বেগম পারা

ভারতীয় অভিনেত্রী

বেগম পারা (বা পারা হক; ২৫শে ডিসেম্বর ১৯২৬ – ৯ই ডিসেম্বর ২০০৮) একজন ভারতীয় হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ছিলেন, যিনি ১৯৪০-এর দশক এবং ১৯৫০-এর দশকের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন।[১][২] চলচ্চিত্র জগত থেকে বিরতি নেওয়ার ৫০ বছর পর সোনম কাপুরের দাদীর চরিত্রে তিনি সঞ্জয় লীলা বনশালি সাওয়ারিয়া (২০০৭)-ছবিতে সর্বশেষ অভিনয় করেছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে, তাঁকে বলিউডের "গ্ল্যামার গার্ল" হিসাবে বিবেচনা করা হতো, তিনি এতটাই জনপ্রিয় ছিলেন যে 'লাইফ' পত্রিকা তাঁর সূক্ষ্ম সংবেদনশীল ছবিগুলোর প্রতি নিবেদিত একটি বিশেষ সংস্করণ প্রকাশ করেছিল।[৩][৪]

বেগম পারা
জন্ম
পারা হক

(১৯২৬-১২-২৫)২৫ ডিসেম্বর ১৯২৬
মৃত্যু৯ ডিসেম্বর ২০০৮(2008-12-09) (বয়স ৮১)
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৪৪–৫৬, ২০০৭
দাম্পত্য সঙ্গীনাসির খান
সন্তান
আত্মীয়দিলীপ কুমার (ভগিনীপতি)
রুকসানা সুলতানা (ভাতিজি)

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

বেগম পারা ১৯২৬ সালের ২৫শে ডিসেম্বর তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের ঝিলামে পারা হক নামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পরিবার আলিগড়ের বাসিন্দা ছিল। তাঁর বাবা মিয়া এহসানুল হক একজন বিচারক ছিলেন, যিনি তাঁর জীবনের এক পর্যায়ে উত্তর রাজস্থানের বিকানেরের রাজ পরিবারের বিচার বিভাগের চাকরিতে যোগদান করেছিলেন, সেখানে তিনি সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন, তিনি তাঁর সময়ের একজন দুর্দান্ত ক্রিকেটার ছিলেন।[৪] বেগম পারা খুব সুশৃঙ্খল হলেও একজন উদার ব্যক্তিত্ব হিসেবে বড় হয়েছিলেন। তিনি বিকানেরে তাঁর শৈশব অতিবাহিত করেছেন। তিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। তাঁর বড় ভাই মাসরুরুল হক, অভিনেতা হওয়ার জন্য ১৯৩০-এর দশকের শেষের দিকে বোম্বে চলে গিয়েছিলেন; সেখানে তিনি বাঙালি অভিনেত্রী প্রতিমা দাসগুপ্তের প্রেমে পড়েছিলেন এবং তাঁর সাথেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।[৫]

বেগম পারা যখনই বোম্বেতে তাঁদের দেখতে যেতেন, তখনই তিনি তাঁর বৌদির (ভাইয়ের স্ত্রী) চটকদার জগতের সাথে বেশ মানিয়ে নিতেন। তিনি তাঁর সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন। লোকেরা তাঁর চেহারা দেখে বেশ মুগ্ধ হতো এবং তাকে অভিনয় জগতে অভিনয় করার প্রস্তাব প্রদান করতো। অতঃপর তিনি শশধর মুখোপাধ্যায় এবং দেবিকা রাণীর কাছ থেকে এমনই একটি প্রস্তাব পেয়েছিলেন। তাঁর বাবা অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাঁর ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়ে অনুমতি দিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর বাবা তাকে লাহোরে কখনও কাজ না করার অনুরোধ করেছিলেন।[৫]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

তিনি বলিউড অভিনেতা দিলীপ কুমারের ছোট ভাই অভিনেতা নাসির খানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।[৬] অভিনেতা আইয়ুব খান সহ তাঁদের তিনটি সন্তান ছিল। তাঁর স্বামী ১৯৭৪ সালে মারা যান।[৭] স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি ১৯৭৫ সালে কিছু দিনের জন্য পাকিস্তানে চলে আসেন। দুই বছর পরে, তিনি পুনরায় ভারতে ফিরে আসেন।[৪][৮]

মৃত্যু সম্পাদনা

তিনি ২০০৮ সালের ৯ই ডিসেম্বর তারিখে ৮১ বছর বয়সে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যান।[৯]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "5 noted personalities who left Pakistan for India" 
  2. "Ms Oomph: V Gangadhar meets Begum Para, the original pin-up girl."Rediff.com। ২৯ নভেম্বর ১৯৯৭। 
  3. Photos, Old Indian। "Sensuous Photographs of Hindi Movie Star Begum Para by Life Magazine Photographer James Burke - 1951" 
  4. Hasan, Khalid (২ আগস্ট ২০১৫)। "Begum Para: the last glamour girl"The Friday Times 
  5. "Begum Para – Memories – Cineplot.com"। ২৮ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০২০ 
  6. Gangadhar, V. (১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬)। "The return of Begum Para"The Hindu। ১২ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০২০ 
  7. "Begum Para | Begum Para"। Outlookindia.com। ১৯৯৭-০৫-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০২-২২ 
  8. "5 noted personalities who left Pakistan for India"The Express Tribune। ২ জুন ২০১৫। 
  9. Courtesy: Bollywood Hungama (২০০৮-১২-১২)। "Begum Para passed away - Oneindia Entertainment"। Entertainment.oneindia.in। ২০১৪-০১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০২-২২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

  উইকিমিডিয়া কমন্সে বেগম পারা সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।