বিনোদ রাঠোড়

ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতজ্ঞ পণ্ডিত চতুর্ভুজ রাঠোড়ের পুত্র

বিনোদ রাঠোড় (জন্ম ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৬২) হলেন একজন ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী। তিনি মূলত বলিউড চলচ্চিত্রের গান গেয়ে থাকেন। তিনি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতজ্ঞ পণ্ডিত চতুর্ভুজ রাঠোড়ের পুত্র। বিনোদ ১৯৮৮ সালে চলচ্চিত্রাঙ্গনে প্রবেশ করেন। তিনি দিওয়ানা (১৯৯২) চলচ্চিত্রে "অ্যায়সি দিওয়াঙ্গি" এবং খলনায়ক (১৯৯৩) চলচ্চিত্রের "নায়ক নহিঁ খলনায়ক হুঁ ম্যাঁয়" গানে কণ্ঠ দিয়ে শ্রেষ্ঠ পুরুষ নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তার গাওয়া কয়েকটি হিট চলচ্চিত্রের গান হল দিওয়ানা চলচ্চিত্রের "কোই না কোই চাহিয়ে", বাজীগর চলচ্চিত্রের "ছুপানা ভি নহিঁ আতা" এবং মুন্নাভাই এমবিবিএস চলচ্চিত্রের "চান চান"।[১]

বিনোদ রাঠোড়
বিনোদ রাঠোড়
জন্ম (1962-09-12) সেপ্টেম্বর ১২, ১৯৬২ (বয়স ৬১)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশানেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী
কর্মজীবন১৯৮৭–বর্তমান
পিতা-মাতাচতুর্ভুজ রাঠোড় (পিতা)
আত্মীয়রূপকুমার রাঠোড় (ভাই)
শ্রাবণ রাঠোড় (ভাই)
সঞ্জীব-দর্শন (ভাইপো)
সঙ্গীত কর্মজীবন
ধরন
বাদ্যযন্ত্রকণ্ঠ
ওয়েবসাইটvinodrathod.co.in

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

বিনোদ রাঠোড় ১৯৬২ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা পণ্ডিত চতুর্ভুজ রাঠোড় ছিলেন একজন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতজ্ঞ। তার দুই ভাই রূপকুমার রাঠোড়শ্রাবণ রাঠোড় সঙ্গীত পরিচালক ও সঙ্গীতশিল্পী। তার ভাইপো সঙ্গীত পরিচালক যুগল সঞ্জীব-দর্শন[১]

কর্মজীবন সম্পাদনা

রাঠোড় বলিউডের প্রথম আলোচিত সাফল্য অর্জন করেন ১৯৯২ সালে লক্ষ্মীকান্ত-প্যায়ারেলালের সুরে রূপ কা রানী চোরোঁ কা রাজা চলচ্চিত্রের "রোমিও নাম মেরা" গানে কণ্ঠ দিয়ে। গানটি ১৯৯২ সালের অন্যতম হিট গান হয়ে ওঠে। একই বছর তিনি নাদিম-শ্রাবণের সুরে দিওয়ানা চলচ্চিত্রে অলকা ইয়াগনিকের সাথে তার গাওয়া দ্বৈত গান "অ্যায়সি দিওয়াঙ্গি" গানে এবং একক গান "কোই না কোই চাহিয়ে" জনপ্রিয়তা লাভ করে। "অ্যায়সি দিওয়াঙ্গি" গানটির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পুরুষ নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[২] পরের বছর তিনি খলনায়ক (১৯৯৩) চলচ্চিত্রের "নায়ক নহিঁ খলনায়ক হুঁ ম্যাঁয়" গানে কণ্ঠ দিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ পুরুষ নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৩] তার গাওয়া বাজীগর চলচ্চিত্রের "ছুপানা ভি নহিঁ আতা" ও "অ্যায় মেরে হামসফর" গান দুটি জনপ্রিয়তা লাভ করে।[৪] এছাড়া "কিতাবেঁ বহুত সি" গানটি চার্টবাস্টার খ্যাতি লাভ করে। এছাড়া এই দশকে বিভিন্ন তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করা তার গাওয়া কয়েকটি গান হল সানি দেওল-সালমান খান অভিনীত জিৎ (১৯৯৬) চলচ্চিত্রের "ইয়ারা ও ইয়ারা", গোবিন্দা অভিনীত হিরো নাম্বার ওয়ান (১৯৯৭) চলচ্চিত্রের "ম্যায়নে পয়দল সে যা রাহা থা" এবং সালমান-ঐশ্বর্যা রাই অভিনীত হাম দিল দে চুকে সনম (১৯৯৯) চলচ্চিত্রের "ডোলি তারো ঢোল বাজে"।[৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Vinod Rathod nixes remix funda"হিন্দুস্তান টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ জানুয়ারি ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০২০ 
  2. "The Filmfare Awards Nominations – 1992"দ্য টাইমস গ্রুপ। ২৮ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০২০ 
  3. "The Filmfare Awards Nominations – 1993"দ্য টাইমস গ্রুপ। ২৮ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০২০ 
  4. "Has the industry forgotten Vinod Rathod -the voice of 1990s' Shah Rukh Khan?"রেডিও অ্যান্ড মিউজিক (ইংরেজি ভাষায়)। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০২০ 
  5. পল, পাপড়ি (৪ নভেম্বর ২০১৭)। "Vinod Rathod: I have quit Bollywood'cos the quality of music being produced doesn't appeal to me - Times of India"দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০২০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা