দক্ষিণ পূর্ব রেল

ভারতীয় রেলওয়ের শাখা

দক্ষিণ পূর্ব রেল হল ভারতীয় রেল এর মোট ১৮ টি রেল জোনের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল জোন। এটি পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ডওড়িশা রাজ্যে বিস্তৃত। এই রেল জোনের অধীনে চারটি রেল বিভাগ রয়েছে। এই বিভাগগুলি হল :

দক্ষিণ পূর্ব রেল
Shortened form of South Eastern Railway Zone of Indian Railways.jpg
Indianrailwayzones-numbered-bn.svg
৫ - দক্ষিণ পূর্ব রেল
BNR Office, Garden Reach.jpg
গার্ডেনরিচ, দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের প্রধান অফিস
রাজ্য
কার্যকাল৩০ নভেম্বর ১৯৫৫–বর্তমান
পূর্বসূরিবেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে
ট্র্যাক গেজমিশ্র
দৈর্ঘ্য২৬৩১ কিলোমিটার
প্রধান কার্যালয়গার্ডেনরিচ, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

ইতিহাসসম্পাদনা

বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে (বিএনআর) কোম্পানি ১৮৮৭ সালে গঠিত হয়। নাগপুর ছত্তীসগঢ় রেলওয়ে থেকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য এবং লাইনটিকে ব্রডগেজে রূপান্তর করার জন্য। ১৮৮৮ সালে কাজ শেষ হয়। নাগপুর থেকে আসানসোল পর্যন্ত মূল লাইনের সম্প্রসারণ ১৮৯১ সালের মধ্যে শেষ হয়। বিলাসপুরকে উমারিয়া কয়লা খনির সাথে সংযুক্ত করে এমন একটি ১৬১ মাইল শাখা লাইন (২৫৮ কিলোমিটার) নির্মিত হয় এবং উমারিয়া থেকে কাটনি (১৮৯১) পর্যন্ত বিদ্যমান লাইনের সাথে যুক্ত হয়। বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে, কলকাতা-বোম্বে এবং কলকাতা-মাদ্রাজ লাইনের কাজ শেষ হয়। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বিএনআর লাইনের কাজ ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়। ১৯২১ সালে তালচের কয়লাক্ষেত্রগুলি নেরগুন্ডি থেকে শুরু করে একটি রেললাইন দ্বারা সংযুক্ত করা হয়। ১৯৩১ সালে, রায়পুর-বিজয়নগরম লাইন স্থাপন করা হয়, যা পূর্ব উপকূলকে কেন্দ্রীয় প্রদেশের সাথে সংযুক্ত করে। ১৯৩০-এর দশকের শেষের দিকে বিএনআর দেশের বৃহত্তম ন্যারো-গেজ নেটওয়ার্কের মালিক হয়। ১৯৪৪ সালের ১ লা অক্টোবর ব্রিটিশ ভারত সরকার বিএনআর ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করে এবং ১৯৫২ সালের ১৪ ই এপ্রিল পর্যন্ত এই নামেই ডাকা অব্যাহত ছিল, ১৯৫৫ সালের ১ আগস্ট, পূর্বতন বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে অংশটি পৃথক করা হয় এবং একটি নতুন অঞ্চল দক্ষিণ-পূর্ব রেল জোন গঠিত হয়। ১৯৬৭ সালের জুলাই মাসে দক্ষিণ-পূর্ব রেল বাঁকুড়া দোমোদার নদী লাইনের কার্যক্রম শুরু করে। এর পর ২০০৩ সালে এই রেল জোনকে ভেঙ্গে পূর্ব উপকূল রেলদক্ষিণ পূর্ব মধ্য রেল জোন গঠন করা হয়। এই রেল জোনের সদর দপ্তর কলকাতার গার্ডেনরিচে অবস্থিত। এই রেল জোনের অধীনে ২৬৩১ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে।

 
১৯৫৫ সালে ভারতীয় রেলের প্রধান পথের মানচিত্র
 
দক্ষিণ পূর্ব রেল জোন চালু হওয়ার সময় স্টেশনগুলো

২০০৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব রেলে আটটি বিভাগ ছিল, খড়গপুর, আদ্রা, সম্বলপুর, খুরদা রোড, বিশাখাপত্তনম, চক্রধরপুর, বিলাসপুর এবং নাগপুর। ২০০৩ সালের এপ্রিলে এসইআর থেকে দুটি নতুন অঞ্চল তৈরি করা হয়। ২০০৩ সালের ১ এপ্রিল দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের খুরদা রোড, সম্বলপুর এবং বিশাখাপত্তনম বিভাগ নিয়ে গঠিত ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে তৈরি করা হয়। ২০০৩ সালের ৫ এপ্রিল দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের নাগপুর ও বিলাসপুর বিভাগ নিয়ে গঠিত দক্ষিণ-পূর্ব মধ্য রেলওয়ে এবং একটি নতুন রায়পুর বিভাগ তৈরি করা হয়। ২০০৩ সালের ১৩ ই এপ্রিল এসইআর আদ্রা ও চক্রধরপুর বিভাগকে নতুন রাঁচি বিভাগ গঠনের জন্য পুনর্গঠিত করে। টিকিয়াপাড়া, খড়গপুর ও পাঁশকুড়ায় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের একাধিক ইউনিট শেড রয়েছে। বৈদ্যুতিক লোকোমোটিভ শেডগুলি সাঁতরাগাছি, টাটানগর, বোকারো স্টিল সিটি, রৌরকেলা, খড়গপুর এবং বন্ডমুন্ডায় রয়েছে। ডিজেল লোকোমোটিভ শেডগুলি খড়গপুর, বোকারো স্টিল সিটি এবং বন্ডমুন্ডায় অবস্থিত। কোচ রক্ষণাবেক্ষণের ইয়ার্ডটি সাঁতরাগাছিতে রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের বড় কারখানাটি খড়গপুরে অবস্থিত।[১][২]

লোকো শেডসম্পাদনা

রুটসম্পাদনা

 
দক্ষিণ পূর্ব রেল এর সদর দপ্তর

প্রধান রুটসম্পাদনা

অপ্রধান রুটসম্পাদনা

  • মেচেদা-হলদিয়া লাইন
  • তমলুক-দীঘা লাইন

গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনসম্পাদনা

  • হাওড়া দীঘা সুপার এসি এক্সপ্রেস - দক্ষিণ পূর্ব রেলের একমাত্র শতাব্দী শ্রেণীর এক্সপ্রেস ট্রেন

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "Major events since trifurcation (1.4.2003)"। South Eastern Railway website। ১৯ নভেম্বর ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. "History of Adra Railway Division" (পিডিএফ)Railway Board। South Eastern Railway zone। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৬