বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র
বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র।[১] এটি মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন কর্তৃক নিয়ন্ত্রণাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।[২] বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়ো গ্যাস ফিল্ড। শুধু বাংলাদেশ নয়,এশিয়া মহাদেশের বিচারেও এটি সর্ববৃহৎ গ্যাস ক্ষেত্র। সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়ন জুড়ে এর অবস্থান[৩]।
বিবিয়ানা থেকে দেশের দৈনন্দিন চাহিদার প্রায় ৪৫ শতাংশ [৪]জ্বালানী সরবরাহ করা হয়ে থাকে। ১৯৯৮ সালে গ্যাসক্ষেত্রটি কসবা ও দীঘলবাক ইউনিয়ন জুড়ে আবিষ্কৃত হলেও বর্তমানে এটির আরো চারটি এলাকা (নাদামপুর, করিমপুর কাকুরা, পিরিজপুর) জুড়ে বিস্তৃতি লাভ ঘটেছে। এখানে একটি কেপিআই শ্রেণির স্থাপনা আছে।
উল্লেখ্য, এশিয়ার বৃহত্তম এই গ্যাসক্ষেত্রে অনুমিত গ্যাসের মোট মজুত প্রায় ৫ টি.সি.এফ যার মধ্যে উত্তোলনযোগ্য মজুত ২.৪ টি.সি.এফ।
ঢাকা থেকে সরাসরি রেল যোগাযোগ না থাকায় সড়কপথই এখানে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম।ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জের সৈয়দপুর বাজার হতে মাত্র ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে পাকা সড়ক ধরে গেলেই বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের সুবিশাল গ্যাসক্ষেত্র দেখতে পাওয়া যায়। রাস্তার দুই ধারে দুইটা গ্যাস প্যাড আছে। রাতের বেলা মনোরম আলোয় আলোকিত থাকে পুরো অঞ্চল।
অবস্থান
সম্পাদনাবিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রটি সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ, দীঘলবাক ইউনিয়নে অবস্থিত।[৫]
আবিষ্কার
সম্পাদনা১৯৯৮ সালে এটি আবিষ্কৃত হয়
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "নবীগঞ্জের বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড বিক্রি"। দৈনিক সংগ্রাম। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র এলাকার ৮৩.০১ ভাগ মানুষই ভূমিহীন"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ৪ ডিসেম্বর ২০১১। ৯ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ inatganjup.habiganj.gov.bd https://inatganjup.habiganj.gov.bd/bn/site/page/oaSE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%A1। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৪।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ ইমাম, বদরূল। "বিবিয়ানার গ্যাসকূপের সমস্যা আমাদের জন্য সতর্কবার্তা"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "দর্শনীয় স্থান"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৬ জুন ২০১৯। ৯ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯।