বিশ্ব খাদ্য দিবস
বিশ্ব খাদ্য দিবস প্রতি বছর ১৬ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা প্রতিষ্ঠার স্মরণে এই দিনটি পালিত হয়। খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থা, যেমন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল, এই দিনটি ব্যাপকভাবে উদযাপন করে। ২০২০ সালে খাদ্য সংকট মোকাবেলা, সংঘাতপূর্ণ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা এবং যুদ্ধ ও সংঘাতের অস্ত্র হিসাবে খাদ্যের ব্যবহার বন্ধ করতে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করার জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
বিশ্ব খাদ্য দিবস | |
---|---|
পালনকারী | সকল জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ |
তারিখ | ১৬ অক্টোবর |
পরবর্তী আয়োজন | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ |
বিশ্ব খাদ্য দিবসের ২০১৪ সালের প্রতিপাদ্য ছিল পারিবারিক কৃষিঃ "বিশ্বকে খাওয়ানো, পৃথিবীর যত্ন নেওয়া"; ২০১৫ সালে ছিল "সামাজিক সুরক্ষা ও কৃষিঃ গ্রামীণ দারিদ্র্যের চক্র ভাঙা"; ২০১৬ সালে ছিল জলবায়ু পরিবর্তনঃ "জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। খাদ্য ও কৃষিরও পরিবর্তন হতে [১] যা ২০০৮ সালের প্রতিপাদ্য, এবং তার আগে ২০০২ ও ১৯৮৯ সালের প্রতিপাদ্যর প্রতিধ্বনি বহন করে। ২০২০ সালের প্রতিপাদ্য ছিল "সমৃদ্ধ হও, পুষ্টি দাও, টেকসই করো। একসাথে। আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ।"[২]
উৎপত্তি
সম্পাদনাবিশ্ব খাদ্য দিবস (ডব্লিউ. এফ. ডি) ১৯৭৯ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ২০তম সাধারণ সম্মেলনে সংস্থার সদস্য দেশগুলির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। হাঙ্গেরির প্রতিনিধিদল, যার নেতৃত্বে ছিলেন হাঙ্গেরির সাবেক কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী ডাঃ পাল রোমানি, এফএও সম্মেলনের ২০তম অধিবেশনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং বিশ্বব্যাপী বিশ্ব খাদ্য দিবস উদযাপনের ধারণা প্রস্তাব করেন। এরপর থেকে ১৫০টিরও বেশি দেশে প্রতিবছর দারিদ্র্য ও ক্ষুধার পেছনের সমস্যাগুলির প্রতি সচেতনতা বাড়াতে এই দিবসটি পালিত হয়।[৩]
প্রতিপাদ্য
সম্পাদনা১৯৮১ সাল থেকে, বিশ্ব খাদ্য দিবস প্রতি বছর একটি আলাদা প্রতিপাদ্য গ্রহণ করে যাতে কর্মের জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলিকে তুলে ধরা এবং একটি সাধারণ ফোকাস প্রদান করা যায়। এফএও প্রতি বছর বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে পদক প্রদান করে এই দিনটির স্মরণ করে এবং প্রচারণা চালায়।
বেশিরভাগ থিমই কৃষির চারপাশে ঘোরে কারণ কেবল কৃষিতে বিনিয়োগ - শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য সমর্থনের সঙ্গে -ই এই পরিস্থিতি পাল্টে দিতে পারে। সেই বিনিয়োগের বেশিরভাগই আসতে হবে বেসরকারি খাত থেকে, সরকারি বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, বিশেষ করে বেসরকারি বিনিয়োগে সহায়ক ও উদ্দীপক প্রভাবের কথা বিবেচনা করে।
উন্নয়নশীল দেশগুলির অর্থনীতিতে চালিকাশক্তি হিসাবে কৃষির গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও, এই গুরুত্বপূর্ণ খাতটি প্রায়শই বিনিয়োগের অভাবে ভুগতে থাকে। বিশেষ করে, গত ২০ বছরে কৃষিতে বৈদেশিক সাহায্যে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।
- ১৯৮১: খাদ্যই প্রথম
- ১৯৮২: খাদ্যই প্রথম
- ১৯৮৩: খাদ্য সুরক্ষা
- ১৯৮৪: কৃষিতে নারী
- ১৯৮৫: গ্রামীণ দারিদ্র্য
