ঈদুল ফিতর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
২ নং লাইন:
{{Infobox holiday
|holiday_name = ঈদুল ফিতর<br/>{{lang|ar|عيد الفطر}}
|image = [[File:With_his_family_the_beared_Nabab_on_Eid_day.Eid Prayers at Barashalghar, Debidwar, Comilla.jpg|220x124px|thumb|right|]]
|image_size = 200px
|caption = [[ঢাকার নবাব]] পরিবার ঈদুল ফিতরের দিননামাজ
|nickname = রোজা ভাঙার দিবস, রোজার ঈদ
|observedby = [[মুসলিম বিশ্ব]]
২২ নং লাইন:
}}
 
'''ঈদুল ফিতর''' ([[আরবি ভাষা|আরবি]]: عيد الفطر, অর্থ: “[[রোজা]]/[[উপবাস]] ভাঙার আনন্দ”) [[ইসলাম]] ধর্মাবলম্বীদের দুটো সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের একটি৷একটি।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Islam|ইউআরএল=https://archive.org/details/islamreligionswo00elia|প্রথমাংশ=Jamal J. |শেষাংশ=Elias |প্রকাশক=Routledge |বছর=1999 |আইএসবিএন=0415211654 |পাতা=[https://archive.org/details/islamreligionswo00elia/page/n75 75] |সংগ্রহের-তারিখ=26 October 2012}}</ref> দ্বিতীয়টি হলো [[ঈদুল আযহা]]<nowiki/>৷ ধর্মীয় পরিভাষায় একে ‍''ইয়াওমুল জায়েজ‍'' (অর্থ: পুরস্কারের দিবস) হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে৷ দীর্ঘ [[রমজানে রোজা|এক মাস রোজা]] রাখা বা সিয়াম সাধনার পর মুসলমানেরা এই দিনটি ধর্মীয় কর্তব্যপালনসহ খুব আনন্দের সাথে পালন করে থাকে৷<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/print-edition/islamic-life/2019/06/04/776697|শিরোনাম=মহানবী (সা.)-এর যুগে ঈদের উৎসব {{!}} কালের কণ্ঠ|ওয়েবসাইট=Kalerkantho|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2020-05-11}}</ref> এই দিনে সবাই সবাইকে “[[ঈদ মোবারক]]” বলে শুভেচ্ছা জানায়৷ ঈদুল ফিতরের মূল তিন দিনের উৎসব হলেও বাংলাদেশের রোজার ঈদের জন্য ৭ দিনের ছুটি থাকে৷ পুরান ঢাকার ঈদে বিশেষ আয়োজন হয়, দেশজুড়ে বিখ্যাত৷জানায়।
 
 
 
ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে আত্মীয়-সমাগম হয়ে থাকে৷ অন্যদিকে আঞ্চলিক স্তরে এক একটি অঞ্চলের বাসিন্দারা যেই মিলন মেলা করে থাকে তাতে বাংলার সংস্কৃতি ও ঈদের সংমিশ্রণ অনেক সুন্দর ভাবে ফুটে ঊঠে৷ ব্রিটিশ আমল থেকে পূর্ব বাংলা তথা বাংলাদেশে ঈদ আনন্দ শোভাযাত্রা হয়ে আসছে৷ মূলতঃ স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের পর বাঙালি মুসলমানরা ঈদকে জাতীয় উৎসব হিসেবে পেয়েছে৷ ঈদ, রোজা, শাওয়াল মাসকে মাথায় রেখে বাংলায় অনেক গান, ছড়া ও কবিতার জনপ্রিয়তা দেখা যায়, এর মধ্যে “রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ” ও “চাঁদের পালকি চড়ে”র মতন গান বা কবিতা উল্লেখযোগ্য ৷ প্রতিবছর মুসলমানদের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসব হিসেবে দুটি পালন করা হলেও ১৯৭২ সালের রোজার ঈদটি ছিল বাংলাদেশের বাংলাদেশের মানুষের কাছে খুবই বিশেষ একটি ঈদ৷ টানা ২০০ বছর ব্রিটিশদের ও ২৫ বছর পাকিস্তানের শোষণ থেকে মুক্ত হয়ে এ ভূখন্ডের বাঙালিরা প্রথম বারের মত নিজ পরিচয়ে ঈদ পালন করে৷ সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে তখনও মুছে যায়নি রক্তের দাগ, বাতাসে মেলায়নি বুকফাটা কান্নার আওয়াজ৷ সন্তান হারা মায়ের হাহাকার৷ তবুও রোদ ঝলমলে আলোতে, মুক্তির আনন্দে অন্যরকম ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ঈদটি৷ এখন ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন “থিম” নিয়ে সাজানো হয় ঈদের নামাজের মাঠ, ঈদের নামাজের জন্য মসজিদ ও ঈদগাহ৷ বিশেষ প্রতিবছর করে বাংলাদেশে জাতীয় ঈদগাহকে দেখা একটি ভিন্ন রূপে৷ এছাড়াও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ, দিনাজপুর গোরে-এ-শহীদ বড় ময়দানসহ বিভিন্ন ঈদগাহে অনেক বড়ো করে ঈদের নামাজের আয়োজন করা হয়, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ভীর হয় অনেক৷
 
বাঙালি প্রবাসীরা সারা বিশ্বজুড়ে ঈদ পালন করে থাকে৷ ইস্ট লন্ডন মসজিদে বাংলাদেশ থেকে আসা ব্রিটিশ-বাঙালি মুসলমানরা ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় ঈদের নামাজের আয়োজন করেন৷ এই মসজিদটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ লন্ডনের কাছে অবস্থিত একটি বড় মসজিদ৷ ব্রিটিশ-বাঙালি মুসলমানরা ইস্ট লন্ডন মসজিদে সময় কাটান, নামাজ পড়া, সাথে কথা বলা এবং আলোচনা করা হয়৷ ইস্ট লন্ডনসহ সারা যুক্তরাজ্য জুরে বাংলাদেশি প্রবাসীরা করে ছোট বড় ঈদ মেলার আয়োজন৷ এছাড়াও বাঙালি প্রবাসীরা অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার প্রবাশিদের সহায়তায় ঈদের জন্য অন্যান্য অনেক সাংস্কৃতিক আয়োজনের ব্যবস্থা করে থাকেন৷ জেবিবিএ (জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন) ঈদ উপলক্ষে জ্যাকসন হাইটসে বিশেষ “Eid Mubarak, JBBA” আলোকসজ্জার আয়োজন করে থাকে৷ মার্কিন বাঙালিদের দ্বারা চালানো দেশীয় পন্যের দোকান-মার্কেটগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবাশিরা কেনা কাটা করতে যায়৷ চাঁদরাতে জ্যাকসন হাইটসের লিটল বাংলাদেশে অনেক ভীড় হয়৷ বাঙালিরা মেহেদী দেওয়ার আয়োজন করে ও বাজারে বাজারে লোকজনের সমাগম বাড়ে৷
 
বাংলাদেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মাঝে একতা নিয়ে একটি সুন্দর স্লোগান আছে, সেটি হলো— “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার”৷ এ স্লোগান দিয়ে বোঝা যায় যে বাঙালিরা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই সকলের উৎসব একসাথে পালন করে৷ বাঙালিরা উৎসব প্রিয়, ও এই ধর্মীয় সম্প্রীতির কারণে ঈদ শুধু বাংলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসবের সীমানা ভেঙে, সাংস্কৃতিক ও অন্যতম প্রধান সামাজিক মুসলিম উৎসবে পরিণত হয়েছে৷ সমগ্র বাঙালী জাতি যোগ দেয় এই উৎসব আনন্দে৷ নামাজের সময়টা পর্যন্তই ঈদ শুধু মুসলমানদের উৎসব থাকে, নামাজ শেষে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে পুরো উৎসবে পরিণত হয় রোজার ঈদ৷ আবহমানকাল থেকে বাঙালী সমাজে তাই চলে আসছে৷ পারিবারিক আয়োজনে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী বন্ধু-বান্ধবদের আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি সামাজিক আয়োজনে ধর্মীয় কোন পরিচয়ই বিবেচ্য থাকে না৷
 
==ইতিহাস==