বিদ্রোহী গান বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত কবিতা বিদ্রোহী'র সুরারোপিত সংগীত সংস্করণ।[] ১৯৪৯, মতান্তরে ১৯৫২ সালে সংক্ষিপ্তাকারে ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় সুরারোপ করেছিলেন বাংলাদেশের প্রবাদ- প্রতিম সংগীতগুরু, লোক ও নজরুলসংগীতশিল্পী এবং সুরকার গিরীন চক্রবর্তী। আর এতে কন্ঠ দিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী শেখ লুৎফর রহমান এবং অভিনেতা ও গায়ক আরিফুল হক।[] ১৯৬৫ সালে বিদ্রোহী’ কবিতায় সম্পূর্ণ নতুন এবং আধুনিক জোড়ালো একটি সুরারোপ করেছিলেন বাংলাদেশের শহীদ গায়ক ও সুরকার আলতাফ মাহমুদ[]

বিদ্রোহী
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত
বিদ্রোহী কবিতার রচিয়তা তরুন নজরুল
রচনাডিসেম্বর, ১৯২১[]
প্রথম মুদ্রণ৬ই জানুয়ারী, ১৯২২
ভাষাবাংলা
উপজীব্যবিদ্রোহ, প্রতিবাদ
প্রকাশকবিজলী
পঙক্তি১৩৯[]
"বল বীর, বল উন্নতমম শির"
বিদ্রোহী অ্যালবাম থেকে
কাজী নজরুল ইসলাম কর্তৃক রণ সংগীত
ভাষাবাংলা
মুক্তিপ্রাপ্ত১৯৪৯ (মতান্তরে ১৯৫২)
ধারাবিদ্রোহী গান
লেখককাজী নজরুল ইসলাম
সুরকারগিরীন চক্রবর্তী (১৯৪৯)ও আলতাফ মাহমুদ(১৯৬৫)
গীতিকারকাজী নজরুল ইসলাম

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৯৪৯, মতান্তরে ১৯৫২ সালে সংক্ষিপ্তাকারে ‘বিদ্রোহী’র সুর করেছিলেন প্রবাদপ্রতিম সংগীতগুরু, লোক ও নজরুলসংগীতশিল্পী এবং সুরকার গিরীন চক্রবর্তী। তার দেওয়া এই সুরটিই সম্ভবত ‘বিদ্রোহী’ কবিতার সবচাইতে প্রাচীন এবং প্রথম সুরারোপের উদাহরণ ছিলো। আর তার সুরকরা এই গানে কন্ঠ দিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী শেখ লুৎফর রহমান এবং অভিনেতা ও গায়ক আরিফুল হক।[]

১৯৬৫ সালে নজরুলজন্মবার্ষিকীতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন হলে প্রথমবারের মতো বড় আকারে একটি নজরুলসংগীতের অনুষ্ঠান করেছিল ছায়ানট।বাংলাদেশের শহীদ গায়ক ও সুরকার আলতাফ মাহমুদ ছিলেন সেই অনুষ্ঠানের পরিচালক। আর তিনিই ওই অনুষ্ঠানের জন্য ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় সম্পূর্ণ নতুন এবং আধুনিক জোড়ালো একটি সুরারোপ করেছিলেন। দেশের সেরা নজরুলসংগীতশিল্পীরা গান গেয়েছিলেন সেখানে। প্রথমে আলতাফ মাহমুদ নিজে একক কণ্ঠে গানটি শুরু করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে একক ও কোরাসে অংশ নিয়েছিলেন জাহিদুর রহিম, অজিত রায়, ফাহমিদা খাতুন, আহসান মোর্শেদ প্রমুখ।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "নজরুলের 'বিদ্রোহী' কবিতাটি একশো বছর আগে যেভাবে লেখা হয়েছিল"বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৬ 
  2. রহমান, মতিউর। "বিদ্রোহী গান"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৭ 
  3. রহমান, মতিউর। "বিদ্রোহী গান"www.prothomalo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৬