ব্যবহারকারী:Sbb1413/সংস্কৃত থেকে বাংলায় লিপ্যন্তরের পদ্ধতি

উইকিপিডিয়া:বাংলা ভাষায় সংস্কৃত শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ নিবন্ধে সারণী আকারে সংস্কৃত থেকে বাংলায় লিপ্যন্তরের নিয়ম তুলে ধরা হলেও কিছু ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে সংস্কৃত থেকে বাংলায় লিপ্যন্তরে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমি এই রচনায় ধাপে ধাপে সংস্কৃত থেকে বাংলায় লিপ্যন্তরের নিয়ম তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

লাতিন লিপিতে সংস্কৃত থেকে বাংলা সম্পাদনা

ইংরেজি উইকিপিডিয়ায় অনেকসময় দেবনাগরী লিপিতে সংস্কৃত লেখা না দেখিয়ে লাতিন লিপিতে সংস্কৃত লেখা প্রদর্শন করে, যার পোশাকি নাম সংস্কৃত লিপ্যন্তরের আন্তর্জাতিক বর্ণমালা (IAST)। এটি সংস্কৃত থেকে বাংলায় লিপ্যন্তরের সমস্যার অন্যতম কারণ। এর জন্য নিম্নলিখিত ধাপ অনুসরণ করতে হবে:

  1. IAST-তে "a" বলতে বাংলা "অ" এবং "ā" বলতে বাংলা "আ" বোঝায়। যেমন: Ramā → "রমা"।
  2. উপরে মাত্রাহীন স্বরবর্ণ হ্রস্ব এবং মাত্রযুক্ত স্বরবর্ণ দীর্ঘ।
  3. শব্দের শেষে "a" থাকলে তাকে বাংলা লিপিতে উহ্য রাখা যাবে না, কিন্তু তৎসম শব্দ হিসাবে ব্যবহার করলে একে উহ্য রাখাই উচিত। যেমন: Rāma → "রাম্অ", কিন্তু তৎসম শব্দ হিসাবে ব্যবহার করলে "রাম"।
  4. ব্যঞ্জনবর্ণ দিয়ে কোনো শব্দ শেষ হলে সেখানে বাংলায় হসন্ত বা হসচিহ্ন (্) যোগ করা উচিত, তবে তৎসম শব্দ হিসাবে ব্যবহার করলে একে না যোগ করলেও চলবে। যেমন: Hamumān → "হনুমান্" বা "হনুমান"।
  5. একাধিক ব্যঞ্জনবর্ণ পরপর এলে এদের যুক্তাক্ষর দিয়েই লেখা উচিত। যেমন: Caturvaktra → "চতুর্ৱক্ত্রঅ" বা "চতুর্বক্ত্র"।
  6. IAST-তে "c" বলতে বাংলা "চ" এবং "ch" বলতে বাংলা "ছ" বোঝায়। যেমন: Caraṇapadma → "চরণপদ্ম্অ" বা "চরণপদ্ম", Mleccha → "ম্লেচ্ছ্অ" বা "ম্লেচ্ছ"।
  7. "y" ব্যঞ্জনবর্ণকে বাংলা লিপিতে "য়" দিয়ে লেখা যেতে পরে, কিন্তু তৎসম শব্দ হিসাবে ব্যবহার করলে একে স্বাভাবিক নিয়মানুযায়ী "য" বা "য়" দিয়ে লেখা উচিত। যেমন: Yama → "য়ম্অ", কিন্তু তৎসম শব্দ হিসাবে ব্যবহার করলে "যম"।
  8. "v" ব্যঞ্জনবর্ণকে অবাংলা অক্ষর "ৱ" দিয়ে লেখা যেতে পরে, কিন্তু তৎসম শব্দ হিসাবে ব্যবহার করলে একে "ব" দিয়েই লেখা উচিত। যেমন: Vedavyasa → "ৱেদৱ্য়াস্অ", কিন্তু তৎসম শব্দ হিসাবে ব্যবহার করলে "বেদব্যাস"।
  9. IAST-তে "ṃ" অক্ষরটি অনুস্বারকে চিহ্নিত করলেও সংস্কৃতে এর উচ্চারণ বাংলা চন্দ্রবিন্দুর (ঁ) মতো, এবং ধ্বনিগত বানানে সেরকম লেখা উচিত।[ক] কিন্তু সংশ্লিষ্ট শব্দটি তৎসম শব্দ হিসাবে ব্যবহৃত হলে "ṃ" অক্ষরকে "ং" দিয়েই লেখা উচিত। যেমন: Saṃskāra → "সঁস্কার্‌অ", কিন্তু তৎসম শব্দ হিসাবে ব্যবহার করলে "সংস্কার"।

টীকা সম্পাদনা

  1. সংস্কৃতে অনুস্বার ও চন্দ্রবিন্দুর মধ্যে পার্থক্য করার জন্য বৈদিক অনুস্বার ( ) ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু বেশিরভাগ ফন্ট একে প্রদর্শন করে না।