আসামের রেশম শিল্প

প্ৰধানত পাট, মুগা এবং এরীসূতায় বোনা বিভিন্ন পোশাককে বুঝায়৷ আসামের রেশম উদ্যোগ একটি হস্ত শিল্প

আসামের রেশম শিল্প বলতে প্ৰধানত পাট, মুগা এবং এরীসূতায় বোনা বিভিন্ন পোশাককে বুঝায়৷ আসামের রেশম উদ্যোগ একটি হস্ত শিল্প৷ অসমের অৰ্থনৈতিক দিক ছাড়াও সাংস্কৄতিক দিকে ও এর গুরুত্ব অশেষ[১]৷ আগে অসমের শুয়ালকুছিতে পাট-মুগার শিল্প কেন্দ্ৰীভূত হয়ে আসছিল যদিও বৰ্তমানে অন্যান্য জায়গায় এই শিল্প বিস্তার লাভ করেছে৷

এরা গাছের পাতা খেয়ে থাকা অবস্থায় এরীপলু

ইতিহাস সম্পাদনা

১১ শতকের পাল রাজবংশ এর রাজা ধৰ্মপালে ২৬টা বোয়নী পরিয়ালক তাঁতিকুছি থেকে শুয়ালকুছিতে নিয়ে এসেছিলেন। ১৭ শতকে মোগলকে পরাস্ত করে শান রাজারা শুয়ালকুছি দখল করার পর এখানে বয়নশিল্প গড়ে উঠে বলে ধারণা করা হয়। প্ৰায় ১৯৩০ সাল পর্যন্ত কেবল তাঁতি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ এই শিল্প ধীরে ধীরে অন্যান্য জনগোষ্ঠীর লোকেরা ও গ্ৰহণ করে।[২] কৌটিল্যের অৰ্থশাস্ত্ৰতে কামরূুপ এর পাট-মুগা শিল্পের কথা উল্লেখ আছে[৩]

মুগার প্ৰস্তুত প্ৰণালী সম্পাদনা

 
সোমগাছে থাকা মুগা পলু

এন্থেহেরিয়া আসামিনিছিছ ইংরেজি:Antheraea assamensis নামের একধরনের পলু থেকে মুগা উৎপাদন করা হয়৷ এই পলুবিধে চোম গাছএর পাতা খেয়ে জীবন ধারণ করে৷

নিৰ্মিত পোশাক সম্পাদনা

অসমের রেশম শিল্পের সাথে জড়িত অঞ্চলসমূহ সম্পাদনা

 
মুগারে নিৰ্মিত অসমের মেখেলা চাদরের সাথে একটা জাপি

কামরূপ জেলার অন্তৰ্গত শুয়ালকুছি অসমের প্ৰধান রেশম কেন্দ্ৰ। এখানে তৈরি হওয়া মুগা, এরী এবং পাট এর কাপড় বিখ্যাত। এখানে তৈরি মেখেলা চাদর এবং গামচা আসাম ছাড়াও ভারত এর অন্যান্য জায়গায় চাহিদা আছে। শুয়ালকুচিতে অসংখ্য হাতেবোনা কাপড়ের প্রতিষ্ঠান থাকার জন্যে একে "আসামের মানচেষ্টার" (Manchester of Assam) বলা হয়।[২][৪] শুৱালকুছিৰ ৯৯ শতাংশ বাসিন্দাই প্ৰত্যক্ষ বা পৰোক্ষভাৱে পাট-মুগাৰ সৈতে জড়িত হৈ আছে[৩]৷ ২০১০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আসামে উৎপাদন হওয়া ৮৮ শতাংশ পাট-মুগা বস্ত্ৰ কেবল শুয়ালকুচিতেই উৎপাদন হয়েছিল[৩]৷ ১৯৩৯ সালে শুয়ালকুচিতে তিনশ টি তাঁতশাল ছিল যদিও এখন সেই সংখ্যা বেড়ে ২৫,৫৩৮ টি হয়েছে[৩]

প্রথমে অসমের শুয়ালকুচিতে পাট-মুগার শিল্প কেন্দ্ৰীভূত হয়েছিল যদিও বৰ্তমান অন্যান্য জায়গায় এই শিল্প বিস্তার লাভ করেছে৷

তথ্য সূত্র সম্পাদনা

  1. "Muga Silk"। ১৫ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২৮, ২০১২ 
  2. "Sualkuchi"। Assaminfo.com। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবৰ ১৭, ২০১২  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  3. "ছাঁতে শুকুৱা মুঠিতে লুকুৱা..." (অসমীয়া ভাষায়)। দ্য সানডে ইন্ডিয়ান। মাৰ্চ ৪, ২০১২। ২১ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২৮, ২০১২  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  4. "Sualkuchi - the silk village of Assam"। Assam Government। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২৯, ২০১২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা