বেম লে হান্টে

অস্ট্রেলীয় লেখিকা

বেম লে হান্টে (জন্ম ১৯৬৪) হলেন একজন ব্রিটিশ-ভারতীয়-অস্ট্রেলিয়ান লেখক। তাঁর আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশিত দুটি উপন্যাস, দ্য সিডকশন অফ সাইলেন্স (২০০১) এবং দেয়ার, হোয়্যার পেপার গ্রোজ (২০০৬), পূর্ব এবং পশ্চিমী বিশ্বে অসংখ্য ইতিবাচক পর্যালোচনা এবং ব্যাপক প্রশংসামূলক পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তাঁর প্রথম উপন্যাসটি ২০০১ কমনওয়েলথ লেখক পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হয়েছিল।

বেম লে হান্টে
জন্ম১৯৬৪ (বয়স ৫৯–৬০)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশালেখক
পরিচিতির কারণদ্য সিডাকশান অফ সাইলেন্স (২০০১)

জীবন এবং কর্মজীবন সম্পাদনা

১৯৮৯ এর আগে সম্পাদনা

বেম লে হান্টে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মা ছিলেন ভারতীয় এবং বাবা ইংরেজ।[১] তিনি হলেন পরিবারে চতুর্থ সন্তান। তিনি ভারত ও ইংল্যাণ্ডে বড় হয়েছেন। পশ্চিম লণ্ডনের হ্যামারস্মিথের গডলফিন এবং লেটিমার স্কুলে তাঁর বিদ্যালয় শিক্ষা সমাপ্ত হয়েছে। এরপর তিনি সাংবাদিকতা নিয়ে এক বছর অধ্যয়ন করেছেন। তারপর কেমব্রিজের ফিটজউইলিয়াম কলেজে থেকে তিনি সামাজিক নৃবিজ্ঞানে বিএ এবং ইংরেজি সাহিত্যে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি পরবর্তীকালে বিশ্ব ভ্রমণ করেন, জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে বসবাস করেন। এরপর তিনি ভারতে ফিরে আসেন। তিনি দিল্লির হয়ে আন্তর্জাতিক নারী উন্নয়ন দশকে জাতিসংঘের জন্য স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ করেন।

১৯৮৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান এবং লেখালেখির জীবন শুরু করেন সম্পাদনা

২৫ বছর বয়সে, বেম লে হান্টে অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগে পূর্ণ-সময়ের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। ২০০১ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস, দ্য সিডাকশন অফ সাইলেন্স প্রকাশিত হয়।[২] এটি একটি ভারতীয় পরিবারের গল্প। একশো বছরের মধ্যে প্রেম এবং ক্ষতির মধ্য দিয়ে এই পরিবারে যে বিরাট পরিবর্তনগুলি ঘটে এখানে তার বর্ণনা রয়েছে। বইটির গদ্যকে জেরাল্ডাইন ব্রুকস "প্রাণবন্ত ও চমকপ্রদ" এবং থমাস কেনেলি "প্রচুর ও আকর্ষণীয়" হিসাবে বর্ণনা করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ায় হার্পারকলিন্স এবং ভারতে পেঙ্গুইন গ্রুপ দ্বারা প্রকাশিত বইটি ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে এবং ২০০১ সালের কমনওয়েলথ লেখক পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হয়। এটি পোলিশ ভাষায় Kuszące Wołanie Ciszy শিরোনামে (নীরবতার লোভনীয় আহ্বান) অনুবাদ করা হয়েছিল এবং কামেলিয়ন দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল।[৩] ২০০৬ সালে, তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস, দেয়ার, হোয়্যার পেপার গ্রোজ, একটি পোলিশ- ইহুদি পরিবারের গল্প, যে পরিবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্যালেস্টাইনে যাওয়ার পথে কলকাতায় অবতরণ করে। এই বইটি হার্পারকলিন্স কর্তৃক আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশ করেছিল।[৪] তাঁর তৃতীয় উপন্যাস, এলিফ্যান্টস উইথ হেডলাইটস, প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালের মার্চ মাসে।[৫]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

বেম লে হান্টে বর্তমানে তাঁর স্বামী জান এবং পুত্র তালিসিন, ঋষি ও কাশীর সাথে সিডনিতে থাকেন।[৬] তিনি নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও মিডিয়া কেন্দ্রে কাজ করেন।

তিনি বর্তমানে ইউটিএস (ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি সিডনি) -তে ক্রিয়েটিভ ইন্টেলিজেন্স অ্যাণ্ড ইনোভেশনের নতুন ব্যাচেলর কোর্সের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Bem Le Hunte"The Global Indian। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ 
  2. Le Hunte, Bem, 1964- (২০০৪)। The seduction of silence (1st HarperCollins pbk. সংস্করণ)। HarperSanFrancisco। আইএসবিএন 0-06-057368-6ওসিএলসি 57534752 
  3. Kuszące Wołanie Ciszy, Polish edition of The Seduction of Silence[অকার্যকর সংযোগ]
  4. Le Hunte, Bem, 1964- (২০০৬)। There, where the pepper grows। Harper Perennial। আইএসবিএন 978-0-7322-7992-9ওসিএলসি 225333295 
  5. Le Hunte, Bem, 1964- (মার্চ ২০২০)। Elephants with headlightsআইএসবিএন 978-1-925760-48-4ওসিএলসি 1131764308 
  6. "Jan Golembiewski"Transit Lounge। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা