বিশাখাপত্তনম রেলওয়ে স্টেশন

অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের রেলওয়ে স্টেশন

বিশাখাপত্তনম জংশন রেলওয়ে স্টেশন[১] ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের বিশাখাপত্তনম শহরের অবস্থিত একটি প্রধান রেলওয়ে স্টেশন। এটি হাওড়া-চেন্নাই প্রধান রেলপথে অবস্থিত এবং ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃক দক্ষিণ উপকূল রেলের অধীনে পরিচালিত হয়।[২]

বিশাখাপত্তনম জংশন
আঞ্চলিক রেল, হালকা রেল এবং পণ্যবাহী রেল স্টেশন
বিশাখাপত্তনম জংশনের প্রধান প্রবেশদ্বার
অবস্থানজ্ঞানপুরম, রেলওয়ে নিউ কলোনি, বিশাখাপত্তনম, অন্ধ্রপ্রদেশ,
ভারত
স্থানাঙ্ক১৭°৪৩′২০″ উত্তর ৮৩°১৭′২৩″ পূর্ব / ১৭.৭২২১° উত্তর ৮৩.২৮৯৭° পূর্ব / 17.7221; 83.2897
উচ্চতা৫.৯৭০ মিটার (১৯.৫৯ ফু)
মালিকানাধীনভারতীয় রেল
পরিচালিতদক্ষিণ উপকূল রেল
লাইনখুর্দা রোড–বিশাখাপত্তনম বিভাগ,
বিশাখাপত্তনম–বিজয়ওয়াড়া বিভাগ,
বিশাখাপত্তনম–কিরান্দুল রেলপথ
প্ল্যাটফর্ম
রেলপথ১০
নির্মাণ
গঠনের ধরনভূমিগত আদর্শ স্টেশন
পার্কিংহ্যাঁ
প্রতিবন্ধী প্রবেশাধিকারHandicapped/disabled access উপলব্ধ
অন্য তথ্য
স্টেশন কোডভিএসকেপি
অঞ্চল দক্ষিণ উপকূল রেল
বিভাগ বিজয়ওয়াড়া
বৈদ্যুতীকরণহ্যাঁ
অবস্থান
বিশাখাপত্তনম জংশন অন্ধ্রপ্রদেশ-এ অবস্থিত
বিশাখাপত্তনম জংশন
বিশাখাপত্তনম জংশন
অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থান

প্রথমে স্টেশনটির নামকরণ ওয়াল্টেয়ার রেলওয়ে স্টেশনের করা হয়েছিল, এটি ১৮৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটির নামকরণ ১৯৮৭ সালে বিশাখাপত্তনম করা হয়।

ইতিহাস সম্পাদনা

১৮৯৩-১৮৯৬ সাল পর্যন্ত, কটক থেকে বিজয়ওয়াড়া পর্যন্ত উপকূল জুড়ে ১,২৮৭ কিমি (৮০০ মাইল) রেল ট্র্যাক বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে (পরবর্তীতে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে) দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। স্টেশনটি ১৮৯৬ সালে ওয়াল্টেয়ার রেলওয়ে স্টেশন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল,[৩][৪] এবং বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ের কটক পর্যন্ত রেলপথ ১৮৯৯ সালের ১লা জানুয়ারি খোলা হয়েছিল।[৩] কোম্পানিটি ১৯০২ সালে পূর্ব উপকূল রেলপথের ৫১৪ কিমি (৩১৯ মাইল) দীর্ঘ উত্তর অংশ কটক পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল, যার মধ্যে পুরী পর্যন্ত শাখা রেলপথ রয়েছে।[৪][৫] দক্ষিণ অংশটি পরবর্তীকালে মাদ্রাজ ও দক্ষিণ মারাঠা রেলওয়ে সঙ্গে একীভূত হয়।

পথ সম্পাদনা

স্টেশনটি একটি টার্মিনাস; ফলে ট্রেনগুলিকে অবশ্যই সেখানে তাদের যাত্রা শেষ করতে হবে বা স্টেশনের থেকে যাত্রা শুরু করতে হবে।

বিশাখাপত্তনম একটি ব্যস্ত স্টেশন ছিল, যেহেতু এটি ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে জোনের অংশ ছিল। আগত ট্রেনের জন্য প্ল্যাটফর্ম সবসময় উপলব্ধ থাকে না, এবং গড় ট্রেনের যাত্রা বিরতির সময়কাল কমপক্ষে ২০ মিনিট।[৬]

পরিকাঠামো ও পরিষেবা সম্পাদনা

বিশাখাপত্তনম স্টেশনের আয়তন হল ১,০৩,১৭৮ বর্গমিটার (১১,১০,৬০০ বর্গফুট)।[৭] স্টেশনে ৮ টি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যার বেশিরভাগই একই আকারের, এবং সমস্ত ট্র্যাক ব্রডগেজ ও বিদ্যুতায়িত।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Station Code Index" (পিডিএফ)Portal of Indian Railways। ২০১৫। পৃষ্ঠা 46। ২০১৯-০৩-২৭ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  2. "Statement showing Category-wise No.of stations" (পিডিএফ)Portal of Indian Railways। ২৮ জানুয়ারি ২০১৬। পৃষ্ঠা 1। ২৮ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  3. "Major Events in the Formation of S.E. Railway"। South Eastern Railway। ১ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  4. "A Case for Creating Railway Zone at Visakhapatnam"। Mannanna.com। ১১ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ [ভাল উৎস প্রয়োজন]
  5. "History"। East Coast Railway। ৩১ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  6. "Transportation fails to face festive rush"CityOfVizag.com। ১৪ জানুয়ারি ২০১১। ১৯ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  7. "Station: Visakhapatnam"। South Central Railway। 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা