বৃন্দাবন সরকারি কলেজ
বৃন্দাবন সরকারি কলেজ হলো বাংলাদেশের হবিগঞ্জ শহরে অবস্থিত উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের একটি সরকারি কলেজ। ১৮ বিঘা জমির ওপর ১৯৩১ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি হবিগঞ্জের বৃহত্তম উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।[১]
ধরন | সরকারি কলেজ |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৩১ |
অধিভুক্তি | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
ইআইআইএন | ১২৯৪৪৭ |
অধ্যক্ষ | প্রফেসর সৈয়দ মোহাম্মদ ছগীর |
অবস্থান | , ২৪°২২′২৮″ উত্তর ৯১°২৪′৪৪″ পূর্ব / ২৪.৩৭৪৫° উত্তর ৯১.৪১২২° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে ৬.১০ একর |
ওয়েবসাইট | bc |
ইতিহাস
সম্পাদনাসিলেট বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং পুরোনো এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৩১ সালের মাঝামাঝি সময়ে হবিগঞ্জ কলেজ নাম নিয়ে। কলকাতার রিপন কলেজের দর্শনের অধ্যাপক মিঃ বিপিন বিহারী দে প্রথম অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন। তৎকালীন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজটি প্রতিষ্ঠার বছরখানেকের মধ্যেই আর্থিক সমস্যার কারণে শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে পার্শ্ববর্তী বানিয়াচং থানার বিথঙ্গল গ্রামের দানশীল ব্যবসায়ী বাবু বৃন্দাবন চন্দ্র দাস এককালীন দশ হাজার টাকা দান করেন। কলেজের পরিচালনা কমিটি তার নামানুসারে নাম রাখেন বৃন্দাবন কলেজ। ব্রিটিশ শাসনামলে শুরু হওয়া কলেজটি প্রথমে কেবলমাত্র উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে মানবিক বিভাগে পাঠদান করলেও ১৯৩৯-৪০ শিক্ষাবর্ষে বিএ(পাস) এবং ১৯৪০-৪১ শিক্ষাবর্ষে কয়েকটি বিষয়ে বিএ(অনার্স) কোর্স চালু করে। ১৯৭৯ সালের ৭ মে, তৎকালীন সরকার কলেজটি জাতীয়করণ করেন এবং নাম হয় বৃন্দাবন সরকারি কলেজ। ১৯৯৮ সালে কলেজটি অনার্স কোর্স পাঠদানের পুনঃঅনুমতি পায়। বর্তমানে বৃন্দাবন সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সকল বিভাগ, স্নাতক (পাস), বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণি বিদ্যা, গণিত, হিসাববিজ্ঞান এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে। ২০০৩ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, হিসাববিজ্ঞান, এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু হয়েছে। [২]
একাডেমিক
সম্পাদনা৪,০০০ অধিক শিক্ষার্থী হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (HSC), স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করছে। এইচএসসি শিক্ষাব্যবস্থা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট কর্তৃক পরিচালিত হয়। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিষয়সমূহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে পাঠদান করানো হয়। শিক্ষার্থীদের অবদানের উপর ভিত্তি করে, ২০০৭ থেকে ২০১৬ সালে চার বছরের মধ্যে কলেজটি সিলেট বিভাগের শীর্ষ দশটি কলেজের মধ্যে স্থান করে নেয়।[৩][৪][৫][৬]
ক্যাম্পাস
সম্পাদনা৬.১০ একর জায়গার মধ্যে কলেজ ক্যাম্পাসটিতে রয়েছে একাডেমীক ভবন, বিভিন্ন ধরনের গাছপালা, পুকুর এবং অন্যান্য অবকাঠামো। এখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভবন রয়েছে। কলেজের মতোই এই ভবনগুলোও অনেক পুরনো। তাছাড়া ক্যাম্পাসে একটি গ্রন্থাগার, ১৯৫২ সালের ভাষা শহীদদের স্মরণে একটি শহীদ মিনার, একটি মসজিদ, এবং একটি জিমনেসিয়ামও আছে।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী
সম্পাদনা- এনামুল হক মোস্তফা শহীদ বাংলাদেশের ছয়বারের একজন জাতীয় সংসদ সদস্য এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রী।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "History"। বৃন্দাবন সরকারি কলেজ। ৩ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "বৃন্দাবন সরকারি কলেজ"। www.habiganj.gov.bd। www.habiganj.gov.bd। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Notre Dame, Viqarunnisa, City College on top again"। The Daily Star। ২৭ আগস্ট ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "Rajuk Uttara Model tops list"। Dhaka Mirror। ৪ আগস্ট ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "Jalalabad Cantonment Public School secures top position in Sylhet board"। Bangladesh Sangbad Sangstha। ১৩ আগস্ট ২০১৪। ২০১৭-০১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "Rajshahi College achieves first, Eden College 2nd, Dhaka College 3rd"। The New Nation। ১৫ মে ২০১৬। ১৫ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "Former social welfare minister Enamul Hoque Mostofa Shaheed dies aged 78"। bdnews24.com। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৭।