বিজয় উল্লাস (ভাস্কর্য)

কুষ্টিয়ায় অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত ভাস্কর্য

বিজয় উল্লাস কুষ্টিয়া পৌরসভা কার্যালয়ে অবস্থিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কিত একটি ভাস্কর্যমুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের আনন্দকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯৯৫ সালে কুষ্টিয়া পৌরসভার উদ্যোগে ভাস্কর্যটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।[]

বিজয় উল্লাস ভাস্কর্য
মানচিত্র
সাধারণ তথ্য
অবস্থানকুষ্টিয়া পৌরসভার কার্যালয়
শহরকুষ্টিয়া
দেশ বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৩°৫৪′৩৭″ উত্তর ৮৯°০৭′২১″ পূর্ব / ২৩.৯১০২৭৪৪° উত্তর ৮৯.১২২৩৯৪৩° পূর্ব / 23.9102744; 89.1223943
নির্মাণকাজের আরম্ভ১৯৯৫; ২৯ বছর আগে (1995)[]
উদ্বোধন১৯ এপ্রিল ১৯৯৭; ২৭ বছর আগে (1997-04-19)[]
নকশা এবং নির্মাণ
কাঠামো প্রকৌশলীরবিউল হুসাইন
অন্যান্য নকশাকারমাহাবুব জামিল শামীম

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৯৯৫ সালে কুষ্টিয়া পৌরসভা চত্বরে তৎকালীন পৌরসভার চেয়ারম্যান আনোয়ার আলী ভাস্কর মাহাবুব জামিল শামীম-কে পৌরসভার সামনের ফাঁকা স্থানে মুক্তমঞ্চসহ একটি মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানান। এরপর ভাস্কর মাহাবুব জামিল শামীম ইঞ্জিনিয়ার রবিউল হুসাইন-এর শরণাপন্ন হন। পরবর্তীতে ইঞ্জিনিয়ার রবিউল হুসাইন বর্তমান ভাস্কর্যের নকশা প্রদান করেন এবং ভাস্কর মাহাবুব জামিল শামীম সেই অনুযায়ী নির্মাণ কাজ শুরু করেন। দুই বছরে নির্মাণ কাজ শেষ হলে কুষ্টিয়া পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান আনোয়ার আলী ১৯৯৭ সালের ১৯ মার্চ ভাস্কর্যটি উদ্বোধনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করেন।[]

তাৎপর্য

সম্পাদনা

মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের আনন্দকে স্মরণীয় করে রাখতে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়। লালনের ভক্ত ও তার অনুসারীরা একতারা, দোতারা, ঢোলবাঁশির সুরে নাচে-গানে আনন্দ করতে মশগুল। তার সামনে দামাল মুক্তিযোদ্ধা শত্রুপক্ষকে পরাস্ত করে জয়ের উল্লাসে স্টেনগান হাতে।

গঠনশৈলী

সম্পাদনা

ভাস্কর্যটি নির্মাণে রড, সিমেন্ট, মোজাইক, টেরাকোটা ও বিভিন্ন ধাতু সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। মার্বেল পাথরের স্থির চিত্রের মাধ্যমে মঞ্চ বা বেদির নিচের তিন পাশে মুক্তিযুদ্ধসহ গ্রাম-বাংলার নানা ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে।[]

চিত্রশালা

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. তারিকুল হক তারিক, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি (২০২০-১২-১১)। "বিজয় উল্লাস"কালের কণ্ঠ। ২০২৪-০৯-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২৯ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা