আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Hasan Nahiyan Nobel (আলোচনা | অবদান)
→‎ফলাফল: সংশোধন
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২ নং লাইন:
 
== প্রেক্ষাপট ==
৬ জানুয়ারি, ১৯৬৮ সালে ২ জন সি. এস. পি অফিসারসহ ২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদেরতাদের গ্রেফতার সম্পর্কে সরকারী প্রেসনোটে উল্লেখ করা হয় যে,
{{cquote|গত মাসে (অর্থাৎ ডিসেম্বর, ১৯৬৭) পূর্ব-পাকিস্তানে উদ্‌ঘাঁটিত জাতীয় স্বার্থবিরোধী এক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে এঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।|}}
তৎকালীন পাকিস্তান সরকার এই ষড়যন্ত্রকে "আগরতলা ষড়যন্ত্র" নামে অভিহিত করে। এই একই অভিযোগে ১৭ জানুয়ারি, ১৯৬৮ সালে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানকেও গ্রেফতার করা হয়।<ref>[https://www.channelionline.com/%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%B7%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%AF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0/ চ্যানেল আই অনলাইন ডট কম]</ref> ৩৫ জনকে আসামী করে সরকার পক্ষ মামলা দায়ের করে।<ref name="bac" />
৯ নং লাইন:
তৎকালীন পাকিস্তান সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাটিকে সরকারিভাবে নামকরণ করেছিল রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্যদের বিচার। এই মামলায় ৩৫জনকে আসামী করা হয়।<ref name="bac" />
 
আসামীরা সকলেই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁরাতারা হলেন -[[শেখ মুজিবুর রহমান]]; আহমেদ ফজলুর রহমান, সিএসপি; [[মোয়াজ্জেম হোসেন|কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন]]; [[স্টুয়ার্ড মুজিবুর রহমান]]; সাবেক এলএস সুলতানউদ্দীন আহমদ; এলএসসিডিআই নূর মোহাম্মদ; ফ্লাইট সার্জেন্ট মফিজ উল্লাহ; কর্পোরাল আবদুস সামাদ; সাবেক হাবিল দলিল উদ্দিন; রুহুল কুদ্দুস, সিএসপি; ফ্লাইট সার্জেন্ট মোঃ ফজলুল হক; [[ভূপতি ভূষণ চৌধুরী|বিভূতি ভূষণ চৌধুরী (ওরফে মানিক চৌধুরী)]]; বিধান কৃষ্ণ সেন; সুবেদার আবদুর রাজ্জাক; সাবেক কেরানি মুজিবুর রহমান; সাবেক ফ্লাইট সার্জেন্ট মোঃ আব্দুর রাজ্জাক; [[জহুরুল হক|সার্জেন্ট জহুরুল হক]]; এ. বি. খুরশীদ; খান মোহাম্মদ শামসুর রহমান, সিএসপি; একেএম শামসুল হক; হাবিলদার আজিজুল হক; মাহফুজুল বারী; সার্জেন্ট শামসুল হক; শামসুল আলম; ক্যাপ্টেন মোঃ আব্দুল মোতালেব; [[শওকত আলী (ডেপুটি স্পিকার)|ক্যাপ্টেন এ. শওকত আলী]]; [[খন্দকার নাজমুল হুদা|ক্যাপ্টেন খোন্দকার নাজমুল হুদা]]; [[এ. এন. এম. নূরুজ্জামান|ক্যাপ্টেন এ. এন. এম নূরুজ্জামান]]; [[আবদুল জলিল (সার্জেন্ট)|সার্জেন্ট আবদুল জলিল]]; [[মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী|মাহবুব উদ্দীন চৌধুরী]]; লেঃ এম রহমান; সাবেক সুবেদার তাজুল ইসলাম; আলী রেজা; ক্যাপ্টেন খুরশীদ উদ্দীন এবং ল্যাঃ আবদুর রউফ।<ref>[http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%B2%E0%A6%BE_%E0%A6%B7%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%AF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0_%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE বাংলাপিডিয়া]</ref>
 
== বিচার প্রক্রিয়া ==
২৪ নং লাইন:
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠে সাধারণ জনতা। প্রবল গণ-আন্দোলন তথা উত্তাল [[ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান|ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের]] মুখে আইয়ুব খানের সরকার পিছু হটতে শুরু করে এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে একান্ত বাধ্য হয়। ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার ও শেখ মুজিবুর রহমান-সহ অন্যান্যদের মুক্তির দাবি করেছিল। ফলশ্রুতিতে, সরকার প্রধান হিসেবে [[আইয়ুব খান]] সমগ্র পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করতে বাধ্য হয়েছিলেন।<ref name="bac" /> ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করা হয়। সাথে সাথে শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল কারাবন্দিকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়া হয়। পরেরদিন, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ তারিখে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে এক বিশাল জনসভায় শেখ মুজিবর রহমানসহ মামলায় অভিযুক্তদের এক গণসম্বর্ধনা দেয়া হয়। একই দিনে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। এ উপাধিতে ভূষিত করেন তৎকালীন ডাকসু ভিপি এবং সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক [[তোফায়েল আহমেদ]]।
 
'ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান' নামক এই গণ-আন্দোলনের মুখে ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দেরখ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের শাসক জেনারেল আইয়ুব খানের পতন ঘটে। ঐতিহাসিকগণ এই মামলা এবং মামলা থেকে সৃষ্ট গণ-আন্দোলনকে [[বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ|বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের]] পেছনে প্রেরণাদানকারী অন্যতম প্রধান ঘটনা বলে গণ্য করে থাকেন।
 
== তথ্যসূত্র ==