work" see: Hazra, Rajendra Chandra, "The Purāṇas", in: Radhakrishnan (CHI, 1962), volume 2, p. 263.
  33. For quotations see: Ramanujan, A. K., "Folk Mythologies and Purāṇas" in: Doniger
  34. For independent classification of the Uttaraparvan as the Bhaviṣyottara Purāṇa see: Hazra, Rajendra Chandra, "The Purāṇas", in: Radhakrishnan (CHI, 1962), volume 2, p. 263.
  35. For the contents of the Bhaviṣyottara Purana and characterizing it as a continuation of the Bhavishya Purana see: Winternitz, volume 1, p. 567.
  36. For quotation related to loose collection of materials see: Hazra, Rajendra Chandra, "The Upapurāṇas" in: Radhakrishnan (CHI, 1962), volume 2, p. 285.
  37. Glaesser, Gustav (১৯৬৯)। "Review of Das Bhaviṣyapurāṇa (Münchener Indologische Studien vol. 5) by Adam Hohenberger, Helmut Hoffmann": 511–513। জেস্টোর 29755461 
  • Doniger, Wendy (editor) (১৯৯৩)। Purāṇa Perennis: Reciprocity and Transformation in Hindu and Jaina Texts। Albany, New York: State University of New York। আইএসবিএন 0-7914-1382-9 
  • Flood, Gavin (১৯৯৬)। An Introduction to Hinduism। Cambridge: Cambridge University Press। আইএসবিএন 0-521-43878-0 
  • Flood, Gavin (Editor) (২০০৩)। The Blackwell Companion to Hinduism। Malden, MA: Blackwell Publishing Ltd.। আইএসবিএন 1-4051-3251-5 
  • Radhakrishnan, Sarvepalli (Editorial Chairman) (১৯৬২)। The Cultural Heritage of India। Calcutta: The Ramakrishna Mission Institute of Culture।  Second edition, four volumes, revised and enlarged, 1962 (volume II).
  • Winternitz, Maurice (১৯৭২)। History of Indian Literature। New Delhi: Oriental Books Reprint Corporation।  Second revised reprint edition. Two volumes. First published 1927 by the University of Calcutta.
  • Bhaviṣyapurāna, Pratisargaparvan। Bombay: Venkateshwar Press। ১৯৫৯। 



উদ্ধৃতি ত্রুটি: "lower-alpha" নামক গ্রুপের জন্য <ref> ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="lower-alpha"/> ট্যাগ পাওয়া যায়নি