- ১৯৮৬: মৎস্যজীবী ও মৎস্য সম্প্রদায়
- ১৯৮৭: ছোট চাষি
- ১৯৮৮: গ্রামীণ যুবক
- ১৯৮৯: খাদ্য ও পরিবেশ
- ১৯৯০: ভবিষ্যতের জন্য খাদ্য
- ১৯৯১: জীবনের জন্য গাছ
- ১৯৯২: খাদ্য ও পুষ্টি
- ১৯৯৩: প্রকৃতির বৈচিত্র্য সংগ্রহ
- ১৯৯৪: জীবনের জন্য পানি
- ১৯৯৫: সবার জন্য খাদ্য
- ১৯৯৬: ক্ষুধা ও অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াই
- ১৯৯৭: খাদ্য সুরক্ষায় বিনিয়োগ
- ১৯৯৮: মহিলারা বিশ্বকে খাওয়ান
- 1999: ক্ষুধার বিরুদ্ধে যুবক
- ২০০০: ক্ষুধামুক্ত একটি সহস্রাব্দ
- ২০০১: ক্ষুধা মোকাবেলা করা দারিদ্র্য হ্রাস করতে
- ২০০২: পানি: খাদ্য সুরক্ষার উৎস
- ২০০৩: খাদ্য নিরাপত্তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জোটের জন্য একসাথে কাজ করা
- ২০০৪: জীববৈচিত্র্য খাদ্য সুরক্ষার জন্য
- ২০০৫: কৃষি ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপ
- ২০০৬: খাদ্য সুরক্ষার জন্য কৃষিতে বিনিয়োগ
- ২০০৭: খাদ্যের অধিকার
- ২০০৮: বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা: জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববিন্দুু শক্তির চ্যালেঞ্জ
- ২০০৯: খাদ্য সংকট এর সময়ে খাদ্য সুরক্ষা অর্জন
- ২০১০: ক্ষুধার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ
- ২০১১: খাদ্যের দাম - সঙ্কট থেকে স্থিতিশীলতার দিকে
- ২০১২: কৃষি সমবায় – বিশ্বকে খাওয়ানোর চাবিকাঠি
- ২০১৩: খাদ্য সুরক্ষা ও পুষ্টির জন্য টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা
- ২০১৪: পারিবারিক কৃষি: "বিশ্বকে খাওয়ানো, পৃথিবীর যত্ন নেওয়া"
- ২০১৫: "সামাজিক সুরক্ষা ও কৃষি: গ্রামীণ দারিদ্র্যের চক্র ভাঙা"
- ২০১৬: জলবায়ু পরিবর্তন: "জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। খাদ্য ও কৃষিকেও পরিবর্তন করতে হবে"
- ২০১৭: অভিবাসনের ভবিষ্যৎ পরিবর্তন করুন। খাদ্য সুরক্ষা ও গ্রামীণ উন্নয়নে বিনিয়োগ করুন।
- ২০১৮: "আমাদের কর্ম আমাদের ভবিষ্যত, 2030 সালের মধ্যে বিশ্ব ক্ষুধা শেষ করা সম্ভব"
- ২০১৯: "আমাদের কর্ম হল আমাদের ভবিষ্যত, একটি # জিরোহাঙ্গার বিশ্বের জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য"
- ২০২০: "বাড়ুন, পুষ্টি দিন, টিকিয়ে রাখুন। একসাথে"
- ২০২১: "সুস্থ আগামীকালের জন্য এখন নিরাপদ খাদ্য"।
- ২০২২: "কাউকেই পিছিয়ে রাখবেন না"।
- ২০২৩: "পানিই জীবন, পানিই খাদ্য। কাউকে পিছিয়ে রাখবেন না"
অনুষ্ঠান
সম্পাদনা১৫০টিরও বেশি দেশে, বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্বজুড়ে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের উদাহরণগুলি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ
সম্পাদনাভারত
সম্পাদনাযুক্তরাজ্য
সম্পাদনাইউরোপ
সম্পাদনাআফ্রিকা
সম্পাদনাএশিয়া
সম্পাদনালাতিন আমেরিকা
সম্পাদনাআরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "UN's World Food Day website, accessed 15 September 2016"। ১৯ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০২৩।
- ↑ "World Food Day: Grow, nourish, sustain. Together. Our actions are our future. | The Forest and Landscape Restoration Mechanism"। Food and Agriculture Organization of the United Nations। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২২।
- ↑ NEWS, SA (২০২২-১০-১৩)। "World Food Day 2022: Know How The World is Being Nurtured"। SA News Channel (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৩।