জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

পাকিস্তানের করাচী শহরের বিমান বন্দর

জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বা করাচি বিমানবন্দর (উর্দু: جناح بین الاقوامی ہوائی اڈا‎‎, সিন্ধি: جناح بين الاقوامي هوائي اڏي) (আইএটিএ: KHI, আইসিএও: OPKC) হল করাচি শহরের প্রধান বিমান বন্দর। এটি পাকিস্তানের সিন্ধি প্রদেশের অন্তর্গত। বিমান বন্দরটি শহরের কেন্দ্র থেকে কিছু দূরে অবস্থিত। এই বিমান বন্দরটি দেশের প্রধান বিমান বন্দর। এটি করাচি শহরের বিমান পরিসেবা দেয়।

জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

جناح بین الاقوامی ہوائی اڈا
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বিমানবন্দরের ধরনপাবলিক
অবস্থানকরাচী, সিন্ধ, পাকিস্তান
যে হাবের জন্য
এএমএসএল উচ্চতা১০০ ফুট / ৩০ মিটার
স্থানাঙ্ক২৪°৫৪′২৪″ উত্তর ৬৭°০৯′৩৯″ পূর্ব / ২৪.৯০৬৬৭° উত্তর ৬৭.১৬০৮৩° পূর্ব / 24.90667; 67.16083
ওয়েবসাইটkarachiairport.com.pk
মানচিত্র
KHI পাকিস্তান-এ অবস্থিত
KHI
KHI
রানওয়ে
দিক দৈর্ঘ্য পৃষ্ঠতল
মি ফুট
07R/25L ৩,৪০০ ১১,১৫৫ কনক্রিট
07L/25R ৩,২০০ ১০,৫০০ কনক্রিট
পরিসংখ্যান (২০১৭-১৮[২])
পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ
ম্যানেজার:আফসার মালিক [১]
যাত্রী৬,৭০১,১১২
যাত্রী পরিবর্তনহ্রাস ২.৩৭%
এয়ারক্রাফট গতি৫৮,০০৪বৃদ্ধি ১৫.৫১%
কার্গো হ্যান্ডলেড১২৫,৭৩০ মেট্রিক টন

নামকরণ সম্পাদনা

বিমান বন্দরটির আগে করাচি বিমানবন্দর হিসাবে পরিচিত ছিল। কিন্তু পাকিস্তান স্বাধীন হবার পর বিমানবন্দরটির নাম পাকিস্তানের জাতীর পিতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ-এর নামে উৎসর্গ করা হয়। বর্তমানে বিমান বন্দরটির নাম হল- জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর'

অবস্থান সম্পাদনা

জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি করাচি শহর কেন্দ্র থেকে কিছুটা দূরে শহরের উপকন্ঠে অবস্থিত। বিমান বন্দরটি ২৪.৫৪ উত্তর ও ৬১.১৬ পূর্বে অবস্থিত। করাচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বা জিন্ননাহ আন্তর্জাতিক বিমমানবন্দরটি সমুদ্র সমতল থেকে ৩০ মিটার বা ১০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। বিমানবন্দরটি থেকে ইসলামাবাদ বিমানবন্দরটি প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে ও লাহোর বিমাননবন্দরটি ৪০০ কিলোমিটার দূরে ও নতুন বন্দর নগরী গদর এর গদর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

ইতিহাস সম্পাদনা

স্বাধিনতার আগে করাচি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে প্রধানত বিমান পরিচালনায় যুক্ত ছিল টাটা এয়ার লাইন্স। এই সময় মুম্বাই (বোম্বে) থেকে বিমান চলাচল করত করাচি বিমানবন্দরে। এই বিমান চলাচল করত আহমেদাবাদ বিমানবন্দর হয়ে। এছাড়া বিমান বন্দরটি যুদ্ধের জন্য বায়ু সেনার ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহৃত হত। ১৯৪০ সালে করাচি বিমানবন্দরে ব্রিটিশ সরকার হ্যাঙ্গার নির্মাণ করে। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় এই বিমান বন্দরটি আমেরিমার বায়ু সেনার বিমান ঘাঁটি হিসাবে যুক্ত ছিল। এই বিমান বন্দর থেকে যুদ্ধ বিমানে করে সেনা ও মালপত্র নিয়ে যাওয়া হত বার্মা, থাইল্যান্ড ও চীনের যুদ্ধক্ষেত্রে। এর পর ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীন হয় ব্রিটিশ শাসন থেকে। এর পর করাচি হয় প্রধান শহর, বাণিজ্য কেন্দ্র ও প্রধান বিমান বন্দর। এই জন্য পাকিস্তান সরকার করাচি বিমান বন্দরটির উন্নয়নের প্রস্তাব দেন। এর পর বিমানবন্দরটি আধুনিক করা হয়। বর্তমানে এই বিমান বন্দরে তিনটি প্রান্তিক বা টর্মিনাস রয়েছে। এর মধ্যে একটি টর্মিনাস মালপত্র উঠা নামানো বা পরিবহনের জন্য ব্যহৃত হয়।বাকি দুটির একটি আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল করে অন্যটিতে অভ্যান্তরিন রুটে বিমান চলাচল করে।

পরিকাঠামো সম্পাদনা

বর্তমানে বিমান বন্দরটিতে যে পরিকাঠামো রয়েছে তাতে করে বিমান বন্দরটি ১২ মিলিয়ন বা ১ কোটি ২০ লক্ষ যাত্রী পরিবহন করে সক্ষম প্রতি বছর। বিমানবন্দরটির ওয়েটি ব্যবস্থা, টিকিট ব্যবস্থা, পানিও জল, ও লাগেজ সিস্টেম খুবই উন্নত। এই বিমানবন্দরে ৩ টি টার্মিনাল রয়েছে।

যাত্রী পরিবহন সম্পাদনা

২০১৫ থেকে ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী বিমান বন্দরটি ওই সময়ে মোট ৫৭,২৫,০৫২ জন যাত্রী পরিববহন করেছে। এই সময়ে বিমানবন্দরটি থেকে প্রায় ৫০,০৯৫ টি বিমান চলাচল করেছে।

গন্তব্য ও বিমান পরিবহন সংস্থা সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Key transfers in CAA; Afsar Malik appointed Karachi airport manager"। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৫ 
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১৮